যেনা (ব্যভিচার)
যেনা অর্থাৎ, নারীর সতীত্ব নষ্ট করা এবং পুরুষের চরিত্র নষ্ট করা। এটা অতি জঘন্য কবীরা গোনাহ। বিবাহিত অবস্থায় যেনা করলে এবং তা স্বীকার করলে অথবা চারজন সত্যবাদী চাক্ষুস সাক্ষীর দ্বারা প্রমাণিত হলে তার শাস্তি | পাথর মেরে প্রাণ বধ করে ফেলাননা ! আর অবিবাহিত অবস্থায় অনুরূপ ভাবে। যেনা প্রমাণ হলে তার শাস্তি একশত বেত্রাঘাত। তবে উল্লেখ্য যে, একমাত্র | শরঈ কাজীই এ শাস্তি প্রয়োগ করতে পারে, অন্য কেউ নয়।
যেনা থেকে বাঁচার উপায়
যেনা থেকে বেঁচে থাকার জন্য যা যা করতে হবে :
১. যেনার উপসর্গ যেমন প্রেমালাপ, গোপন যোগাযোগ, গায়র মাহরামের সাথে নির্জন বাস, পর্দা লংঘন ইত্যাদি থেকে বেঁচে থাকা।
২. যেনার কারণে জাহান্নামের যে কঠিন শাস্তি হবে তা স্মরণ করা।
৩. একথা স্মরণ করা যে, আল্লাহ সব কিছুই দেখেন, আমার এ অবস্থাও তিনি দেখবেন এবং কোন মানুষ এখন না দেখলেও কিয়ামতের ময়দানে সকলের সামনে এটা প্রকাশ করে দেয়া হবে। তখন শরমের অন্ত থাকবে না।
৪. বিবাহ না করে থাকলে বিবাহ করা, না পারলে রোযা রাখা। আর স্ত্রী থাকার পরও কোন নারীর প্রতি খাহেশ হলে এই চিন্তা করা যে, তার যা আছে আমার স্ত্রীরওতো তা আছে, তাহলে অহেতুক কেন তার প্রতি ঝুঁকতে হবে?
৫. যেনার খাহেশ প্রবল হলে নিম্নোক্ত আয়াত তিনবার পড়ে শরীরে ফুঁ দিবে:
بث الله الذين آمنوا بالقول الثابت في الحيوة الدنيا وفي الآخرة، | ويضل الله الظلمين ويفعل الله ما يشاء ۔
৬. যে নারীর সাথে যেনার কামনা জাগে বা যে পরিবেশে যেনার সুযোগ সৃষ্টি | হয় সেখান থেকে দূরে সরে যাওয়া।
৭. যে বুযুর্গের প্রতি ভক্তি আছে তার সম্পর্কে নির্জনে কিছুক্ষণ বসে এই কল্পনা করবে যে, তিনি আমার অন্তরের মধ্যে বসে আমার অন্তর থেকে সব জঞ্জাল ধরে ধরে বাইরে নিক্ষেপ করছেন।
৮. যে সব কথা শুনলে, যেখানে গেলে বা যা দেখলে কিংবা যা পড়লে অথবা যা চিন্তা করলে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টি হয় বা যেনার মনােভাব জাগ্রত হয় তা থেকে বিরত থাকা।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions