অনলাইন ব্যাংকিং কি
(Online Banking)
ইন্টারনেটের মাধ্যমে সাধারণ ব্যাংকিং কার্যক্রমকেই ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিং বলা হয়। এ পদ্ধতিকে ই ব্যাংকিং বা ভার্চুয়াল ব্যাংকিংও বলা হয়। এক্ষেত্রে ইন্টারনেটে যুক্ত হয়ে ব্যাংকের নির্দিষ্ট সুরক্ষিত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একজন গ্রাহক তার ব্যাংক একাউন্টে প্রবেশের জন্য ব্যাংক গ্রাহককে প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন: আইডি, পাসওয়ার্ড সরবরাহ করতে হয়। অনলাইন ব্যাংকিং এ যা থাকবে:
১। একটি কেন্দ্রীয় ডেটাবেস থাকবে, যা অ্যাপ্লিকেশন সার্ভারের সাথে সংযুক্ত।
২। প্রত্যেক গ্রাহকের একটি সুনির্দিষ্ট গ্রাহক আইডি থাকবে।
৩। সব লেনদেনের সাথে সাথেই কেন্দ্রীয় ডেটাবেজ আপডেট হবে।
অনলাইন ব্যাংকিং এর প্রধান উপাদান কম্পিউটার নেটওয়ার্ক। কোন ব্যাংক শাখার অনেকগুলো কম্পিউটার ল্যান এর মধ্যে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যুক্ত থাকে। আবার একটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় এবং এর শাখাগুলোর ল্যান এর মধ্যে বেতার তরঙ্গ, অপটিক্যাল ফাইবার বা অন্য কোন মাধ্যমের সাহায্যে সমগ্র দেশের মধ্যে আন্তঃসংযোগ হতে পারে। মাল্টিন্যাশনাল ব্যাংকগুলো খুবই উন্নতমানের যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সারা বিশ্বের শাখাগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। ব্যাংকিং এর এই সমগ্র ব্যবস্থাটিকে আমরা অনলাইন ব্যাংকিং বলতে পারি।
অর্থাৎ ব্যাংকে ল্যান ও ওয়ান এর সাহায্যে যে সমস্ত ব্যাংকিং সেবা প্রদান করা হয় তাকে অনলাইন ব্যাংকিং বলে। ATM, অটোমেটেড ফান্ড ট্রান্সফার, ইলেকট্রনিক চেক, ইলেকট্রনিক মানি, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, এসএমএস ব্যাংকিং ইত্যাদি এই সবই অনলাইন ব্যাংকিং এর উপকরণ।
অনলাইন ব্যাংকিং এর সুবিধা:
১। দিনরাত ২৪ ঘন্টা এবং বছরে ৩৬৫ দিন যে কোন স্থান থেকে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে একাউন্টে প্রবেশের সুবিধা, হিসাবের ব্যালেন্স অনুসন্ধান, এক হিসাব হতে অন্য হিসাবে অর্থ স্থানান্তর। এটিএম বুথে সচরাচর আমরা 24/7 লেখা দেখি, কথাটির অর্থ হলো দিনরাত 24 ঘন্টা এবং সপ্তাহে 7 দিন ব্যাংকিং সেবা পাওয়া যাবে।
২। সুদের হার অনুসন্ধান, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার অনুসন্ধান
৩। চেক বইয়ের জন্য অনুরোধ, চেক বইয়ের পেমেন্ট বাতিল করা।
৪। বিভিন্ন ডিপোজিট স্কিম করা।
৫। ইন্টারনেট ব্যাংকিং সফটওয়্যার এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালনা করা হয়ে থাকে বলে এটি খুব দ্রুত এবং সুবিধাজনক।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions