রোজার কাফফারা কিভাবে দিতে হয়
রোযার কাফফারা-র মাসায়েল সমূহ নিম্নরূপ:
* একটি রোযার কাফফারা ৬০টি রোযা (একটি কাযা বাদেও)। এই ৬০টি রোযা একাধারে রাখতে হবে। মাঝখানে ছুটে গেলে আবার পুনরায় পূর্ণ ৬০টি একাধারে রাখতে হবে। এই ৬০ দিনের মধ্যে নেফাস বা রমযানের মাস এসে যাওয়ার কারণে বিরতি হলেও কাফফারা আদায় হবে না।
* কাফফারার রোযা এমন দিন থেকে শুরু করবে যেন মাঝখানে কোন নিষিদ্ধ দিন এসে না যায়। উল্লেখ্য, যে পাঁচ দিন রোযা রাখা নিষিদ্ধ বা হারাম। | তা হল দুই ঈদের দিন এবং ঈদুল আযহার পরের তিন দিন।
* কাফফারার রোযা রাখার মধ্যে হায়েযের দিন (নেফাসের নয়) এসে। গেলেও যে কয়দিন সে হায়েযের কারণে বিরতি যাবে তাতে অসুবিধে নেই।
* কাযা রোযার ন্যায় কাফফারার রোযার নিয়তও সুবহে সাদেকের পূর্বে হওয়া জরুরী।
* একই রমযানের একাধিক রোযা ছুটে গেলে কাফফারা একটাই ওয়াজিব হবে। দুই রমযানের ছুটে গেলে দুই কাফফারা ওয়াজিব হবে।
* কাফফারা বাবত বিরতিহীনভাবে ৬০ দিন রোযা রাখার সামর্থ না থাকলে পূর্ণ খোরাক খেতে পারে- এমন ৬০ জন মিসকীনকে (অথবা এক জনকে ৬০ দিন) দু'বেলা পরিতৃপ্তির সাথে খাওয়াতে হবে অথবা সদকায়ে ফি-য়ে যে পরিমাণ গম বা তার মূল্য দেয়া হয় প্রত্যেককে সে পরিমাণ দিতে হবে। এই গম ইত্যাদি বা মূল্য দেয়ার ক্ষেত্রে একজনকে ৬০ দিনেরটা এক দিনেই দিয়ে দিলে কাফফারা আদায় হবে না। তাতে মাত্র এক দিনের কাফফারা ধরা হবে।
* ৬০ দিন খাওয়ানোর বা মূল্য দেয়ার মাঝে ২/১ দিন বিরতি পড়লে ক্ষতি নেই।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions