বিরাম চিহ্ন কাকে বলে
বিরাম: একটি বাক্যের অর্থ ঠিক মত বোঝানোর জন্য বাক্যের মধ্যে এক কিংবা একাধিক জায়গায় কম বেশি থামার দরকার হয়। এ ছাড়া বাক্যের শেষে তো থামতেই হয়। এই থামার সাধারণ নাম বিরাম। বিরাম দুরকমের- (ক) ছেদ এবং (খ) যতি।
নিচে ছেদ ও যতির বিষয়ে আলোচনা করা হলো:
ক. ছেদ: বাক্য বলার সময়, তার অর্থবোধ হওয়ার জন্য কতকগুলি পদের পর কম কিংবা বেশি বিরাম দেয়া হয়। এই বিরামকে ছেদ বলা হয়। লিখিত বাক্যে এই বিরাম বোঝানোর জন্য ছেদচিহ্ন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
খ. যতি: যতি অর্থ বিরাম বা ছেদ। কবিতার পঙ্তিতে ছন্দের কারণে যে বিরাম তাকে বলা হয় যতি। বিরাম চিহ্ন বা ছেদচিহ্ন: লিখিত বাক্যে ছেদ বা বিরাম বোঝানোর জন্য যে সব চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, তাদের সাধারণ নাম ছেদ চিহ্ন বা বিরাম চিহ্ন। এ ছাড়া প্রশ্নসূচক কিংবা বিস্ময়সূচক বাক্যে যে চিহ্ন ব্যবহৃত হয় তাও ছেদ চিহ্নের অন্তর্গত। বাংলায় প্রথমে দাঁড়ি (।) ও দুই দাঁড়ি (\) ছাড়া অন্য কোন ছেদ চিহ্ন ছিল না। পরে ইংরেজি থেকে অনেক ছেদচিহ্ন বাংলায় নেয়া হয়েছে।
নিচে বিভিন্ন প্রকার যতি-চিহ্নের নাম ও আকৃতি দেয় হলো:
কমা বা পাদচ্ছেদ ,
সেমিকোলন বা অর্ধচ্ছেদ ;
কোলন :
দাঁড়ি বা পূর্ণচ্ছেদ ।
প্রশ্ন চিহ্ন ?
বিস্ময় চিহ্ন বা ভাবদ্যোতক চিহ্ন !
ড্যাশ -
হাইফেন বা পদসংযোগ বা পদবিশেস্নষ চিহ্ন -
কোটেশন বা উদ্ধৃতি বা উদ্ধরণ চিহ্ন ‘‘’’
ব্র্যাকেট বা বন্ধনী (), {}, []
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions