মনিটরের বৈশিষ্ট্য
বর্তমানে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার কারণে মূল্যমান কমে যাওয়ায় ব্যবহারকারীগণ খুব অল্প টাকাতেই উঁচুমানের মনিটর কিনতে পারছেন। মনিটরের বৈশিষ্ট্য নিচে আলোচনা করা হলো:
ক) রেজুল্যুশন (Resolution) : একটা মনিটর-এর রজুল্যুশন যত বেশি, মনিটরটি তত ভালো, অর্থাৎ ঐ মনিটরের অক্ষর বা চিত্র তত পরিচ্ছন্ন ও স্পষ্ট দেখাবে। মনিটরের পর্দাকে আড়াআড়ি এবং লম্বালম্বি অনেকগুলো রেখায় ভাগ করা হয়। আর ঐ ভাগকে রেজুল্যুশন বলে। যেমন- 640x480, 1024x764, ইত্যাদি।
খ) পিচ বা পিক্সেল (Pitch or Pixel) : একটি আড়াআড়ি এবং একটি লম্বালম্বি রেখার Cross –Section এর diameter-কে পিক্সেল বা পিচ বলে। পিক্সেল যত কম হবে, মনিটর তত ভালো হবে। অন্যদিকে পিক্সেল রেজুল্যুশনের বিপরীত অর্থে ব্যবহার হয়। বর্তমানে ০.২৮ মিলিমিটার পিক্সেলের মনিটর ব্যবহৃত হচ্ছে।
গ) নন-ইন্টারলেস্ড : এটা মনিটরের একটি গুরম্নত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। টেলিভিশনের ছবি চোখে দৃশ্যমান এবং গতিময় রাখার জন্য প্রতিটি ছবিকে ফ্রেম হিসেবে পাঠানো হয়। একটা ফ্রেমে ২৫টি লাইন থাকে। গতিময়তা দেবার জন্য এক ফ্রেমকে অন্য ফ্রেমের উপর ১,৩,৫,৭ ও ২,৪,৬,৮ পদ্ধতিতে উপস্থাপন করা হয়। এ ব্যবস্থাকে ইন্টারলেসিং বলে। কম্পিউটারের কার্যগতি টেলিভিশনের ফ্রিকোয়েন্সীর চাইতে অনেক অনেক বেশি। মনিটরের চিত্র নন-ইন্টারলেসড থাকা ভাল। ফলে চোখ ভাল থাকবে ও দৃশ্যমানতা বৃদ্ধি পাবে।
ঘ) মাল্টি ফ্রিকোয়েন্সীঃ এ বৈশিষ্ট্য থাকলে মনিটরটি অক্ষর প্রদর্শনের সময় এক সফটওয়্যার থেকে অন্য সফটওয়্যার-এ পরিবর্তনের কারণে চিত্র ও লেখা একই সংগে দেখানোর সময় কম্পমান হবে না এবং চোখের উপর কোন বাড়তি চাপ পড়বে না।
ঙ) লো-রেডিয়েশন : বর্তমানে ব্ল্যাক ট্রিনিট্রন পদ্ধতি আবিষ্কারের ফলে মনিটরের পর্দাকে এমন ভাবে তৈরি করা হয় যাতে ভিতরের ইলেকট্রনসমূহ বাইরে যথাসম্ভব না বেরিয়ে পর্দায় লেখার উজ্জ্বলতা বাড়াবে আর সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করবে।

0মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions