Home » » তথ্য ব্যবস্থায় কম্পিউটারের ভূমিকা

তথ্য ব্যবস্থায় কম্পিউটারের ভূমিকা

তথ্য ব্যবস্থায় কম্পিউটারের ভূমিকা

যেকোনো প্রতিষ্ঠান সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য সুষ্ঠু পরিকল্পানা ও স্ট্র্যাটেজি প্রয়োজন। আর পরিকল্পনা ও স্ট্র্যাটেজি প্রণয়নের জন্য প্রয়োজন সঠিক ও পর্যাপ্ত তথ্যের। যে প্রতিষ্ঠান তথ্য ব্যবস্থাপনায় যত বেশি দক্ষ ও পরিপক্ব, সে প্রতিষ্ঠান ততো বেশি দ্রুত সাফল্যের দোরগোঁড়ায় পৌঁছে যেতে সক্ষম (যদি অন্যান্য অবস্থা অনুকূলে থাকে)। বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতামূলক সুবিধায় (competitive advantage) থাকার জন্য সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকছে। আর এসব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কর্মকা- ও কৌশলিক ব্যবস্থাপনার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের উন্নততর ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করছে। বিভিন্ন আকারে ও পরিমাণে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে তথ্যের আগমন ঘটে। সাবধানি পদক্ষেপ নেওয়া না হলে তথ্যের বিশাল ভান্ডার অব্যবস্থাপনার শিকার হয়ে প্রতিষ্ঠানের জন্য গুরুতর বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তাই অনেক প্রতিষ্ঠানই এখন তথ্য ব্যবস্থাপনার উন্নততর কৌশল অনুসন্ধানে ব্যাপৃত। এ তথ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করার ক্ষেত্রে কম্পিউটার অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

তথ্য ব্যবস্থার সাথে কম্পিউটারের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তথ্য ব্যবস্থায় কম্পিউটারের কী কী ভূমিকা রয়েছে সেুগলো নিম্নে দেয়া হলো:


১. যোগাযোগ: দ্রুত যোগাযোগের ক্ষেত্রে কম্পিউটার এক বিপ্লব ঘটিয়েছে বলা চলে। ইন্টারনেট ও ই-মেইলের মাধ্যমে আমরা বিশ্বের যেকোনো স্থানে অবস্থিত কম্পিউটার থেকে তথ্য খুব দ্রুততার সঙ্গে সংগ্রহ এবং প্রেরণ করতে পারি। এছাড়া ইন্টারনেট, ফ্যাক্স, লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক ইত্যাদি ব্যবস্থার কারণেও তথ্যের দ্রুত আদানপ্রদান সম্ভব হচ্ছে।


২. কর্মী ব্যবস্থাপনা: উন্নত প্রযুক্তির অবদানের কারণে বর্তমানে কম্পিউটারের দ্বারা কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব হচ্ছে। এর জন্য যা প্রয়োজন তা হলো কর্মী ও সংগঠন সম্পর্কিত তথ্য। পরবর্তীতে এ তথ্যকে সার্বিকভাবে ব্যবস্থাপনা করছে কম্পিউটার। কর্মী সংক্রামত্ম যাবতীয় তথ্যের ব্যবস্থাপনার সমাদর দিনদিন সকল শিল্পকলকারখানায় বাড়ছে। কম্পিউটারের মাধ্যমে তথ্যের সঠিক বিশেস্নষণই এ জনপ্রিয়তা বাড়ার প্রধান কারণ।

৩. অফিস ব্যবস্থাপনা: তথ্য ব্যবস্থায় গুরম্নতব বেড়েছে অফিস ব্যবস্থাপনায় এর কার্যকারী ভূমিকার কারণে। আর অফিসের সকল অভ্যমত্মরীণ ও বাহ্যিক তথ্য প্রবাহকে সম্পূর্ণভাবে দক্ষতার সাথে নিয়ন্ত্রণ করছে কম্পিউটার। পূর্বে যখন কম্পিউটার ব্যতীত তথ্য ব্যবস্থাপনা হতো তখন তথ্য গ্রহণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিবাহিতকরণ, পরিকল্পনা, নথিভুক্তকরণ ও যোগাযোগ সাধন অত্যমত্ম জটিল একটি বিষয় মনে হতো। কিন্তু বর্তমানে আধুনিক অফিসের এ সমস্ত কার্যাবলি অত্যন্ত নৈপুণ্যের সাথে কম্পিউটার সম্পাদন করছে।

৪. সিদ্ধান্ত গ্রহণ: তথ্য ব্যবস্থার আধুনিকায়ন হয়েছে কম্পিউটারের দ্বারা। যাবতীয় তথ্য কম্পিউটারে সংরক্ষিত থাকার ফলে ব্যবস্থাপকীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ খুবই দ্রুততার সাথে সম্ভব হচ্ছে। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতার ওপরই নির্ভর করে ব্যবস্থাপকের নৈপুণ্য ও সংগঠনের সাফল্য। দ্রম্নত ও কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণে সুষ্ঠু তথ্য ব্যবস্থা যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, ঠিক তেমনি কম্পিউটার ভূমিকা রাখছে সঠিক তথ্য ব্যবস্থা ব্যবস্থাপনায়।

৫. পরিকল্পনা প্রণয়ন: পূর্বেই আলোচিত হয়েছে যে বর্তমানে সকল প্রতিষ্ঠানই কম্পিউটারের মাধ্যমে তথ্যকে ব্যবস্থাপনা করছে। এর মাধ্যমে ব্যবস্থাপকগণ সময় উপযোগী অত্যন্ত কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে পারছে। তথ্য ব্যবস্থার সাহায্য নিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়নে কম্পিউটারের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজার, সামাজিক ইস্যু, নিরাপত্তা, গোপনীয়তা, নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে তথ্য ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে কম্পিউটারের মাধ্যমে।

0মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comment below if you have any questions

Contact form

নাম

ইমেল*

বার্তা*