rh ফ্যাক্টর কি
Rh ফ্যাক্টর
রক্তে A, B ও ABO অ্যান্টিজেন ছাড়াও লোহিত কণিকার ঝিল্লিতে আরও এক ধরনের অ্যান্টিজেন রয়েছে। গবেষণায় ব্যবহৃত রেসাস (Rhesus) নামক এক প্রকার বানরের নাম অনুসারে এ অ্যান্টিজেনটির নাম রাখা হয় রেসাস ফেক্টর বা Rh factor। যেসব মানুষের রক্তে Rh factor উপস্থিত তাদের Rh+ (Rh পজেটিভ) এবং যাদের রক্তে Rh factor অনুপস্থিত, তাদের Rh- (Rh নেগেটিভ) বলে।
Rh ফ্যাক্টরের গুরুত্ব (Importance of Rh Factor)
আকস্মিক রক্তপাত, দুর্ঘটনার কারণে অনেক সময় রোগীর দেহে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। এ সময় জরুরীভিত্তিতে এ অভাব পূরণের জন্য রক্ত দান প্রয়োজন হয়ে পড়ে। রক্তদান কার্যে Rh (নেগটিভ) রক্ত যেরূপ সমস্যার সৃষ্টি করে Rh (পজেটিভ) রক্ত সেরূপ সমস্যার সৃষ্টি করে না। Rh পজেটিভ ধারী ব্যক্তির রক্তে অন্য ব্যক্তির রক্ত দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু Rh নেগেটিভ রক্তের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়। এমন ব্যক্তিকে Rh রক্তদান করলে রক্তের রক্তরস বা প্লাজমায় (Plasma) Rh বিরোধী উপাদান উৎপন্ন হয়। ফলে রক্ত গ্রহীতার দেহের রক্ত অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। প্রথমবার রক্তদানের জন্য গ্রহীতার দেহে কোনো অসুবিধা সৃষ্টি হয় না। তবে ভবিষ্যতে দ্বিতীয়বার ঐ ব্যক্তির দেহে Rh রক্ত দিলে প্রদত্ত রক্তের লোহিত কণিকা জড়িয়ে যায় ও লোহিত কণিকা বিনষ্ট হয়।
গর্ভবর্তী স্ত্রী লোকের ক্ষেত্রে Rh বিরোধী উপাদান খুব ধীরে ধীরে সৃষ্টি হয় তাই প্রথম সন্তানটি জন্মের পর সুস্থ থাকে। কিন্তু পরবর্তীতে দ্বিতীয়বার ঐ স্ত্রীলোক গর্ভবর্তী হলে জটিলতা দেখা দেয়। Rh বিরোধী অ্যান্টিবডি সৃষ্টির কারণে ভ্রূণের ক্ষতিসাধন হয় এমনকি ভ্রূণের মৃত্যু ঘটে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions