কিবোর্ড কি
যে উপকরণের সাহায্যে আমরা ডেটা বা তথ্য টাইপ করি তাকে কিবোর্ড (Keyboard) বলে। আর কিবোর্ড-কে আমাদের সুবিধার জন্য অবিকল আধুনিক টাইপ মেশিনের মতো করা হয়েছে, যাতে করে একজন টাইপ জানা ব্যক্তি অতি সহজেই কম্পিউটারে তথ্য প্রবেশ করানোর কাজে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারে। ইংরেজি টাইপ রাইটার-এর মতো এবং কিছু অতিরিক্ত বাটন নিয়ে একটি কিবোর্ড গঠিত। একটি আধুনিক কীবোর্ডে মোট ১১২টি বাটন বা কী থাকে। এছাড়া ৮৪, ১০১, ১০২, ১০৫ কি সম্বলিত কীবোর্ড এবং মাল্টি-মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ সম্বলিত কীবোর্ড বাজারে পাওয়া যায়।
কীবোর্ড একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট ডিভাইস। কীবোর্ডকে কানেকটিং কর্ডের মাধ্যমে সিষ্টেম ইউনিটের পিছনে কীবোর্ডর পোর্টে যুক্ত করা হয়। কীবোর্ডের সাধারণত: ধাতব সার্কিটবোর্ড থাকে। প্রতিটি Key এর নিচে সংযোগ বিহীন ধাতব ক্যাপাসিটিভ প্যাড ব্যবহার করা হয়। কোন কী চাপলে কীবোর্ডের একটি ধাতব পাত, বৃত্তাকার প্লাস্টিক প্যাডকে নিচে নামিয়ে ক্যাপাসিটিভ প্যাডের সাথে সংযোগ ঘটায়। এতে পাতদ্বয়ের মধ্যে ক্যাপাসিট্যান্স বৃদ্ধি পেয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হয়। ফলে কীবোর্ডর ঐ কী ডিটেক্ট করতে পারে। কীবোর্ডের অভ্যন্তরীণ সার্কিট বোর্ডে সংযুক্ত প্রসেসরের সাহায্যে ঐ শনাক্তকারী কী এর জন্য নির্ধারিত কোড তৈরী করে সিপিইউকে প্রদান করে, এ কোডকে স্ক্যান কোড বলে। বর্তমানে কর্ডলেস কীবোর্ড পাওয়া যায়। এধরনের কীবোর্ডের পিছন দিকে ইনফ্রারেড লাইট ইমিটিং ডায়োড সংযুক্ত থাকে আর সিস্টেম ইউনিটের সামনের দিকে থাকে ফটোডিটেক্টর রিসিভার। এ দুয়ের মাধ্যমে স্ক্যান কোড সিপিইউতে স্থানান্তর হয়।

0মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions