মেসওয়াক ব্যবহার করার নিয়ম?
১. মেসওয়াক শুরু করার পূর্বে ভিজিয়ে নেয়া উত্তম।
২. প্রথমে উপরের দাঁতের ডান দিকে অতঃপর বাম দিকে, তারপর দাঁতের ভিতরের দিকে অনুরূপ ভাবে ঘষতে হবে ।
৩. এভাবে তিনবার ঘষা উত্তম। প্রতিবারেই নতুন পানি দিয়ে মেসওয়াক ধুয়ে নেয়া মোস্তাহাব।
৪. মেসওয়াক দাঁতের অগ্রভাগে, উপর ও নীচের তালুর অগ্রভাগে এবং জিহবার উপরিভাগেও করা উত্তম।
৫. মেসওয়াক দাঁতের উপর চওড়াভাবে ঘষা নিয়ম। উপর নীচ-ভাবে ঘষালেও সমস্যা নাই।
৬. শোয়া অবস্থায় মেসওয়াক করা মাকরূহ।
৭. মেসওয়াক করার পর মেসওয়াক ধুয়ে দাঁড় করিয়ে রাখবে।
মেসওয়াক-বিষয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা:
১. মেসওয়াক পীলু বা যয়তুনের ডালের হওয়া উত্তম।
২. মেসওয়াক কনিষ্ঠ আঙ্গুলের মত মোটা হওয়া উত্তম। |
৩. মেসওয়াক প্রথমে এক বিঘত পরিমাণ লম্বা হওয়া উত্তম।
৪. মেসওয়াক নরম হওয়া মোনাসেব।
৫. মেসওয়াক কম গিরা সম্পন্ন হওয়া উত্তম।
৬. মেসওয়াকের ডাল কাঁচা হওয়া উত্তম।
মেসওয়াক ধরার নিয়ম:
১. মেসওয়াক ডান হাতে ধরা মোস্তাহাব।
২. মেসওয়াক ধরার নিয়ম হল ও কনিষ্ঠ আঙ্গুল মেসওয়াকের নীচে, বৃদ্ধ আঙ্গুলের অগ্রভাব মেসওয়াকের উপরের দিকে নীচে এবং অবশিষ্ট আঙ্গুলগুলো (মধ্যের তিন আঙ্গুল) মেসওয়াকের উপরে রাখবে।
বিঃ দ্রঃ মেসওয়াক না থাকলে মেসওয়াকের বিকল্প হিসেবে ব্রাশ ব্যবহার করা যায়। অন্যথায় হাত দিয়ে বা মোটা কাপড় দিয়ে দাঁত মেজে নিতে হবে। হাত দিয়ে মাজার নিয়ম হল: ডান হাতের বৃদ্ধ আঙ্গুল দিয়ে ডান পাশের দাতের উপরে অতঃপর নীচে, তারপর শাহাদাত (তর্জনী) আঙ্গুল দিয়ে বাম পাশের দাঁতের উপরে অতঃপর নীচে ঘষতে হবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions