পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটার:
পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটার হবে কৃত্রিম বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করার ক্ষমতা সম্পন্ন। এজন্য কম্পিউটারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংযোজনের উপর গবেষণা চলছে। ১৯৮১ সালৈ জাপানে ১৪টি দেশের কম্পিউটার বিজ্ঞানীগণ পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটারের উপর এক সম্মেলন আয়োজন করেন। বিজ্ঞানীরা চিন্তাভাবনা করেন কীভাবে কম্পিউটারের বুদ্ধি দেয়ার ব্যবস্থা করা যায়। একে বলে কৃত্রিম বুদ্ধি।
কৃত্রিম বুদ্ধি থাকার জন্য পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটারের চিন্তাভাবনা ও বিচার-বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা থাকবে। নতুন পরিস্থিতিতে কী করতে হবে তা এরা নিজেরাই বুদ্ধি দিয়ে ঠিক করে নেবে। বিজ্ঞানীরা আশাবাদী অচিরেই এ ধরনের কম্পিউটার তৈরি হবে। এই কম্পিউটারে মানুষের কন্ঠস্বর শনাক্ত করার ক্ষমতাও থাকবে। আর পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটারের কাজের গতি, স্মৃতির ধারণ ক্ষমতা যে বিষ্ময়কররূপে বৃদ্ধি পাবে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য:
১। কৃত্রিম বুদ্ধি থাকার কারণে যে কোনো বিষয়ে চিন্তা ভাবনা ও বিচার-বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা থাকবে।
২। তথ্য ধারণ ক্ষমতার ব্যাপক উন্নতি ঘটবে।
৩। স্বয়ংক্রিয় অনুবাদ করার ক্ষমতা থাকবে।
৪। অধিক শক্তিশালী মাইক্রোপ্রসেসর থাকবে।
৫। মানুষের কন্ঠস্বর শনাক্ত করার ক্ষমতা থাকবে।
৬। মানুষের কন্ঠস্বর অনুধাবন করে কাজ করার ক্ষমতা থাকবে।
৭। স্মৃতিধারণ ক্ষমতা বিষ্ময়করভাবে বৃদ্ধি পাবে।
৮। চৌম্বক কোর স্মৃতির ব্যবহার থাকতে পারে।
৯। বিপুল শক্তিসম্পন্ন সুপার কম্পিউটারের উন্নয়ন ঘটবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions