সাধারণ জ্ঞান
তরঙ্গ কাকে বলে
যে পর্যাবৃত্ত আন্দোলন কোন জড় মাধ্যমের এক স্থান থেকে অন্যস্থানে শক্তি সঞ্চারিত করে কিন্তু মাধ্যমের কণাগুলোকে স্থানান্তরিত করে না তাকে তরঙ্গ বলে।
তরঙ্গ সংক্রান্ত সংজ্ঞা:
১। পূর্ণস্পন্দন: তরঙ্গ সঞ্চারকারী কোন কণা কোন বিন্দু থেকে যাত্রা আরম্ভ করে আবার একই দিক থেকে সেই বিন্দুতে ফিরে এলে তাকে পূর্ণ স্পন্দন বলে।
২। পর্যায়কাল বা দোলনকাল: তরঙ্গ সঞ্চারকারী কোন কণার একটি পূর্ণ স্পন্দন সম্পন্ন করতে যে সময় লাগে তাকে ঐ তরঙ্গের পর্যায়কাল বলে।
৩। কম্পাঙ্ক: তরঙ্গ সঞ্চারকারী কোন কণা সাম্যাবস্থান থেকে যে কোন একদিকে সর্বাধিক যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে তরঙ্গের বিস্তার বলে।
৪। দশা: তরঙ্গ সঞ্চারকারী কোন কণার যে কোন মুহূর্তের গতির সম্যক অবস্থাকে তার দশা বলে। কোন একটি মুহূর্তে গতির অবস্থা বলতে ঐ বিশেষ মূহূর্তে কণাটির সরণ, বেগ, ত্বরণ ইত্যাদি বুঝায়।
৫। তরঙ্গদৈর্ঘ্য: তরঙ্গ সঞ্চারকারী কোন কণার একটি পূর্ণ স্পন্দন সম্পন্ন হওয়ার সময়ে তরঙ্গ যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে তরঙ্গদৈর্ঘ্য বলে।
৬। তরঙ্গবেগ: তরঙ্গ নির্দিষ্ট দিকে একক সময়ে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে তরঙ্গ বেগ বলে।
তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য:
১। মাধ্যমের কণার স্পন্দন গতির ফলে তরঙ্গ সৃষ্টি হয় কিন্তু মাধ্যমের কণা স্থানান্তরিত হয় না, শুধু আন্দোলন মাধ্যমের ভিতর দিয়ে তরঙ্গাকারে সঞ্চারিত হয়।
২। তরঙ্গবেগ মাধ্যমের কণাগুলোর স্পন্দনের বেগের থেকে আলাদা। মাধ্যমের সব জায়গায় তরঙ্গবেগে একই থাকে কিন্তু মাধ্যমের কণাগুলো বিভিন্ন বেগে স্থানান্তরিত হয়। সাম্যাবস্থানে কণাগুলো বেগ সবচেয়ে বেশি।
৩। সব তরঙ্গই শক্তি ও তথ্য সংগ্রহ করে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions