কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণে সফটওয়্যারের গুরুত্ব
তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত কম্পিউটার হলো আসলে প্রসেসর ও সফ্টওয়্যার নির্ভর একটি যন্ত্র। নতুন একটি কম্পিউটার যেমন: ডেস্কটপ, ল্যাপটপ বা ট্যাবলেট যাই হোক না কেন খুব ভাল বা দ্রুতগতিতে কাজ করে। কিন্তু কিছুদিন ব্যবহার করার পরে এগুলোর কাজের গতি কমে যায়। তাই কম্পিউটারের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত জরুরী।
অবশ্যই সঠিকভাবে কম্পিউটার এর যত্ন নিতে হবে। পুরনো হয়ে গেলে কম্পিউটার অনেক ধীর গতিতে কাজ করতে থাকে। অনেক সময় একটি কমান্ড দিয়ে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। মাঝে মাঝে এমন পরিস্থিতি দাঁড়ায় যে রাগান্বিত হয়ে নতুন একটি কম্পিউটার কিনতে ইচ্ছে করে। এ ধরনের অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় নিশ্চয়ই আছে। আর এ কারণেই কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণের গুরুত্ব অনেক। বেশিরভাগ মানুষেরই আইসিটি যন্ত্রপাতি বা অন্য কোন যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণের কাজটি করতে ভাল লাগে না। কিন্তু তারপরও এ কাজটি কম্পিউটারকে সচল রাখতে অত্যন্ত প্রয়োজন। কেউ যদি তার আইসিটি যন্ত্র কিংবা কম্পিউটারটি পূর্ণমাত্রায় কার্যক্ষম রাখতে চায় তাহলে তার রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। এজন্য কাউকে যন্ত্রপাতি বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নাই। সফ্টওয়্যার ভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণের জ্ঞান থাকলেই হবে। কম্পিউটার যেহেতু সফ্টওয়্যার চালিত যন্ত্র তাই সফ্টওয়্যার হালনাগাদ ও আপডেটের মাধ্যমে কম্পিউটারকে সংরক্ষণ ও কাজের গতি ঠিক রাখা যায়। যেমনঃ
১। কেউ যদি তার কম্পিউটারে মাইক্রোসফ্ট কোম্পানির উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে থাকে তবে তা সব সময় হালনাগাদ করতে হবে। ইন্টারনেট যুক্ত থাকলে সাধারণত এর আপডেটগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে থাকে। অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেম একই ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকে।
২। কম্পিউটারকে সচল ও গতিশীল রাখার জন্য মাঝে মাঝে রেজিস্ট্রি ক্লিন আপ সফ্টওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। যেমন: সিক্লিনার। যদি কেউ রেজিস্ট্রি ক্লিনআপ ব্যবহার না করে তবে কম্পিউটার যন্ত্রটি ঠিকভাবে কাজ করবে না এবং অনেক সময় বিরক্তির কারণ হতে পারে।
৩। কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় অনেক টেম্পোরারি ফাইল তৈরি হয়। অনেক দিন এ ফাইলগুলো না মুছে দিলে হার্ডডিস্কের অনেক জায়গা দখল করে থাকে এবং এই অস্থায়ী ফাইলগুলো কাজের গতি কমিয়ে দেয়। সেজন্য আমাদের উচিত, সফ্টওয়্যারের সাহায্য নিয়ে এই অস্থায়ী ফাইলগুলো ডিলিট করা বা মুছে দেয়া। এতে হার্ডডিস্কের বেশ খানিকটা জায়গা খালি হবে আবার কম্পিউটার এর কাজের গতিও অনেক বেড়ে যাবে।
৪। ইন্টারনেট ব্যবহার এখন অনেক সহজলভ্য এবং এটি অনেক উপকারে আসে। ইন্টারনেট ব্যবহার করলে ইন্টারনেট ব্রাউজারের ক্যাশ মেমরিতে অনেক টেম্পোরারি ফাইল ও কুকিজ জমতে থাকে। এতেও কম্পিউটারের কাজের গতি হ্রাস পায়। প্রতিদিন সম্ভব না হলে কিছুদিন পরপর ক্যাশ মেমোরি পরিস্কার করতে হয়। এ কাজটি করতে সফ্টওয়্যার সাহায্য করতে পারে।
৫। এন্টিভাইরাস, এন্টিস্পাইওয়্যার ছাড়া আইসিটি ডিভাইস ব্যবহার করা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি যার মাধ্যমে কম্পিউটার ব্যবহারকারীগণ তাদের যন্ত্রে ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে। এদের মধ্যে অনেক এন্টিভাইরাস, এন্টি স্পাইওয়্যার ইন্টারনেট হতে বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়। যেমন: এভিজি, এভাস্ট, আভিরা ইত্যাদি। এছাড়াও কাজ করার গতি বজায় রাখার জন্য প্রায় সব ব্যবহারকারী ডিস্ক ক্লিনআপ ও ডিস্ক ডিফ্রাগমেন্ট করে থাকে। এ প্রোগ্রামগুলো সাধারণত অপারেটিং সিস্টেমের সাথে দেয়া থাকে। এ দুটো প্রোগ্রাম হার্ডডিস্কের জায়গা খালি করে এবং ফাইলগুলো এমনভাবে সাজায় যাতে কম্পিউটার এর গতি বজায় থাকে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions