কেপলারের সূত্র
কেপলারের সূত্র (Kepler's law)
জার্মান গণিতবিদ ইওহানেস্ কেপলার ১৬০৯
সালে এবং ১৬১৯ সালে মহাকাশের গ্রহসমূহের গতির নিয়মানুবর্তিতা সম্বন্ধে
তিনটি সূত্র উপস্থাপন করেন। এগুলিই কেপলারের সূত্র নামে পরিচিত। সূত্রগুলি
হল :
কেপলারের প্রথম সূত্র
১. প্রতিটি গ্রহই সূর্যকে একটি নাভি (Focus) তে রেখে উপবৃত্তাকার পথে ঘূর্ণায়মান ।
কেপলারের ২য় সূত্র
২. গ্রহ এবং সূর্যের সংযোজক রেখা সমান সময়ে সমান ক্ষেত্রফল অতিক্রম করে ।
কেপলারের ৩য় সূত্র
৩. সূর্যের চারিদিকে প্রতিটি গ্রহের আবর্তনকালের বর্গ, সূর্য থেকে ঐ গ্রহের দূরত্বের ঘনফলের সমানুপাতিক।
প্রথম ও দ্বিতীয় সূত্র ১৬০৯ সালে এবং তৃতীয় সূত্রটি ১৬১৯ সালে প্রকাশিত হয় ।
কেপলারের সূত্রসমূহকে নিম্নোক্ত উপায়েও ব্যাখা করা হয়:
১। উপবৃত্ত সূত্র: প্রতিটি গ্রহ সূর্যকে উপবৃত্তের নাভিতে বা ফোকাসে রেখে একটি উপবৃত্তাকার পথে প্রদক্ষিণ করছে।
২। ক্ষেত্রফল সূত্র: গ্রহ ও সূর্যের সংযোগকারী ব্যাসার্ধরেখা সমান সময়ে সমান ক্ষেত্রফল অতিক্রম করে।
৩।সময়ের সূত্র: প্রতিটি গ্রহের পর্যায়কালের বর্গ সূর্য হতে এর গড় দূরত্বের ঘণফলের সমানুপাতিক।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions