Home » » রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম

রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম

রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম

একটি ডাটাবেজে একাধিক টেবিল থাকতে পারে। কোন একটি নির্দিষ্ট ফিল্ডের উপর ভিত্তি করে দুই বা ততোধিক টেবিলের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করাকে রিলেশনশীপ বলা হয়। রিলেশন তৈরি করা টেবিল থেকে প্রয়োজনীয় ডাটা নিয়ে আলাদা ডাটা টেবিল তৈরি করা যায়। রিলেশন করা ডাটা টেবিলের সমন্বয়ে গঠিত ডাটাবেজেকে রিলেশনাল ডেটাবেজ বলা হয়। আধুনিক ডাটাবেজ সফটওয়্যার বলতে সাধারণত রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকেই বুঝায়।

রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সার্ভারে ডাটাবেজ ইঞ্জিন ব্যবহার করার জন্য বাজারে অনেক ধরনের সফটওয়্যার রয়েছে। যথা- মাইক্রোসফট এক্সেস, ওরাকল, মাইএসকিউএল সার্ভার, ইনফরমিক্স ইত্যাদি।

রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য:

১। সহজে টেবিল তৈরি করে ডাটা এন্ট্রি করা যায়।

২। ডাটা টেবিলের সাথে অন্য এক বা একাধিক ডাটা টেবিলের মধ্যে রিলেশন তৈরি করা যায়।

৩। অসংখ্য ডাটার মধ্য থেকে প্রয়োজনীয় ডাটাকে খুঁজে বের করা যায়।

৪। সংখ্যাবাচক ডাটাসমূহকে সুক্ষ্ম গাণিতিক কাজ করা যায়।

৫। সহজে নানা ফরমেটের রিপোর্ট তৈরি করা যায়।

৬। প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে লেবেল তৈরি করা যায় এবং ছাপানো যায়।

৭। এন্ট্রি ফর্ম তৈরি করা যায়।

৮। বিভিন্ন ধরনের চার্ট তৈরি করা যায়।

৯। অন্যান্য ডাটাবেজ প্রোগ্রাম (যেমন: ফক্সপ্রো, এক্সেল ইত্যাদি) থেকে তথ্য বা ডাটা এনে ব্যবহার করা যায়।

১০। সহজে এ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার/প্রোগ্রাম তৈরি করা যায়।

 

আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির অসামান্য উন্নতির সাথে সাথে রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিষ্টেমের ব্যবহার দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। RDBMS ব্যবহার করে বর্তমানে প্রায় প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের বিশাল তথ্য ভান্ডারকে সহজেই সংরক্ষণ ও ব্যবহার করছে।


নিম্নে RDBMS এর প্রধান প্রধান ব্যবহারগুলি দেওয়া হলো-

 ১. স্কুল, কলেজ এবং ইউনিভার্সিটিতে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তথ্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়;

২. ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গ্রাহকের তথ্য ও হিসাব-নিকাশ সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়;

৩. মোবাইল কোম্পানিগুলোতে গ্রাহকদের তথ্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়;

৪. বিভিন্ন সুপার শপে দ্রব্যের বিবরণ, মূল্য, ক্রয়-বিক্রয়, লাভ-লোকসান ইত্যাদি রেকর্ডসমূহ সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়;

৫. হাসপাতালে রোগী ও ডাক্তারদের প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়;

৬. বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ফলাফল সংরক্ষণে ও অনলাইনে প্রকাশের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়;

৭. বাস, ট্রেন ও বিমানের যাত্রার সময়সূচি ও আসন-সংরক্ষণের তথ্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়;

৮. দেশের জনসংখ্যার তথ্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়;

৯. ই-কমার্স, ই-লার্নিং, ই-গর্ভমেন্ট, এম-কমার্স ইত্যাদির জন্য ব্যবহৃত তথ্যসমূহ সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়;

১০. পেরোল (Payroll) বা বেতন সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়।

0 comments:

Post a Comment

Comment below if you have any questions

Contact form

Name

Email *

Message *