Home » » চুম্বক আবিষ্কারের ইতিহাস

চুম্বক আবিষ্কারের ইতিহাস

চুম্বক আবিষ্কারের ইতিহাস

প্রাচীন যুগে গ্রীস দেশের লোকেরা দেখেছিলেন এক ধরণের পাথর আছে যা লোহাকে আকর্ষণ করে। এই পাথর ছিল অম্লযান যুক্ত লোহা, যা প্রাকৃতিক অবস্থায় পাওয়া যেত গ্রীস, উত্তর আমেরিকা ও সুইডেনে। গ্রীসের ম্যাগনেশিয়া অঞ্চলে এ পাথরকে প্রথম দেখা গিয়েছিল বলে গ্রীকরা এই পাথরের নাম দেন ম্যাগনেটাইট। প্রকৃতপক্ষে এই পাথরটি ছিল লোডস্টোন। ম্যাগনেটাইট থেকেই ম্যাগনেট কথাটির উৎপত্তি।

দন্ডাকৃতি ম্যাগনেটাইট পাথরকে দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দিলে সেটি সবসময় উত্তর-দক্ষিণ মুখো হয়ে থাকে। আর্কিমিডিসের চোখে এই বৈশিষ্ট্যটি প্রথম ধরা পড়ে। তিনি তখন ঐ পাথরের সাহায্যে আবিস্কার করলেন দিগদর্শন যন্ত্র বা কম্পাস। ফলে কি দিন কি রাত্রি নাবিকদের জাহাজের দিকনির্ণয় করা সহজ হয়ে গেল।

বৈজ্ঞানিক প্রেরি গ্রীনাস লক্ষ্য করেছিলেন চুম্বক প্রতিবার উত্তর-দক্ষিণ মুখো হয়ে থাকে। এবং চুম্বকের সাথে কোনো লোহার পাত ঘষলে লোহার পাতাটিও চুম্বকের মত ছোট ছোট লোহার টুকরোকে আকর্ষণ করে। লোহার পাতাটির মধ্যে নতুন যে শক্তি জন্মাল তাকে বলে চৌম্বক শক্তি।

বৈজ্ঞানিক কেলভিন উত্তর-দক্ষিণ মুখো হয়ে থাকা চুম্বকের উত্তর দিকের নাম দেন উত্তর পোল এবং দক্ষিণ দিকের নাম দেন দক্ষিণ পোল।

বৈজ্ঞানিকরা ম্যাগনেট নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে দেখেন ম্যাগনেটের কাছে লোহার চূর ছড়িয়ে দিলে সেগুলি সারিবদ্ধভাবে এক একটি রেখায় দাঁড়িয়ে পড়ে। এই রেখাগুলোর নাম দেয়া হয় চুম্বকরেখা।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comment below if you have any questions

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *