ইনসুলিন কি
ইনসুলিন (insulin)
ইনসুলিন ল্যাটিন শব্দ insula (দ্বীপ) থেকে নেওয়া হয়েছে। অগ্ন্যাশয়ের বিটাকোষ থেকে নিঃসৃত ইনসুলিন নামক এই হরমােন প্রথম আবিষ্কার (১৯২২) করেন ব্যানটিং (Sir Frederick G. Banting) ও বেস্ট (Charles Best)। ইনসুলিনের নিঃসরণ নির্ভর করে রক্তে শর্করার মাত্রার উপর । রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে গেলে ইনসুলিনের নিঃসরণ হ্রাস পায় এবং শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে ইনসুলিনের নিঃসরণ বৃদ্ধি পায় ।
ইনসুলিন শ্বেতসার, আমিষ ও চর্বির বিপাকপ্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। ইনসুলিনের প্রধান কাজ রক্তে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রায় রাখা। ইনসুলিনের অভাবে ডায়াবেটিস রোগ দেখা দেয়। ইনসুলিনের উৎস বিটাকোষ নষ্ট হবার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। বংশগত বৈশিষ্ট্য, ভাইরাস সংক্রমণ এবং অন্যান্য অজানা কারণে বিটাকোষ বিনষ্ট হয়ে থাকে।
ডায়াবেটিস মেলিটাসের চিকিৎসায় ইনসুলিন ব্যবহৃত হয়ে থাকে। পাকস্থলীর জারক-রসের কার্যকারিতা নষ্ট হবার কারণে ইনসুলিন মুখে খাবার পরিবর্তে ইনজেকশন হিসাবে নেওয়া হয়। কার্যকাল ভিত্তিতে একাধিক প্রকার ইনসুলিন রোগীর প্রয়োজন | অনুযায়ী ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।
অগ্নাশয় একটি মিশ্র গ্রন্থি। অগ্ন্যাশয়ের অন্তঃক্ষরা অংশের নাম আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহ্যানস। এ অংশ হতে নিঃসৃত চিনির বিপাক নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন হচ্ছে ইনসুলিন।
অগ্ন্যাশয়ের আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহ্যানস- এর বিটা কোষ থেকে নিঃসৃত হরমোনকে ইনসুলিন বলে। একটি প্রোটিনজাতীয় হরমোন। ইনসুলিনের অভাবে বা কম নিঃসরণের ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এ অবস্থায় মুত্রের সাথে গ্লুকোজ দেহ থেকে বের হয়ে যায়। একে মধুমেহ বা বহুমুত্র বলে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions