Home » » Social Retargeting কি? কীভাবে কাজ করে, কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ সবকিছু!

Social Retargeting কি? কীভাবে কাজ করে, কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ সবকিছু!

social-retargeting

Social Retargeting কি? ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে সোশ্যাল রিটার্গেটিং-এর শক্তি ও ব্যবহার

আপনি হয়তো লক্ষ্য করেছেন, একবার কোনো ওয়েবসাইটে কোনো পণ্য বা সেবা দেখার পর সেই একই পণ্যের বিজ্ঞাপন আপনাকে পরবর্তীতে Facebook, Instagram, বা অন্য সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ঘুরে ঘুরে দেখানো হয়। এই ঘটনাটিই আসলে Social Retargeting নামে পরিচিত।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এই পদ্ধতির মাধ্যমে সেই সম্ভাব্য ক্রেতাদের পুনরায় টার্গেট করে, যারা আগ্রহ দেখিয়েছিল কিন্তু কেনাকাটা সম্পূর্ণ করেনি। এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়, বিক্রি বাড়ে এবং ব্র্যান্ডের সাথে ব্যবহারকারীর সংযোগ আরও গভীর হয়।

এই প্রবন্ধে আমরা বিস্তারিতভাবে জানব — Social Retargeting কীভাবে কাজ করে, কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ, কীভাবে এটি ব্যবহার করা হয়, এর উপকারিতা, চ্যালেঞ্জ এবং কার্যকরী কৌশলগুলো কী।


Social Retargeting কী?

Social Retargeting হলো এমন একটি ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনি পূর্বে আপনার ওয়েবসাইট বা অ্যাপে আসা ব্যবহারকারীদের পুনরায় সোশ্যাল মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন দেখান।

ধরা যাক, একজন ব্যবহারকারী আপনার অনলাইন স্টোরে একটি ল্যাপটপ দেখতে এসেছিল কিন্তু কেনেনি। এরপর যখন সে Facebook বা Instagram স্ক্রল করে, তখন সেই একই ল্যাপটপের বিজ্ঞাপন তার ফিডে দেখা যায়। এটিই হলো Social Retargeting।

এটি মূলত Facebook Pixel, Meta Ads Manager, LinkedIn Insight Tag, বা TikTok Pixel এর মতো ট্র্যাকিং প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচালিত হয়।


Social Retargeting এর উদ্দেশ্য

Social Retargeting এর মূল উদ্দেশ্য হলো সেই ব্যবহারকারীদের পুনরায় আকর্ষণ করা, যারা আপনার ব্র্যান্ডে ইতিমধ্যে কিছু আগ্রহ দেখিয়েছে।

ব্র্যান্ড সচেতনতা বৃদ্ধি

রিটার্গেটিং বিজ্ঞাপন বারবার ব্যবহারকারীর সামনে আসায় ব্র্যান্ডের নাম মনে থাকে এবং বিশ্বাস তৈরি হয়।

কনভার্সন বৃদ্ধি

যারা আগে পণ্যটি না কিনে চলে গেছে, তারা পরবর্তীতে বিজ্ঞাপন দেখে কিনে ফেলার সম্ভাবনা রাখে।

রিমার্কেটিং কৌশলকে শক্তিশালী করা

রিটার্গেটিং পুরো রিমার্কেটিং স্ট্রাটেজির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা ROI (Return on Investment) বাড়ায়।


Social Retargeting কীভাবে কাজ করে

Social Retargeting এর পুরো প্রক্রিয়াটি মূলত তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয় — Tracking, Audience Creation, এবং Ad Delivery।

Tracking

যখন কোনো ব্যবহারকারী আপনার ওয়েবসাইটে আসে, তখন Facebook Pixel বা অন্যান্য Tracking Code তার আচরণ রেকর্ড করে রাখে। যেমন — কোন পেজ সে ভিজিট করেছে, কতক্ষণ থেকেছে, পণ্য কার্টে যুক্ত করেছে কিনা ইত্যাদি।

Audience Creation

এই ডেটার ভিত্তিতে প্ল্যাটফর্মে একটি নির্দিষ্ট Custom Audience তৈরি করা হয়। যেমন — “যারা পণ্য কার্টে যুক্ত করেছে কিন্তু কেনেনি।”

Ad Delivery

এরপর এই নির্দিষ্ট অডিয়েন্সকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। বিজ্ঞাপন হতে পারে ডিসকাউন্ট অফার, প্রোডাক্ট রিমাইন্ডার, বা নতুন অফারের ঘোষণা।


Social Retargeting এর ধরন

Social Retargeting এর একাধিক ধরন আছে যা নির্ভর করে বিজ্ঞাপনদাতার উদ্দেশ্য এবং টার্গেট অডিয়েন্সের আচরণের উপর।

১. Site Retargeting

ওয়েবসাইট ভিজিটরদের পুনরায় বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। এটি সবচেয়ে প্রচলিত রিটার্গেটিং ফর্ম।

২. Engagement Retargeting

যারা Facebook বা Instagram-এ আপনার পেজ, পোস্ট বা ভিডিওর সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করেছে, তাদের পুনরায় বিজ্ঞাপন দেখানো হয়।

৩. Dynamic Retargeting

এই পদ্ধতিতে ব্যবহারকারীর দেখা নির্দিষ্ট পণ্য অনুযায়ী বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। যেমন, কেউ যদি একটি নির্দিষ্ট মোবাইল মডেল দেখে, তবে সেই মডেলটির বিজ্ঞাপনই তাকে দেখানো হবে।

৪. App Retargeting

যারা মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করেছে কিন্তু ইন-অ্যাপ কেনাকাটা করেনি, তাদের পুনরায় আকৃষ্ট করতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।


Social Retargeting এর সুবিধা

Social Retargeting ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইনের ROI বাড়ানোর অন্যতম কার্যকর উপায়।

১. কনভার্সন রেট বৃদ্ধি করে

রিটার্গেটিং বিজ্ঞাপন এমন মানুষদের সামনে আসে যারা ইতিমধ্যে আগ্রহী, ফলে তাদের ক্রেতায় রূপান্তর করা সহজ হয়।

২. খরচে কার্যকর

রিটার্গেটিং ক্যাম্পেইন তুলনামূলকভাবে কম খরচে বেশি রিটার্ন দেয়, কারণ বিজ্ঞাপন শুধুমাত্র আগ্রহী ব্যক্তিদের কাছেই প্রদর্শিত হয়।

৩. ব্র্যান্ড রিকল বৃদ্ধি

বারবার বিজ্ঞাপন দেখলে ব্যবহারকারী ব্র্যান্ডকে সহজে মনে রাখে, যা দীর্ঘমেয়াদে ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়ায়।

৪. কাস্টমার লয়্যালটি তৈরি করে

রিটার্গেটিং ব্যবহারকারীদের পুনরায় ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত রাখে, যা পরবর্তী বিক্রয় বাড়াতে সাহায্য করে।


Social Retargeting কৌশল তৈরি করার ধাপ

১. পিক্সেল ইনস্টল করুন

Facebook Pixel, LinkedIn Insight Tag, বা TikTok Pixel ইনস্টল করা Social Retargeting এর প্রথম ধাপ।

২. অডিয়েন্স নির্ধারণ করুন

যাদের পুনরায় টার্গেট করবেন তাদের গ্রুপ তৈরি করুন। যেমন— যারা পণ্য দেখেছে কিন্তু কেনেনি।

৩. বিজ্ঞাপনের বার্তা তৈরি করুন

রিটার্গেটিং বিজ্ঞাপনে বার্তা হতে হবে স্পষ্ট, সংক্ষিপ্ত এবং আকর্ষণীয়। যেমন: “আপনি যে জুতাটি দেখেছিলেন, সেটি এখন ২০% ছাড়ে!”

৪. টেস্ট ও অপ্টিমাইজ করুন

বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ক্রিয়েটিভ, ইমেজ, ও বার্তা টেস্ট করে সবচেয়ে কার্যকরটি বেছে নিন।


Social Retargeting এ ব্যবহৃত জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলো

১. Facebook Retargeting

Facebook Pixel ব্যবহার করে রিটার্গেটিং ক্যাম্পেইন চালানো হয়। এটি Meta Ads Manager-এর মাধ্যমে করা যায়।

২. Instagram Retargeting

Instagram ব্যবহারকারীদের জন্য একই Meta প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হয়, যা ভিজ্যুয়াল বিজ্ঞাপনের জন্য অত্যন্ত কার্যকর।

৩. LinkedIn Retargeting

B2B ব্যবসায়ের জন্য LinkedIn Retargeting খুব জনপ্রিয়। এটি পেশাদার অডিয়েন্স টার্গেট করতে সাহায্য করে।

৪. TikTok Retargeting

নতুন প্রজন্মের জন্য TikTok রিটার্গেটিং একটি দ্রুত বর্ধনশীল প্ল্যাটফর্ম, যা ভিডিও-ভিত্তিক বিজ্ঞাপনের জন্য উপযুক্ত।


Social Retargeting এর কার্যকর টিপস

স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন

রিটার্গেটিংয়ের আগে ঠিক করুন আপনার লক্ষ্য কী — বিক্রি বাড়ানো, লিড জেনারেট করা, নাকি ব্র্যান্ড সচেতনতা তৈরি করা।

অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন এড়িয়ে চলুন

একই ব্যবহারকারীকে দিনে বারবার বিজ্ঞাপন দেখালে তা বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। তাই Frequency Cap সেট করুন।

ক্রিয়েটিভ ও কনটেন্ট পরিবর্তন করুন

বিভিন্ন ধরণের ছবি, ভিডিও, বা ক্যাপশন ব্যবহার করে বিজ্ঞাপনকে আকর্ষণীয় রাখুন।

সঠিক সময়ে বিজ্ঞাপন দিন

ব্যবহারকারীর আচরণ বিশ্লেষণ করে সঠিক সময়ে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করুন। যেমন, সপ্তাহান্তে কেনাকাটার প্রবণতা বেশি থাকলে সে সময়ে ক্যাম্পেইন চালান।


Social Retargeting এর চ্যালেঞ্জ ও সমাধান

১. গোপনীয়তা ও ডেটা সুরক্ষা

বর্তমানে GDPR ও ডেটা প্রাইভেসি আইন অনেক কঠোর হয়েছে। সমাধান হলো, ব্যবহারকারীর সম্মতি নিয়ে ট্র্যাকিং করা এবং কুকি নীতি স্পষ্ট রাখা।

২. বিজ্ঞাপন ক্লান্তি (Ad Fatigue)

একই বিজ্ঞাপন বারবার দেখালে ব্যবহারকারীরা তা উপেক্ষা করে। এজন্য নিয়মিত ক্রিয়েটিভ পরিবর্তন করতে হবে।

৩. ভুল অডিয়েন্স টার্গেটিং

অডিয়েন্স সেগমেন্টেশন সঠিক না হলে রিটার্গেটিং ব্যর্থ হয়। সঠিক ডেটা বিশ্লেষণ করে Custom Audience তৈরি করা জরুরি।

৪. পরিমাপের জটিলতা

কখনও কখনও রিটার্গেটিং বিজ্ঞাপনের কার্যকারিতা পরিমাপ করা কঠিন হয়। এজন্য Facebook Ads Manager বা Google Analytics ব্যবহার করে ট্র্যাকিং করতে হবে।


Social Retargeting বনাম Traditional Advertising

বিষয় Social Retargeting Traditional Advertising
টার্গেটিং ক্ষমতা নির্দিষ্ট আগ্রহী ব্যবহারকারীদের টার্গেট করা যায় সাধারণভাবে সকলের কাছে পৌঁছায়
খরচ তুলনামূলকভাবে কম তুলনামূলকভাবে বেশি
ফলাফল পরিমাপ সহজে করা যায় জটিল ও আনুমানিক
কাস্টমাইজেশন রিয়েল-টাইমে পরিবর্তন করা যায় পরিবর্তন করতে সময় লাগে

(উপরের টেবিলটি শুধুমাত্র তুলনামূলক বিশ্লেষণের জন্য লেখা, প্রকৃত প্রবন্ধে টেবিল হিসেবে নয় বরং বর্ণনামূলকভাবে রাখা হয়েছে।)


Social Retargeting এর ভবিষ্যৎ

AI এবং Machine Learning প্রযুক্তির উন্নতির ফলে Social Retargeting আরও স্মার্ট হয়ে উঠছে। এখন প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহারকারীর আচরণ রিয়েল-টাইমে বিশ্লেষণ করে তাদের আগ্রহ অনুযায়ী বিজ্ঞাপন দেখায়।

এছাড়া Privacy-Friendly Retargeting, Server-Side Tracking, এবং Contextual Advertising ভবিষ্যতে আরও গুরুত্ব পাবে। ফলে মার্কেটাররা ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা বজায় রেখেও কার্যকর রিটার্গেটিং ক্যাম্পেইন চালাতে পারবে।


Social Retargeting এখন আর শুধু বিজ্ঞাপন নয়, এটি একটি ডেটা-চালিত মনোবিজ্ঞানভিত্তিক মার্কেটিং কৌশল। এটি ব্যবসাকে ক্রেতাদের মনে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিতে সাহায্য করে।

যদি আপনি অনলাইন ব্যবসা পরিচালনা করেন, তবে Social Retargeting আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশলের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়া উচিত। সঠিক পরিকল্পনা, টার্গেটিং, এবং অপ্টিমাইজেশনের মাধ্যমে এটি আপনার বিক্রয়, ব্র্যান্ড ভ্যালু এবং কাস্টমার এনগেজমেন্ট উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে পারে।

FAQ (প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী)

১. Social Retargeting কি ফ্রি করা যায়?
না, এটি সাধারণত পেইড বিজ্ঞাপন ক্যাম্পেইনের অংশ, যেখানে আপনি নির্দিষ্ট অডিয়েন্স টার্গেট করতে অর্থ ব্যয় করেন।

২. Social Retargeting এর জন্য কোন প্ল্যাটফর্ম সবচেয়ে ভালো?
Facebook এবং Instagram বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় রিটার্গেটিং প্ল্যাটফর্ম, তবে LinkedIn ও TikTok-ও ভালো বিকল্প হতে পারে।

৩. Social Retargeting এ কুকি নিষিদ্ধ হলে কী হবে?
কুকি নিষিদ্ধ হলে বিজ্ঞাপনদাতারা Server-Side Tracking বা First-Party Data ব্যবহারে মনোযোগ দিচ্ছে।

৪. Social Retargeting কতদিন চলানো উচিত?
সাধারণত ৭–৩০ দিনের মধ্যে রিটার্গেটিং ক্যাম্পেইন চালানো সবচেয়ে কার্যকর, তবে পণ্যভেদে সময়সীমা পরিবর্তিত হতে পারে।

৫. রিটার্গেটিং বিজ্ঞাপন কি নতুন ক্রেতাদের টার্গেট করে?
না, এটি শুধুমাত্র সেই ব্যবহারকারীদের টার্গেট করে যারা আগে আপনার ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের সাথে যুক্ত হয়েছে।

0মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comment below if you have any questions

Basic Computer Course

MS Word
MS Excel
MS PowerPoint
Bangla Typing, English Typing
Email and Internet

Duration: 2 months (4 days a week)
Sun+Mon+Tue+Wed

Course Fee: 4,500/-

Graphic Design Course

Adobe Photoshop
Adobe Illustrator

Duration: 3 months (2 days a week)
Fri+Sat

Course Fee: 9,000/-

Web Design Course

HTML 5
CSS 3

Duration: 3 months (2 days a week)
Fri+Sat

Course Fee: 8,500/-

Video Editing Course

Adobe Premiere Pro

Duration: 3 months (2 days a week)
Fri+Sat

Course Fee: 12,000/-

Digital Marketing Course

Facebook, YouTube, Instagram, SEO, Google Ads, Email Marketing

Duration: 3 months (2 days a week)
Fri+Sat

Course Fee: 15,000/-

Advanced Excel

VLOOKUP, HLOOKUP, Advanced Functions and many more...

Duration: 2 months (2 days a week)
Fri+Sat

Course Fee: 6,500/-

Class Time

Morning to Noon

1st Batch: 08:00-09:30 AM

2nd Batch: 09:30-11:00 AM

3rd Batch: 11:00-12:30 PM

4th Batch: 12:30-02:00 PM

Afternoon to Night

5th Batch: 04:00-05:30 PM

6th Batch: 05:30-07:00 PM

7th Batch: 07:00-08:30 PM

8th Batch: 08:30-10:00 PM

Contact:

Alamin Computer Training Center

796, West Kazipara Bus Stand,

West side of Metro Rail Pillar No. 288

Kazipara, Mirpur, Dhaka-1216

Mobile: 01785 474 006

Email: alamincomputer1216@gmail.com

Facebook: www.facebook.com/ac01785474006

Blog: alamincomputertc.blogspot.com

Contact form

নাম

ইমেল*

বার্তা*