বাংলাদেশে পাসপোর্ট করার নতুন নিয়ম! (স্টেপ বাই স্টেপ গাইড) | passport application online
বাংলাদেশে এখন পাসপোর্ট পাওয়া তুলনায় অনেক সহজ ও কেন্দ্রীয়কৃত। বিশেষ করে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনলাইন আবেদন, বায়োমেট্রিক তথ্যায়ন, এবং পুরনো জটিল কাগজপত্র–ভেরিফিকেশন ব্যবস্থার বদলে ব্যবহারযোগ্য নতুন পদ্ধতি চালু হয়েছে। নতুন নিয়মগুলো শুধু আবেদনকারীর সময় ও ঝামেলা কমায় না, বরং প্রক্রিয়াকে দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরাপদ করেছে।
এই গাইডে আমরা পুরো প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে বিশ্লেষণ করেছি — নতুন আবেদন, রিইস্যু, তথ্য সংশোধন, বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন, আবেদন ফি, আবেদনকারীর ধরন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় দলিল–দস্তাবেজ, এবং বিশেষ প্রয়োজন (যেমন শিশু, নবিকরণ, বিদেশে বসবাসকারী নাগরিক) অনুযায়ী সব তথ্য পাবেন।
যদি আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ পাসপোর্ট করতে চান — তাহলে এই পোস্ট আপনাদের জন্য খুবই কার্যকর।
কেন নতুন নিয়ম এবং কি পরিবর্তন হয়েছে
পুরনো ব্যবস্থা এবং তার সমস্যা
বাংলাদেশে আগে পাসপোর্ট করার জন্য আবেদন ফরম হাতে নিয়ে অফিসে যেতে হতো। আবেদন ফরম পূরণ, কাগজপত্র যাচাই, পুলিশ ভেরিফিকেশন, কখনো কখনো দীর্ঘ অপেক্ষা — এসব কারণে অনেক সময় লাগে; ভুল বা অনুপস্থিত দস্তাবেজ থাকলে আবেদন বাতিলও হতো।
অনেক সময় আবেদনকারীদের ন্যাশনাল পরিচয়পত্র (NID) বা জন্ম নিবন্ধন সনদ (BRC) না থাকলে বা ভুল তথ্য থাকলে সমস্যা হতো। শিশুর ক্ষেত্রে বাবা-মা বা অভিভাবকের অনুমোদন, অতিরিক্ত সত্যায়িত ফটোকপি লাগতো।
এই সব জটিলতা পাসপোর্ট প্রক্রিয়াকে ধীর ও ক্লিয়ার করে তুলতো না।
নতুন দিকনির্দেশনা: সিম্পলিফিকেশন ও ডিজিটালাইজেশন
তবে বর্তমানে নিয়ম বদলেছে। নতুন পদ্ধতি অনুযায়ী —
-
আবেদন এখন অনলাইনে। অফিসে গিয়ে হাতে ফরম নেওয়ার দরকার নেই।
-
আবেদন ফরম পূরণ, সাবমিশন, এবং পেমেন্ট (ব্যাংক বা নির্ধারিত পদ্ধতি) — প্রায় সম্পূর্ণ ডিজিটাল।
-
পুলিশ ভেরিফিকেশন বাদ দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে, শুধু NID বা জন্ম নিবন্ধন সনদ দেখিয়ে পাসপোর্ট দেওয়া যাবে।
-
বায়োমেট্রিক তথ্যায়ন (foto, fingerprint, biometric registration) এখন বাধ্যতামূলক — যা প্রক্রিয়াকে নিখুঁত ও নিরাপদ করে তোলে।
এই পরিবর্তনগুলো পাসপোর্ট প্রক্রিয়াকে দ্রুত, সহজ এবং কম ঝামেলার করে তুলেছে।
কাদের জন্য আবেদন করা যাবে: আবেদনকারীর ধরন
নতুন নিয়ম অনুযায়ী আবেদনকারীর ধরন অনুসারে দলিলপত্র ও প্রক্রিয়া কিছু পার্থক্য রয়েছে। নিচে প্রধান ধরনগুলো দেখানো হলো:
-
১৮ বছরের বেশি বয়স্ক সাধারণ নাগরিক (NID আছে)
-
১৮ বছরের বেশি বয়স্ক, কিন্তু NID না — জন্ম নিবন্ধন সনদ (BRC) আছে
-
১৮ বছরের নিচের শিশু / কিশোর-কিশোরী
-
পূর্বে পাসপোর্ট পাওয়া / পুরনো পাসপোর্টে মেয়াদ শেষ / হারিয়ে গেছে → রিইস্যু / নবায়ন
-
তথ্য সংশোধন (যেমন: নাম, ঠিকানা, পাসপোর্ট মেয়াদ ইত্যাদি পরিবর্তন)
-
বৈদেশিক বাংলাদেশি (বিদেশে বসবাসকারী)
প্রত্যেক ধরণের জন্য প্রয়োজনীয় দলিল এবং ধাপ আলাদা — নীচে বিস্তারিত।
পাসপোর্ট করার ধাপে ধাপে গাইড
নিচে একটি ধাপে ধাপে নির্দেশিকা দেওয়া হলো — নতুন পাসপোর্টের আবেদন থেকে শুরু করে পাসপোর্ট হাতে পাওয়া পর্যন্ত।
প্রথম ধাপ: অনলাইন আবেদন শুরু
-
অফিসিয়াল আবেদন পোর্টাল: epassport.gov.bd ব্যবহার করুন।
-
“Apply Online” বা “নতুন আবেদন (New Application)” নির্বাচন করুন। পুরনো পাসপোর্ট রিইস্যু বা তথ্য সংশোধনের জন্য উপযুক্ত অপশন নির্বাচন করতে হবে।
-
আবেদনকারী হিসেবে নিজের ধরন (বয়স, নাগরিকত্ব, পূর্বে পাসপোর্ট আছে কি না) ঠিকভাবে তুলে ধরুন।
-
প্রয়োজনীয় তথ্য দিন — সম্পূর্ণ নাম, জন্মতারিখ, পিতা-মাতা/অভিভাবক, ঠিকানা, বর্তমান স্থায়ী ঠিকানা, পাসপোর্ট মেয়াদ (৫ বছর / ১০ বছর), পাতার সংখ্যা (48 পৃষ্ঠা / 64 পৃষ্ঠা) ইত্যাদি।
-
পুরো ফরম পূরণ শেষে “Save” বা “Continue” চাপুন। সফল হলে একটি Application ID এবং Password ইমেইলে দেওয়া হবে। এই তথ্যগুলো সংরক্ষণ করুন।
দ্বিতীয় ধাপ: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত
আপনার আবেদন ধরন অনুযায়ী নিচের দলিলগুলো প্রস্তুত রাখুন:
যদি আপনি ১৮ বছরের বেশি এবং NID থাকে:
-
NID (জাতীয় পরিচয়পত্র) — আসল এবং ফটোকপি দুটোই।
যদি NID না থাকে কিন্তু জন্ম নিবন্ধন (BRC) আছে:
-
BRC (অনলাইন নিবন্ধিত হলে English version বা Government issued certificate) — আসল ও ফটোকপি।
যদি আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছরের নিচে (শিশু / কিশোর):
-
শিশুর জন্ম নিবন্ধন সনদ (BRC) — আসল ও ফটোকপি।
-
অভিভাবক বা পিতা–মাতার NID — আসল ও ফটোকপি।
-
পাসপোর্ট সাইজ ছবি (সাম্প্রতিক, প্রয়োজন অনুযায়ী)।
সাধারণ বাড়তি দলিল (যদি প্রযোজ্য হয়):
-
ঠিকানার প্রমাণ — বিদ্যুৎ/পানি বিল, বাড়ির লিজ/মালিকানার কাগজ, ভাড়ার দলিল ইত্যাদি।
-
পুরনো পাসপোর্ট (রিইস্যু বা তথ্য সংশোধনের জন্য) — আসল।
গুরুত্বপূর্ণ: আবেদন ফরমের তথ্য অবশ্যই NID বা BRC অনুযায়ী হতে হবে। ভুল তথ্য দিলে আবেদন বাতিল বা পাসপোর্ট বাতিল হতে পারে।
তৃতীয় ধাপ: আবেদন ফি এবং পেমেন্ট
-
অনলাইন আবেদন শেষে আবেদন ফি জমা দিতে হবে। ২০২৫ সালের আপডেট অনুযায়ী, পেমেন্ট অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে সব সময় কাজ নাও করতে পারে — তাই নির্ধারিত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে পেমেন্ট করতে হতে পারে।
-
এছাড়া পেমেন্ট রসিদ সংরক্ষণ করুন — কারণ পাসপোর্ট অফিসে জমা দেয়ার সময় রসিদ দেখাতে হতে পারে।
চতুর্থ ধাপ: আবেদন ফর্ম প্রিন্ট ও বায়োমেট্রিক তথ্যায়ন
-
অনলাইন সাবমিশনের পর, আপনার আবেদন ফরম (PDF) ডাউনলোড ও প্রিন্ট করে রাখুন।
-
প্রিন্ট করা আবেদন ফরম, NID / BRC এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে নির্ধারিত আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যান।
-
সেখানে আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য নেয়া হবে — ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন। এটি পাসপোর্ট তৈরি ও নিরাপত্তা যাচাইর জন্য বাধ্যতামূলক।
পঞ্চম ধাপ: আবেদন যাচাই এবং প্রক্রিয়া
-
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, পুলিশ ভেরিফিকেশন আর বাধ্যতামূলক নয়। শুধু NID বা BRC দেখিয়ে যাচাই যথেষ্ট।
-
পাসপোর্ট অফিসে যোগ্যতা যাচাইয়ের পর, আবেদন অনুমোদিত হলে আপনার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
ষষ্ঠ ধাপ: পাসপোর্ট প্রস্তুতি এবং সংগ্রহ
-
আবেদন অনুমোদনের পর, পাসপোর্ট তৈরির কাজ শুরু হবে। তৈরি হলে, নির্ধারিত অফিস থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন।
-
যখন পাসপোর্ট তৈরি হয়ে যাবে, সাধারণত আবেদনকারীকে মোবাইল নম্বর বা ইমেইলে জানানো হয়।
-
পাসপোর্ট সংগ্রহের সময় আপনার মূল NID / BRC এবং প্রিন্ট করা আবেদন ফরম নিয়ে যাওয়া জরুরি।
বিভিন্ন ধরনের আবেদন ও বিশেষ পরিস্থিতি অনুযায়ী নির্দেশিকা
নবীন আবেদন (নতুন পাসপোর্ট)
যারা প্রথমবার পাসপোর্ট করছেন — অর্থাৎ, আগে কোন পাসপোর্ট ছিল না — তাদের জন্য উপরের পুরো প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।
রিইস্যু / মেয়াদউত্তীর্ণ / হারিয়ে গেলে নতুন পাসপোর্ট করা
যে পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বা হারিয়ে গেছে বা নতুন পাসপোর্ট দরকার — সে ক্ষেত্রে নির্ধারিত “Re‑issue / Renewal” অপশন নির্বাচন করুন।
তথ্য সংশোধন (নাম, ঠিকানা, অন্যান্য পরিবর্তন)
যদি আপনার পাসপোর্টে নাম, ঠিকানা বা অন্য কোনো তথ্য পরিবর্তন করতে চান, “Information Correction” অপশন নির্বাচন করতে হবে। আবেদন ফরম ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
শিশু / কিশোর পাসপোর্ট
যদি আবেদনকারী ১৮ বছরের নিচে হয় — তাহলে শিশুর জন্ম নিবন্ধন সনদ (BRC) এবং অভিভাবকের/পিতামাতার NID লাগবে। বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন হবে। অভিভাবক স্বাক্ষর ও অনুমোদন বাধ্যতামূলক।
শিশুদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট সাধারণত ৫ বছরের মেয়াদের হয়। মেয়াদ শেষে পুনরায় আবেদন করতে হবে।
বিদেশে বসবাসকারী / প্রবাসীরা
বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা নতুন পদ্ধতিতে আবেদন করতে পারেন। অনলাইনে আবেদন, প্রয়োজনীয় দলিল, পেমেন্ট এবং বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন — সব একই ভাবে প্রযোজ্য।
নতুন নিয়মের সুবিধা ও সতর্ক থাকার বিষয়
সুবিধাগুলোর সংক্ষেপ
-
আবেদন পুরোপুরি অনলাইন — হাতে ফরম নেওয়া, অফিসে লাইনে দাঁড়ানো প্রয়োজন কম।
-
পেমেন্ট ও আবেদন ফরম ডিজিটাল — দ্রুত এবং স্বচ্ছ।
-
পুলিশ ভেরিফিকেশন বাদ — প্রক্রিয়া দ্রুত এবং ঝামেলাবিহীন।
-
বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন — নিরাপত্তা ও নিশ্চিততা।
-
আবেদনকারীর জন্য সময় ও খরচ দুটোই কম।
কিন্তু, কিছু সতর্কতা
-
আবেদন ফরম তথ্য দিতে গেলে NID বা BRC এর তথ্য সঙ্গে মেলাতে হবে; ভুল হলে আবেদন বাতিল বা পাসপোর্ট বাতিল হতে পারে।
-
অনলাইন আবেদন করার পর ১৫ দিনের মধ্যে অফিসে গিয়ে ফরম প্রিন্ট, দলিল জমা ও বায়োমেট্রিক করতে হবে; নয়তো আবেদন বাতিল হতে পারে।
-
পেমেন্টের রশিদ এবং আবেদন ফরম ভালোভাবে সংরক্ষণ করুন।
-
পাসপোর্ট সংগ্রহে শুধু নির্ধারিত অফিস এবং নির্ধারিত সময়‑দিনে যান।
২০২৫ সালের আপডেট: বিশেষ পরিবর্তন
-
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বাধ্যতামূলক নয়। NID বা BRC যথেষ্ট।
-
সরকারের বাজেট ঘোষণা অনুযায়ী, পাসপোর্ট প্রক্রিয়া আরও সহজ ও ডিজিটাল হবে; e‑passport, e‑visa, e‑travel permit প্রবর্তন বাড়ানো হবে।
-
বাংলাদেশ বিদেশে ৫৯টি মিশনে e‑passport চালু করেছে। প্রবাসীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
সম্ভাব্য সমস্যাঃ কেন আবেদন আটকে যেতে পারে
-
আবেদন ফরমে নাম, জন্মতারিখ, পিতা–মাতার নাম, ঠিকানা ইত্যাদিতে ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্য।
-
NID / BRC / দলিল ফটোকপি সঠিক না বা কার্যকর নয়।
-
পেমেন্ট রসিদ নিখুঁজে যাওয়া বা ব্যাঙ্ক পেমেন্ট প্রসেসিং এ ভুল।
-
অনলাইনে আবেদন করেও অফিসে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফরম প্রিন্ট / দলিল জমা / বায়োমেট্রিক প্রদান না করা।
-
শিশুর পাসপোর্ট — অভিভাবক অনুমোদন বা অভিভাবকের NID ফটোকপি না দেওয়া।
প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)
প্রশ্ন: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এখন আর লাগবে না কি?
উত্তর: না — ২০২৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বাধ্যতামূলক নয়। শুধু NID বা জন্ম নিবন্ধন সনদ দেখিয়ে যাচাই যথেষ্ট।
প্রশ্ন: আবেদন অনলাইনে করার পর অফিসে অবশ্যই যেতে হবে?
উত্তর: হ্যাঁ — অনলাইনে আবেদন ও পেমেন্টের পরে, প্রিন্ট ফরম এবং প্রয়োজনীয় দলিল নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে। বায়োমেট্রিক তথ্যায়ন এবং কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য অফিসে যাওয়াই বাধ্যতামূলক।
প্রশ্ন: পাসপোর্ট করার জন্য ফি কত?
উত্তর: ফি নির্ধারিত — তবে সময় ও প্যাকেজ অনুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে। আবেদন করার সময় অফিসিয়াল পোর্টালে ফি রয়েছে।
প্রশ্ন: শিশুর পাসপোর্ট কোন মেয়াদে পাওয়া যাবে?
উত্তর: সাধারনত ৫ বছরের মেয়াদী পাসপোর্ট দেওয়া হয়। মেয়াদ শেষ হলে পুনরায় আবেদন করতে হবে।
প্রশ্ন: পুরনো পাসপোর্ট আছে, কিন্তু তথ্য পরিবর্তন করতে চাই। কী করতে হবে?
উত্তর: “Information Correction” অপশন নির্বাচন করে অনলাইনে আবেদন করবেন। পুরনো পাসপোর্টসহ সংশোধনের কারণ উল্লেখ করতে হবে। প্রয়োজনীয় দলিল জমা দিয়ে তথ্য সংশোধন করা যাবে।
আমার ব্যক্তিগত কিছু পরামর্শ / টিপস
-
আবেদন ফরম পূরণ করার সময় ধীরে ধীরে এবং মনোযোগ দিয়ে তথ্য দিন। নাম, পিতা–মাতা, জন্মতারিখ, ঠিকানা — সবই NID বা BRC অনুযায়ী হোক। ভুল হলে পরে সমস্যা হতে পারে।
-
অনলাইন আবেদন শেষে Application ID এবং Password সংরক্ষণ করুন। প্রিন্ট ফরম, পেমেন্ট রসিদ এবং কাগজপত্র ভালোভাবে রাখুন।
-
অফিসের জন্য সময় দিন নির্ধারিত দিন ও সময়মতো যান। অফিসে ভিড় কম থাকে এমন সময় (সকাল বা আবেদন কম সময়) চেষ্টা করুন।
-
শিশু বা কিশোরদের ক্ষেত্রে অভিভাবক অনুপস্থিতিতে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে না — তাই পিতা–মাতা / অভিভাবককে সঙ্গে নিন।
-
যদি বিদেশে থাকেন, অনলাইনে আবেদন করে বাংলাদেশ মিশন বা দূতাবাসের অফিস থেকে আবেদন ও বায়োমেট্রিক করুন।
বর্তমানে বাংলাদেশে পাসপোর্ট করার প্রক্রিয়া নতুন নিয়মে অনেক সহজ, দ্রুত এবং নিরাপদ হয়েছে। অনলাইন আবেদন, ডিজিটাল পেমেন্ট, বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন এবং বিশেষ করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের প্রয়োজনীয়তা বাদ দেয়ায় আবেদনকারীর কষ্ট ও সময় উভয়ই কমেছে।
এই স্টেপ‑বাই‑স্টেপ গাইড অনুসরণ করলে — নতুন নাগরিক, রিইস্যু, নবায়ন, শিশু, বিদেশে বসবাসকারী — যেকোনো ধরনের আবেদনকারী আগের তুলনায় অনেক সহজেই পাসপোর্ট পেতে পারবেন।
যদি আপনি এখনই পাসপোর্ট করতে চান, এই গাইডটি আপনার জন্য একটি কার্যকর পাথেয় হতে পারে। আবার, সামাজিক দালাল বা ভুল তথ্যের ঝামেলায় পড়ার পরিবর্তে অফিসিয়াল পদ্ধতি অনুসরণ করাই উত্তম।

0মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions