অবৈধ প্রেম থেকে বাঁচার উপায়
কোন নারী বা বালকের অবৈধ প্রেমে পড়লে তা থেকে পরিত্রাণের জন্য যা যা করতে হবে :
১. প্রথমতঃ বুঝতে হবে যে, সাহস কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করা ব্যতীত কোন সহজ কাজও হয় না। শরীরের সামান্য রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে গেলেও তিক্ত ঔষধ সেবন করতে হয়। জাহিরী রোগের যখন এই অবস্থা, তখন অভ্যন্তরীণ রোগের ক্ষেত্রেতো আরও বেশী ত্যাগ ও কষ্ট স্বীকারের জন্য মনকে প্রস্তুত করতে হবে।
২. তার সাথে কথা-বার্তা, দেখা-শুনা, আসা-যাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে হবে। অন্য কেউ তার আলোচনা করলে তাকে বাধা দিতে হবে এবং লৌকিকভাবে হলেও যার প্রেমে পড়েছে পরিকল্পিতভাবে এক এক বাহানায় তার সমালোচনা করতে থাকবে।
৩. একটা নির্জন সময়ে গোসল করে পরিষ্কার কাপড় পরিধান করে আতর ও সুগন্ধি মেখে দুই রাকআত তওবার নামায পড়বে এবং কেবলামুখী অবস্থায় বসে খুব তওবা এস্তেগফার করে এই বিপদ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর নিকট দু'আ করবে এবং পাঁচশত থেকে এক হাজার বার লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ এর যিকির করবে। লা-ইলাহা বলার সময় ঘাড় ডান দিকে ঘুরাবে এবং এই ধ্যান করবে যে, আল্লাহ ব্যতীত সবকিছুকে অন্তর থেকে বের করে দিলাম। অতঃপর ইল্লাল্লাহ বলার সময় বাম স্তনের সামান্য নীচের দিকে খেয়াল করে মাথা সেদিকে স্বজোরে ঝুকাবে আর ধ্যান করবে যে, আল্লাহর মহব্বত অন্তরে গেঁথে দিলাম ।
৪. যে বুযুর্গের প্রতি ভক্তি আছে তাঁর সম্পর্কে এই কল্পনা করবে যে, তিনি আমার অন্তরের মধ্যে বসে আমার অন্তর থেকে সব জঞ্জাল ধীরে ধীরে বাইরে নিক্ষেপ করছেন।
৫. দোযখের বর্ণনা এবং আল্লাহর নাফরমানীর কারণে আল্লাহ কিরূপ অসন্তুষ্ট হন-এ জাতীয় বর্ণনা যে কিতাবে আছে এমন কোন কিতাব বা হাদীছের গ্রন্থ পাঠ করবে।।
৬. একটা নির্দিষ্ট সময়ে নির্জনে বসে এ চিন্তা করবে যে, আমি কিয়ামতের ময়দানের আল্লাহর সামনে দণ্ডায়মান রয়েছি আর আল্লাহ আমাকে ধমক দিয়ে বলছেন, “হে বেহায়া, বেশরম! তোমার লজ্জা হয় না, আমাকে ছেড়ে একটা মুরদার দিকে ঝুঁকে পড়লে? এর জন্য তোমাকে আমি পয়দা করে ছিলাম? বেহায়া, আমার দেয়া চোখ আমার দেয়া অন্তরকে তুমি আমার নাফরমানীর কাজে ব্যবহার করলে? তোমার শরম হয় না? ইত্যাদি ইত্যাদি।
বিঃ দ্রঃ এ সব আমল করতে থাকবে, ফল পেতে দেরী হলেও পেরেশান হবে না। চেষ্টাতেও তো ছওয়াব পাওয়া যাবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions