এসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন
যে ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমে প্রেরক হতে ডেটা গ্রাহকের কাছে ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হয় তাকে এসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলা হয়। এই ডেটা ট্রান্সমিশনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো:
১। প্রেরক ডে কোন সময় ডেটা ট্রান্সমিট করতে পারবে এবং গ্রাহকও তা গ্রহণ করবে।
২। একটি ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হবার পর আরেকটি ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট করার মাঝখানের বিরতি সবসময় সমান না হয়ে ভিন্ন ভিন্নও হতে পারে।
৩। প্রতিটি ক্যারেক্টারের শুরুতে একটি স্টার্ট বিট এবং শেষে একটি বা দু’টি স্টপ বিট ট্রান্সমিট করা হয়।
এ ধরনের ডেটা ট্রান্সমিশনকে স্টার্ট/স্টপ ট্রান্সমিশনও বলা হয়। সাধারণত যখন কোন সিপিইউ এর সাথে এক বা একাধিক টার্মিনাল সংযুক্ত করা হয় তখন টার্মিনাল থেকে সিপিইউ পর্যন্ত এ ধরনের অর্থাৎ এসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কেননা যখন একজন অপারেটর কিবোর্ড হতে ডেটা টাইপ করবে তখন প্রতি অক্ষর চাপার সাথে সাথে কিবোর্ড হতে সিপিইউ তে ডেটা স্থানান্তর হবে এবং কখনোই একজন অপারেটরের টাইপিং এর গতি একইভাবে পাওয়া যাবে না। ফলে ক্যারেক্টার টু ক্যারেক্টার টাইম ইন্টারভেল অসমান বা অনিয়ম হবে। এই এসিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমে কিবোর্ডের প্রতি অক্ষর চাপার সাথে সাথে ৭ বিটের একটি ক্যারেক্টার ডেটা উৎপন্ন হয়। এই ৭ বিটের সাথে একটি Parity bit যোগ হয়ে ডেটাটি এক বাইট বা ৮ বিট এ রূপান্তরিত হয়। এই ৮ বিটের ক্যারেক্টার ডেটাকে ট্রান্সমিশনের পূর্বে তার সম্মুখে একটি স্টার্ট বিট এবং শেষে একটি বা দুটি স্টপ বিট সংযুক্ত করা হয়। ফলে প্রতিটি ক্যারেক্টারের ডেটা ১০ অথবা ১১ বিটের ডেটায় রূপান্তরিত হয়ে ট্রান্সমিট হয়।
0মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions