জানা অজানা তথ্য
বাংলাদেশ কম্পিউটার বিকাশের উল্লেখযোগ্য ঘটনাপঞ্জি
১৯৬৪ - প্রথম কম্পিউটার স্থাপন, মডেল- IBM1620, স্থান-ঢাকা পরমাণু শক্তি কেন্দ্র।
১৯৮৪ - প্রথম কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ চালু (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, BUET)।
১৯৮৯ - বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত।
১৯৯০ - বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত (সরকারি)।
১৯৯১ - উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয় চালু।
১৯৯৪ - প্রথম অফলাইন ই মেইল চালু।
১৯৯৬ - প্রথম অনলাইন ইন্টারনেট চালু (সার্ভিস প্রোভাইডার; আইএসএস)।
১৯৯৭ - Asia Regional Programming Contest NSU Stie- এ BUET চ্যাম্পিয়ন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রানার আপ।
১৯৯৮ - প্রথমবারের মতো প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা World Final 1998 (Atlanta, Gorgia, USA তে অংশগ্রহণ এবং BUET-এর ২৪তম স্থান দখল।
২০০০ - প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা World Final 2000-এ অংশগ্রহণ এবং BUET-এর ১১তম স্থান দখল।
২০০১ - World Final 2001-এ BUET-এর ২৯তম স্থান দখল।
২০০২ - ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ ACM কর্তৃক বিশ্বের শ্রেষ্ঠ কোচ নির্বাচিত।
পৃথিবী-মঙ্গল নেটওয়ার্ক
বিস্ময়কর মনে হতে পারে, মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে পৃথিবীর নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ থাকছে কেমন করে? এমনিতে এ সৌরজগতের মধ্যে বা বিশ্বব্রহ্মা-র সব কিছুকে শূন্য মনে হলেও ঐ শূন্যতার মধ্যেও কিন্তু বেতার তরঙ্গের অস্তিত্ব আছে। আজকালকার রেডিও টেলিস্কোপগুলো শুধু আলোর তরঙ্গই বিশ্লেষণ করে না, বেতার সঙ্কেতও বিশ্লেষণ করে। অনেক আগে থেকেই এ্যানালগ সিগন্যাল গ্রহণ প্রেরণের প্রযুক্তিটা উদ্ভাবন করেছিলেন পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা। যে কারণে ১৯৬৯ সালে চাঁদে মানুষ নামার দৃশ্য দেখা গিয়েছিল টেলিভিশনে।
তারপরে পৃথিবীর যোগাযোগ প্রযুক্তি অনেক উন্নত হয়েছে, ইন্টারনেট এসে অন্য সব যোগাযোগ প্রযুক্তিকে সেকেলে করে দিয়েছে। মঙ্গল গ্রহকে পৃথিবীর সঙ্গে এখন যুক্ত করা হয়েছে ইন্টারনেট অবকাঠামোর মাধ্যমে। ১৯৯৫ সালের দিকে ভিন্টসার্ফ নামের এক যোগাযোগ প্রযুক্তি বিজ্ঞানী প্রথম যখন বলেছিলেন ইন্টারপ্লানেটার ইন্টারনেটের কথা তখন অনেকে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন, কারণ তখন পর্যন্ত টেলিফোনের অবকাঠামো এবং অপটিক্যাল ফাইবার কেবল অবকাঠামো ছাড়া ইন্টারনেটের কথা চিন্ত করা যেত না। আসলে এফটিপি বা ফাইল ট্রান্সফার প্রটোকলকে যখন মাইক্রোওয়েভের মাধমে চালানো সম্ভব হয়েছিল তখনই খুলে গিয়েছিল ইন্টারপ্লানেটরি ইন্টারনেটের দরজা। কারণ পৃথিবীতে বেতার যোগাযোগ যে ধরনের তরঙ্গের মাধ্যমে হয় সেই একই ধরনের তরঙ্গ রয়েছে বিশ্বব্রহ্মা- জুড়ে। এ নিয়ে কাজ করতে করতেই কিন্তু পৃথিবীর জন্য স্যাটেলাইট ইন্টারনেট-ওয়্যারলেস ইন্টারনেট অবকাঠামোর উন্নতি ঘটছে।
প্রযুক্তির দিক থেকে এটি অনেকটাই পৃথিবীতে ব্যবহৃত হচ্ছে যে ইন্টারনেট তার মতোই। সেই এইচটিটিপি, জেপিইজি, এফট্রিপি ইত্যাদির সামান্য পরিবর্তিত উন্নততর সংস্করণ ব্যবহৃত হচ্ছে এ ক্ষেত্রে। তবে সবচেয়ে বড় ব্যতিক্রমের বিষয় দুটো হচ্ছে প্রটোকল এবং রিলে সিস্টেম। এ দুটোর ক্ষেত্রে বেশ বড় রকমের পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং এ জন্যই এ নেটওয়ার্কের জন্য সময় লাগছে। আমরা যেমন টিসিপি/আইপির সাহায্যে ইন্টারনেট যোগাযোগ সারছি সে রকমই সম্পূর্ণ বেতার অবকাঠামো নির্ভর আইআইপি বা ইন্টারপ্লানেটরি ইন্টারনেট প্রটোকল তৈরি করা হয়েছে। পৃথিবীর প্রটোকলের চেয়ে এর ধরন আলাদা করা হয়েছে। এ কারণে এ পথ দীর্ঘ ও বায়ুহীন। তার গতিশীলতা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে ভিন্নধর্মী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন ছিল। সেটা করা হয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে স্যাটেলাইট এবং জিপিআরএস রিলে পদ্ধতি। জিপিআরএস-এর সঙ্গে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর পরিচিতি এবং এর মাধ্যমে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার অনেক সহজ। সেটাই একটা ভিন্ন আঙ্গিকে ব্যবহার করা হচ্ছে এ ক্ষেত্রে। আলোর অদৃশ্য অংশ ইনফ্রারেড তরঙ্গও ব্যবহার করা হচ্ছে ফাইল এবং প্যাকেট পরিবহনের জন্য। এখন তাই স্পিরিটে পাওয়া যাচ্ছে রঙিন ছবি যা পাঠাতে বেশ বড় প্যাকেট সিস্টেম প্রয়োজন হয়েছে। ২০০৫ সালে নাসার যে নাম রেফন্নাসিয়াসে অরবিটার মঙ্গলে পৌঁছিয়েছিলো সেটা বড় জিনিসের ছবি তো তুলতে পেরেছেই, ৩০ সেন্টিমিটার আয়তনের বস্তুর ছবি তুলে বিশ্লেষণ করে সে তথ্যও পাঠাতে পেরেছিলো। এর ফলে দূর হয়েছে অনেক অনিশ্চয়তা এবং মঙ্গলে মানুষের যাওয়ার ও থাকার পথ সুগম হয়েছে বলেও অনেকে এখন বিশ্বাস করেন।
বিলিভ ইট অর নট!
কম্পিউটার অনেক কিছুকেই সহজ করে দেয়। কিন্তু কোনো কারণে কম্পিউটার ব্যবস্থায় যদি ঝামেলা দেখা যায় তবে কী হয়? নমুনা আছে: লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে গত জুলাই ২০১৯- এ একটি প্রধান বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটার ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ে। আর তাতে অনেকগুলো ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায়। তাই হিথরোর টারমিনাল ১-এ অপেক্ষারত যাত্রীদের সংখ্যা ক্রমেই বহুগুণ বাড়তে থাকে।
বিলিভ ইট অর নট!
বারকোড এখন লেগে যাবে মানুষের গায়েও। এমনটাই চিন্তা করছে ব্রিটিশ একটি হাসপাতাল। লন্ডনের চেরিং ক্রস হাসপাতাল প্রত্যেক রোগীর হাতে একটি ব্যান্ডে বারকোড দিয়ে দেবে। সেই বারকোড অনুযায়ী রোগীকে সঠিকভাবে শনাক্ত করে তার সব তথ্য জানা যাবে। ফলে রোগীর যখন যে ওষুধ দরকার তা সঠিকভাবে পাবেন। সঠিক সময়ে সঠিক মাত্রায় ওষুধ রোগী যাতে পান সে জন্যই এ ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনে করছেন। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যবিষয়ক পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্য অনুযায়ী সেদেশের হাসপাতালে গড়ে ৫ শতাংশ ভুল হয় সঠিক মাত্রার ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে। তবে রোগীরা এ বারকোড পদ্ধতিকে সাদরে গ্রহণ করবেন কি না তা নিয়ে সংশয় এখনো কাটেনি। কেননা হাতে বারকোড থাকলে রোগীরা নিজেদের একটি সুপার শপের তাকে থাকা চাল ডালের প্যাকেটের মতো ভাবতে পারেন।
0মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions