কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য
কম্পিউটারের কতগুলো বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিচে সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
দ্রুতগতি (High speed)
কম্পিউটার অবিশ্বাস্য দ্রম্নতগতিতে কাজ করে। কম্পিউটার প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি গণনাও করতে পারে। কম্পিউটারের এ দ্রুতগতি সম্পন্ন গণনার কাজকে মিলিসেকেন্ড, মাইক্রোসেকেন্ড, ন্যানোসেকেন্ড, পিকোসেকেন্ড ইত্যাদি সময়ের একক হিসেবে ভাগ করা হয়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে যে, সাধারণ একটি যোগ করতে কম্পিউটারের সময় লাগে ৫০ ন্যানোসেকেন্ড তাহলে কম্পিউটার এক সেকেন্ডে এরকম দু’কোটি যোগ করতে পারবে। একজন মানুষের ১০০ বৎসরের কাজ একটি সাধারণ কম্পিউটার ১ ঘন্টায় করতে সক্ষম।
বিশ্বাস যোগ্যতা (Reliability)
কম্পিউটার নির্ভুলভাবে কাজ করে। উন্নত প্রযুক্তির কারণে কম্পিউটার সর্বদা নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম দিয়ে নির্দিষ্ট কাজ পুরোপুরি নির্ভুলভাবে করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে প্রোগ্রাম ও ডেটাকে অবশ্যই ১০০% শুদ্ধ হতে হবে। ভুল ফলাফল দেয়াকে গার্বেজ ইন গার্বেজ আউট (Garbage in garbage out) বলা হয়। আধুনিক কম্পিউটার প্রমাণ করছে যে মানুষ ভুল করে, কিন্তু কম্পিউটার ভুল করে না।
সূক্ষ্মতা (Accuracy)
কম্পিউটারে প্রাপ্ত ফলাফলের সুক্ষ্মতা অতুলনীয়। গণনার সূক্ষ্মতা অত্যমত্ম বেশি অর্থাৎ গাণিতিক হিসেবের ক্ষেত্রে অনেক দশমিক স্থান পর্যন্ত ফলাফল দিতে সক্ষম।
ক্লান্তিহীনতা (Diligence)
দীর্ঘক্ষণ একটানা কাজ করলেও কম্পিউটার ক্লান্ত হয় না বা গণনায় ভুল করে না। পুনরাবৃত্তি মূলক কাজ নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করতে কম্পিউটারের উৎসাহ, মনোযোগ ও সহিষ্ণুতার একটুও ঘাটতি হয় না।
স্মৃতি বা মেমরি (Memory)
কম্পিউটারের স্মৃতি অতি বিশাল, কোটি কোটি ডেটা ও নির্দেশ তাতে জমা রাখা যায়। কম্পিউটারের সঞ্চয় ক্ষমতাকে ব্যবহার করে অতি সহজে একই ধরনের কাজ বিভিন্ন সময় দ্রম্নতগতিতে করা সম্ভব। এর মেমরি অনেক ডেটা অনেক দিন পর্যন্ত অপরিবর্তনীয়ভাবে সংরক্ষণ করে রাখতে পারে। প্রয়োজনের সময় যে কোন ডেটা বা নির্দেশ কম্পিউটার অত্যন্ত দ্রুততগতিতে ও নির্ভুলভাবে স্মরণ করতে পারে। মেমরি থেকে কোন ডেটা খুঁজে বের করতে কম্পিউটারের সময় লাগে ১ ন্যানোসেকেন্ড।
যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত (Logical decision)
কম্পিউটার কোন রকম মৌলিক চিন্তা শক্তির অধিকারী নয়। বিভিন্ন গাণিতিক প্রক্রিয়া সম্পন্নের পাশাপাশি কম্পিউটার লজিক প্রক্রিয়াও করতে পারে।
বহুমুখীতা (Versatility)
বর্তমান কম্পিউটার জটিল কাজ সম্পন্ন করার এক শক্তিশালী মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। সাধারণ হিসাব নিকাশ থেকে শুরম্ন করে জটিল বৈজ্ঞানিক সমস্যা সমাধান পর্যমত্ম সকল কাজেই কম্পিউটার মানুষকে সাহায্য করতে পারে।
স্বয়ংক্রিয়তা (Automation)
কম্পিউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে থাকে। কম্পিউটার পরস্পর নির্ভরশীল পর্যায়গুলোর কাজ ধারাবাহিকভাবে সম্পন্ন করে থাকে অর্থাৎ প্রদত্ত নির্দেশমত কম্পিউটার ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করে সমস্যার সমাধান দিতে পারে।

0মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions