মিথ্যা কথা
যেটা বাস্তব নয় এরূপ কথা হল মিথ্যা। মিথ্যা বলা গোনাহে কবীরা। তাহকীক তদন্ত ও যাচাই না করেই কোন কথা বর্ণনা করা বা তাহকীক ছাড়াই যে কোন কথা শুনে তা বলে দেয়াও মিথ্যা বলার মত গোনাহ। তবে নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি বা নির্ভরযোগ্য কিতাব থেকে কোন কথা জানলে তা তাহকীক ছাড়াই বলা ও বর্ণনা করা যায়। চারটি ক্ষেত্র ব্যতীত অন্য সব ক্ষেত্রে মিথ্যা বলা হারাম ও গোনাহে কবীরা এবং হাদীছে মিথ্যাকে গোনাহের মাতা অর্থাৎ, বহু গোনাহের জন্মদাত্রী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
যে চারটি ক্ষেত্রে মিথ্যা বা অবাস্তব বলার অনুমতি রয়েছে, তা হল -
১. বিবদমান দুইজন বা দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ নিরসন ও মিল মহব্বত সৃষ্টি করে দেয়ার উদ্দেশ্যে।
২. স্ত্রীকে খুশি করার উদ্দেশ্যে।
৩, যুদ্ধের সময় যুদ্ধের কৌশল হিসেবে। তবে কেউ কেউ এ ক্ষেত্রেও সরাসরি মিথ্যা না বলে প্রকৃত সত্য উহ্য থাকে এমনভাবে কিছু ইংগিত করে দেয়ার কথা বলেছেন।
৪. নিজের হক উদ্ধার বা বড় ধরনের ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য।
মিথ্যা বলার বদ অভ্যাস পরিত্যাগের জন্য একটা জিনিসেরই প্রয়োজন, আর তা হল “ইচ্ছা"। প্রত্যেকটা কথা বলার পূর্বে চিন্তা করা যে, এটা মিথ্যা নয়তো? হলে তা বর্জন করা। এভাবেই মিথ্যা বর্জনের অভ্যাস গড়ে উঠবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions