বাংলা ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ
বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। অথচ লেখার ক্ষেত্রে দেখা যায়, আমরা প্রায়ই নানা ধরনের অশুদ্ধি ঘটিয়ে ফেলছি। যেমন বানান ভুল করি, তেমনি বাক্য নির্মাণেও অপপ্রয়োগ ঘটাই।
ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগ সম্পর্কে দক্ষতা অর্জনের জন্যে প্রয়োজন ব্যাকরণ-জ্ঞান, শব্দ ও বাক্যের অপপ্রয়োগ সম্পর্কে বিশেষ ধারণা এবং সেগুলো নিরসনে সতর্কতা ও সচেতন প্রয়াস।
মুদ্রণ ও লেখায় ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে লক্ষণীয় ত্রুটির ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে:
ক. বানানের অশুদ্ধি;
খ. বাক্যে পদের অপপ্রয়োগ;
গ. বাক্যে পদবিন্যাসের ত্রুটি;
ঘ. সাধু ও চলিতরীতির মিশ্রণজনিত ত্রুটি।
ক. বানানের অশুদ্ধি : শব্দের উচ্চারণ অসতর্কতার কারণে বানানে ভুল হয়। উচ্চারণ সম্পর্কে অজ্ঞতা এবং উচ্চারণে আঞ্চলিকতার প্রভাব থাকলে প্রায়ই বানানে ভুল হয়। একই ধ্বনির জন্যে একাধিক হরফ' এবং সমধ্বনিযুক্ত ব্যঞ্জনের আধিক্য' বানান ভুলের জন্য মুল কারণগুলোর অন্যতম। বানানের সঠিক নিয়ম জানা না থাকলে বানান ভুল হওয়াই স্বাভাবিক। ভাষার গতি-প্রকৃতি পরিবর্তনের কারণে বানানের যে পরিবর্তন হয় সে সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য না জানা থাকলে বানানে ভুল হতে পারে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বাের্ড এবং বাংলা একাডেমি যথাক্রমে ১৯৩৭, ১৯৮৮, ১৯৯২ ও ২০১২ সালে বাংলা বানানের যে নিয়ম নির্ধারণ ও সুপারিশ করেছে; বানান সঠিকভাবে লেখার জন্য সেসব নির্ধারিত নিয়ম ও সুপারিশ সম্পর্কে অবগত থাকা দরকার। এ ছাড়াও শুদ্ধ বানানের জন্য ব্যাকরণ-জ্ঞান অপরিহার্য। সন্ধি, সমাস, উপসর্গ ও প্রত্যয় সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকলে শব্দ ও পদের গঠনরীতি জানা না থাকায় যেসব বানানে ভুল হয় সেসব পরিহার করা যায়। ণত্ব বিধান, ষত্ব বিধান সরাসরি বানানের সঙ্গে যুক্ত বলে ব্যাকরণ-জ্ঞান দ্বারা ণত্ব বিধান বা ষত্ব বিধান ঘটিত বানানের ভুলগুলো সহজেই এড়ানো সম্ভব হয়। এসব ছাড়াও সমােচ্চারিত শব্দের অর্থ ও বানান পার্থক্য সম্বন্ধে সতর্ক থেকে বানানোর ভুল এড়ানো যায়।
খ, বাক্যে পদের অপপ্রয়োগ : একটি শব্দের অর্থ সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকলে বাক্যে শব্দের অপপ্রয়োগ ঘটার সম্ভাবনাই বেশি। ক্রিয়া, বিশেষ্য, বিশেষণ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা না থাকলে, বাক্যে পদবিন্যাসগত ত্রুটি ঘটে। বিশেষ করে বিশেষ্যবিশেষণ যথাযথরূপে চিহ্নিত করে সেগুলোকে বাক্যে যথাযথভাবে প্রয়োগ করা উচিত। উৎকর্ষ, সারল্য প্রভৃতি বিশেষণবিশেষ্য সম্পর্কে প্রয়োগকারীর ধারণার অভাবেই বাক্যে অপপ্রয়োগ হয়ে থাকে। লিঙ্গ, বচন প্রভৃতি ব্যাকরণ-সিদ্ধ জ্ঞানের আলোকেই বাক্যে প্রয়োগ করা উচিত।
গ. বাক্যে পদবিন্যাসের ত্রুটি : শুদ্ধ বাক্যের জন্য অবশ্যই বাক্যে অভ্যন্তরীণ সুশৃঙ্খল পদবিন্যাস থাকা দরকার। ইচ্ছেমতো এলোমেলো পদসংস্থান চলে না। পদশৃঙ্খলার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন রয়েছে। এসব নিয়ম-কানুন মেনে বাক্যে পদসংস্থান করা উচিত। তবে বাক্যশৈলীর প্রয়োজনে বাংলা বাক্যের নিয়ম মেনে সম্মুখন ও পদবিপর্যয় ঘটানো চলে। বাক্যে পদসংস্থান সম্পর্কে প্রায়োগিক ধারণা না থাকলে পদবিন্যাস ও অর্থের দিক থেকে বাক্য ত্রুটিপূর্ণ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
ঘ. সাধু ও চলিতরীতির মিশ্রণজনিত ত্রুটি : সাধু ও চলিত ভাষার দুই রীতির যে কোনো একটিতে বেছে নিতে হয় বাক্য তৈরির সশয়। এ দুই রীতির সংমিশ্রণ দূষণীয় বলে গণ্য হয় সাধু ও চলিত রীতির মিশ্রণকে ‘গুরুচণ্ডালী’ দোষ বলা হয়। ‘গুরুচণ্ডালী দোষে ভাষা দুর্বল ও শিথিল হয়ে পড়ে (কথাসাহিত্য ও নাটকের সংলাপ অবশ্য ব্যতিক্রম)। এসব কারণেই ভাষার এ দুই রীতির মিশ্রণ যাতে না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা উচিত।
নিম্নে বাংলা ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ এর কিছু উদাহরণ দেয়া হলো:
বাংলা ভাষার অপপ্রয়োগ:
১। অন্নাভাবে প্রতি ঘরে ঘরে হাহাকার।
২। অপব্যয় একটি মারাত্মক ব্যাধি।
৩। অতিলোভে তাতী নষ্ট।
৪। অতিশয় দুঃখিত হলাম।
৫। অভাবগ্রস্থ ছাত্রটি তার দুরাবস্থার কথা সাশ্রনয়নে বর্ণনা। করল।
৬। অল্প দিনের মধ্যে তিনি আরোগ্য হলেন।
৭। আইনানুসারে তিনি একাজ করতে পারেন না।
৮। আপনার সঙ্গে আমার গোপন পরামর্শ আছে।
৯। আবশ্যকীয় ব্যয়ে কার্পণ্যতা অনুচিৎ।
১০। আবশ্যকীয় কাগজপত্র নিয়ে আসবেন।
১১। আমাদের উচিত নহে উন্নতির পথে কুঠারাঘাত করা।
১২। আমার আর বাঁচিবার স্বাদ নেই।
১৩। আমার এ পুস্তকের কোনো আবশ্যক নেই।
১৪। আমার এ কাজে মনোযোগীতা নেই।
১৫। আজকালকার মেয়েগুলো যেমন মুখরা তেমন বিদ্যানও বটে।
বাংলা ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগ:
১। অন্নাভাবে প্রতি ঘরে হাহাকার বা অন্নাভাবে ঘরে ঘরে হাহাকার।
২। অপচয় একটি মারাত্মক অভ্যাস।
৩। অতি লোভে তাঁতি নষ্ট।
৪। খুব দুঃখ পেলাম।
৫। অভাবগ্রস্ত ছাত্রটি তার দুরবস্থার কথা অপূর্ণ নয়নে বর্ণনা। করল।
৬। অল্পদিনের মধ্যে তিনি আরোগ্য লাভ করলেন।
৭। আইনত তিনি এ কাজ করতে পারেন না।
৮। আপনার সঙ্গে আমার একটি গোপনীয় পরামর্শ আছে।
৯। আবশ্যক ব্যয়ে কৃপণতা (বা কার্পণ্য) অনুচিত।
১০। আবশ্যক কাগজপত্র নিয়ে আসবেন।
১১। উন্নতির মূলে কুঠারাঘাত করা আমাদের উচিত নহে।
১২। আমার আর বাঁচার সাধ নেই।
১৩। আমার এ পুস্তকের কোনো আবশ্যকতা নেই।
১৪। আমার এ কাজে মনোযোগ নেই।
১৫। আজকালকার মেয়েগুলো যেমন মুখরা তেমন বিদুষীও বটে।
বাংলা ভাষার অপপ্রয়োগ:
১। আমি তোমাকে অন্তরের অন্তঃস্থল হতে ধন্যবাদ দিলাম।
২। আমি তোমার কাছে কৃতজ্ঞতা রইলাম।
৩। আমি আপনার জ্ঞাতার্থে এই সংবাদ লিখলাম।
৪। আমি এ ঘটনা চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করেছি।
৫। আমি ও আমার মামা ঢাকা গিয়েছিলাম।
বাংলা ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগ:
১। আমি তোমাকে অন্তরের অন্তঃস্থল হতে ধন্যবাদ জানালাম।
২। আমি তোমার নিকট কৃতজ্ঞ রইলাম।
৩। আমি আপনার অবগতির জন্যে (বা আপনাকে আপনার্থে) এই সংবাদ লিখলাম।
৪। আমি এ ঘটনা স্বচক্ষে দেখেছি। / আমি এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি।
৫। আমার মামা ও আমি ঢাকা গিয়েছিলাম।
বাংলা ভাষার অপপ্রয়োগ:
১। আমি তোমাকে অন্তরের অন্তঃস্থল হতে ধন্যবাদ দিলাম।
২। আমি তোমার কাছে কৃতজ্ঞতা রইলাম।
৩। আমি আপনার জ্ঞাতার্থে এই সংবাদ লিখলাম।
৪। আমি এ ঘটনা চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করেছি।
৫। আমি ও আমার মামা ঢাকা গিয়েছিলাম।
বাংলা ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগ:
১। আমি তোমাকে অন্তরের অন্তঃস্থল হতে ধন্যবাদ জানালাম।
২। আমি তোমার নিকট কৃতজ্ঞ রইলাম।
৩। আমি আপনার অবগতির জন্যে (বা আপনাকে আপনার্থে) এই সংবাদ লিখলাম।
৪। আমি এ ঘটনা স্বচক্ষে দেখেছি। / আমি এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি।
৫। আমার মামা ও আমি ঢাকা গিয়েছিলাম।
বাংলা ভাষার অপপ্রয়োগ:
১। আমি সন্তোষ হলাম।
২। আমি সাক্ষী দিব না।
৩। আমি গীতাঞ্জলী পড়েছি।
৪। আমি তার আগমন সংবাদে সন্তোষ হয়েছি।
৫। আমি, তুমি ও তিনি আজ বাগানে যাবেন।
৬। উৎপন্ন বৃদ্ধির জন্যে কঠোর পরিশ্রম প্রয়োজন।
৭। একের লাঠি দশের বোঝা।
৮। এমন অসহ্যনীয় ব্যাথ্যা আমি আর কখনো অনুভব করিনি।
৯। এটা লজ্জাস্কর ব্যাপার।
১০। এর আবশ্যক নেই।
১১।এক সদ্যজাত শিশুর সর্বাংগিন কুশলতা কামনা করে তিনি কাব্যিকতা করেছেন।
১২। একটা গোপন কথা বলি।
১৩। কন্যার বাপ সবুর করতে পারতেন, কিন্তু বরের বাপ সুবুর করিতে চাহিলেন না।
১৪। কালীদাস বিখ্যাত কবি।
১৫। কীর্তিবাস বাংলা রামায়ন লিখেছেন।
১৬। কুপুরুষের মতো কথা বলছো কেন?
বাংলা ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগ:
১। আমি সন্তুষ্ট হলাম।
২। আমি সাক্ষ্য দেব না।
৩। আমি গীতাঞ্জলি পড়েছি।
৪। আমি তার আগমন সংবাদে সন্তুষ্ট হয়েছি।
৫। তিনি, তুমি ও আমি আজ বাগানে যাব।
৬। উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যে কঠোর পরিশ্রম প্রয়োজন।
৭। দশের লাঠি একের বোঝা।
৮। এমন অসহ্য (বা অসহনীয়) ব্যথা আমি আর কখনও অনুভব করিনি।
৯। এটা লজ্জাকর ব্যাপার।
১০। এর আবশ্যকতা নেই।
১১। এক সদ্যোজাত শিশুর সর্বাঙ্গীন কুশল কামনা করে তিনি কাব্য রচনা করেছেন।
১২। একটা গোপনীয় কথা বলি।
১৩। কন্যার বাপ সবুর করতে পারতেন, কিন্তু বরের বাপ সবুর করতে চাইলেন না।
১৪। কালিদাস বিখ্যাত কবি।
১৫। কীর্তিবাস বাংলা রামায়ণ লিখেছেন।
১৬। কাপুরুষের মতো কথা বলছো কেন?
বাংলা ভাষার অপপ্রয়োগ:
১। গণিত শাস্ত্র সকলের নিকট নিরস নহে।
২। ঘটনাটি শুনে গ্রামবাসী আশ্চর্য হয়ে গেল।
৩। ছেলেটি বংশের মাথায় চুনকালি দিল।
৪। ছেলেটি ভয়ানক মেধাবী।
৫। তোমার দ্বারা সে অপমান হয়েছে।
৬। তোমার তিরস্কার বা পুরষ্কার কিছুই চাই না।
৭। তিনি স্বস্ত্রীক কুমিল্লা বাস করেন। তা প্রমাণ হয়েছে।
৮। তাকে স্বপরিবারে দাওয়াত করে।
৯। তার বৈমাত্রেয় সহোদর ডাক্তার।
১০। তাদের মধ্যে বেশ সখ্যতা দেখতে পাই।
১১। তার দুর্দমনীয় অধ্যবসায় সত্যিই প্রশংসনীয়।
১২। তার চেষ্টা নিস্ফল হলো।
বাংলা ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগ:
১। গণিত শাস্ত্র সকলের নিকট নীরস নহে।
২। ঘটনাটি শুনে গ্রামবাসী আশ্চার্যান্বিত হয়ে গেল।
৩। ছেলেটি বংশের মুখে চুনকালি দিল।
৪। ছেলেটি অত্যন্ত মেধাবী।
৫। তোমার দ্বারা সে অপমানিত হয়েছে।
৬। তোমার কাছ থেকে তিরস্কার বা পুরস্কার কিছুই চাই না।
৭। তিনি সস্ত্রীক কুমিল্লায় বাস করেন। তা প্রমাণিত হয়েছে।
৮। তাকে সপরিবারে দাওয়াত করো।
৯। তার সহোদর ডাক্তার।/ তার বৈমাত্রেয় ডাক্তার।
১০। তাদের মধ্যে বেশ সখ্য দেখতে পাই।
১১। তার অধ্যবসায় সত্যিই প্রশংসনীয়।
১২। তার চেষ্টা নিষ্ফল হলো।
বাংলা ভাষার অপপ্রয়োগ:
১। তার উদ্ধতপূর্ণ আচরণে ব্যথিত হয়েছি।
২। তার সাংঘাতিক আনন্দ হলো।
৩। তোমার তথ্য গ্রাহ্যযোগ্য নয়।
৪। তাহারা বাড়ি যাচ্ছে।
৫। তাহাকে এখান থেকে যাইতে হবে।
৬। তুমি কি বার্ষীক ক্রীরা প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করবে না?
৭। তুমি, করিম ও আমি আজ পড়তে যাব।
৮। তুমিই টাকাটা আত্মসাৎ করেছ।
৯। দৈন্যতা প্রশংসনীয় নয়।
১০। দিবারাত্রি পরিশ্রমে তার শারীরিক স্বাস্থ্য ভঙ্গ হয়েছে।
১১। নূতন নূতন ছেলেগুলো স্কুলে বড় উৎপাত করছে।
১২। নিপরাধী, নিস্পাপীকে শাস্তি দেবে কেন?
১৩। পূর্বদিকে সূর্য উদয় হয়।
১৪। পরপকার মানুষত্বের পরিচায়ক।
১৫। পরবর্তীতে আপনি আসবেন।
১৬। পড়াশোনায় তোমার মনোযোগীতা দেখতেছি না।
১৭। পরিষ্কার পোশাক পরিহিত ছেলেটি উড়োজাহাজের আবিষ্কারকের নাম বলতে পারায় পুরষ্কার পাইল ও নমস্কার করিয়া চলিয়া গেল।
বাংলা ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগ:
১। তার উদ্ধত (বা ঔদ্ধত্যপূর্ণ) আচরণে ব্যথিত হয়েছি।
২। তার অপরিসীম আনন্দ হলো।
৩। তোমার তথ্য গ্রহণযোগ্য নয়।
৪। তারা বাড়ি যাচ্ছে।
৫। তাকে এখান থেকে যেতে হবে।
৬। তুমি কি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে না?
৭। করিম, তুমি ও আমি আজ পড়তে যাব।
৮। তুমিই টাকা আত্মসাৎ করেছ।
৯। দীনতা প্রশংসনীয় নয়।
১০। দিনরাত পরিশ্রমের ফলে তার স্বাস্থ্য ভেঙে গিয়েছে।
১১। নতুন ছেলেগুলো স্কুলে এসে বড় উৎপাত করছে।
১২। নিরপরাধ, নিস্পাপকে শাস্তি দেবে কেন?
১৩। পূর্বদিকে সূর্য উদিত হয়।
১৪। পরোপকার মনুষ্যত্বের পরিচায়ক।
১৫। আপনি পরে আসবেন।
১৬। পড়াশোনায় তোমার মনোযোগ দেখছি না।
১৭। পরিষ্কার পোশাক পরিহিত ছেলেটি উড়োজাহাজের আবিষ্কারকের নাম বলিতে পারায় পুরষ্কার পাইল ও নমস্কার করিয়া চলিয়া গেল।
বাংলা ভাষার অপপ্রয়োগ:
১। ব্যাকুলিত চিত্তে আমি তাঁকে দেখতে পেলাম।
২। বৃক্ষটি সমূলসহ উৎপাটিত হয়েছে।
৩। বাংলাদেশ উন্নতশীল দেশে।
৪। বিদ্যাণকে সকলে শ্রদ্ধা করে।
৫। বিপদ হতে সতর্কিত থাকিও।
৬। বিপদগ্রস্থ হয়ে তিনি আজ এসেছিলেন।
৭। বিগত পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার জন্যে সে চেষ্টা করতেছে।
৮। মেয়েটি সুকেশিনী এবং সুহাসি।
৯। মেয়েটি স্বয়ম্বর।।
১০। মেয়েটি বিদ্যান কিন্তু ঝগড়াটে।
১১। মহারাজা সভাগৃহে প্রবেশ করলেন।
১২। মাদকাশক্তি ভালো নয়।
১৩। মুমূর্ষ ব্যক্তিটির প্রতি সকলেরই সহানুভূতি ছিল।
বাংলা ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগ:
১। ব্যাকুল চিত্তে আমি তাঁকে দেখতে পেলাম।
২। বৃক্ষটি সমূলে উৎপাটিত হয়েছে।
৩। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ।
৪। বিদ্বানকে সকলে শ্রদ্ধা করে।
৫। বিপদ হতে সতর্ক থাকিও।
৬। বিপদগ্রস্ত হয়ে তিনি আজ এসেছেন।
৭। বিগত পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার জন্যে সে চেষ্টা করেছিল।
৮। মেয়েটি সুকেশা (বা সুকেশী) এবং সুহাসিনী।।
৯। মেয়েটি স্বয়ংবরা।
১০। মেয়েটি বিদুষী কিন্তু ঝগড়াটে।
১১। মহারাজ সভাগৃহে প্রবেশ করলেন।
১২। মাদকাসক্তি ভালো নয়।
১৩। মুমুর্ষ লোকটির জন্যে সকলেরই সহানুভুতি ছিল।
বাংলা ভাষার অপপ্রয়োগ:
১। যেই সব ছাত্রেরা পরীক্ষা দেয় নাই, তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
২। যশ লাভ করবার জন্যে তার আকাঙ্খ খুব বেশি।
৩। যাবতীয় লোকসমূহ সভায় উপস্থিত ছিল।
৪। যাবতীয় প্রাণীকুল এই গ্রহের বাসিন্দা।
৫। রবীঠাকুরের গীতাঞ্জলী বিখ্যাত কাব্য।
৬। রচনাটির উৎকর্ষতা অনস্বীকার্য।
৭। শুধুমাত্র গায়ের জোরে কাজ হয় না।
৮। শওকত ওসমানের কৃতদাসের হাসি একটি আদমজি পুরস্কারে সম্মানিত উপন্যাস।
৯। অসুস্থ্যের জন্যে আমি কাল আসতে পারিনি।
১০। শশীভূষণ কি আসেনি?
১১। শিল্পায়নের সাহায্যে দেশ সমৃদ্ধশালী হতে পারে।
১২। সে কৌতুক করার কৌতুহল সম্বরণ করতে পারল না।
১৩। সে অপমান হইয়াছে।
১৪। সে সংকট অবস্থায় পড়েছে।
১৫। সে সমস্ত কথা বিস্তারিত বলল।
১৬। সেখানে গেলে তুমি অপমান হবে।
১৭। সব মাছগুলোর দাম কত?
বাংলা ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগ:
১। যেসব ছাত্র পরীক্ষা দেয়নি, তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
২। যশোলাভের জন্যে তার আকাক্ষা খুব বেশি।
৩। যাবতীয় লোক সভায় উপস্থিত ছিল।
৪। সকল প্রাণী এই গ্রহের বাসিন্দা।
৫। রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলি বিখ্যাত কাব্য।
৬। রচনাটির উৎকর্ষ (বা উদ্ধৃষ্টতা) অনস্বীকার্য।
৭। শুধু গায়ের জোরে কাজ হয় না।
৮। শওকত ওসমানের ‘ক্রীতদাসের হাসি' আদমজি পুরস্কারে।
৯। সম্মানিত একটি উপন্যাস। অসুস্থতার জন্যে আমি কাল আসতে পারিনি।
১০। শশিভুষণ কি আসেনি?
১১। শিল্পায়নের সাহায্যে দেশ সমৃদ্ধ (সমৃদ্ধিশালী) হতে পারে।
১২। সে কৌতুক করার কৌতূহল সংবরণ করতে পারল না।
১৩। সে অপমানিত হইয়াছে।
১৪। সে সংকটজনক অবস্থায় পড়েছে।
১৫। সে সব কথা বিস্তারিত বলল।
১৬। সেখানে গেলে তুমি অপমানিত হবে।
১৭। সব মাছের দাম কত?
বাংলা ভাষার অপপ্রয়োগ:
১। সর্ববিষয়ে বাহুল্যতা বর্জন করবে।
২। সমস্ত ছাত্রগণই পড়াশোনায় অমনোযোগী।
৩। সূর্য উদয় হয়েছে।
৪। সকল ছাত্রগণ ক্লাসে উপস্থিতি ছিল।
৫। সশঙ্কিত চিত্তে সে বলতে লাগল।
৬। সবধান পূর্বক চলবে।
৭। সারথি কশাঘাত করিবা মাত্র ঘোড়াগুলো বায়ুবেগে ধাবমান হইল।
৮। হস্তীটি অপরিসীম স্থল।
৯। হিমালয় পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা বৃহত্তর পর্বত।
১০। হে ত্রিনয়নী, আমাকে রক্ষা করো।
১১। অশ্রুজলে বুক ভেসে গেল।
১২। তাহার সৌজন্যেতায় মুগ্ধ হয়েছি।
বাংলা ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগ:
১। সর্ববিষয়ে বাহুল্য (বা বহুলতা) বর্জন করবে।
২। সকল ছাত্রই পড়াশোনায় অমনোযোগী।
৩। সূর্য উদিত হয়েছে। সকল ছাত্র ক্লাসে উপস্থিত ছিল।
৪। সসশঙ্ক (শঙ্কিত) চিত্তে সে বলতে লাগল।
৫। সাবধানে চলবে।
৬। সারথি কশাঘাত করিবা মাত্র,
৭। অশ্বগুলো বায়ুবেগে ধাবমান। হইল।
৮। হস্তীটি অত্যন্ত স্থূলকায়।
৯। হিমালয় পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা উচ্চ পর্বত।
১০। হে ত্রিনয়না, আমাকে রক্ষা করো।
১১। অশ্রুতে বুক ভেসে গেল।
১২। তার সৌজন্যে মুগ্ধ হয়েছি।
বাংলা ভাষার অপপ্রয়োগ:
১। সকল সভ্যগণ এখানে উপস্থিত ছিলেন।
২। এক অগ্রহায়ণে শীত যায় না।
৩। তারা একত্রে গমন করলো।
৪। পরবর্তীতে আপনি এলে ভালো হবে।
৫। আপনি স্বপরিবার আমন্ত্রিত।
৬। দারিদ্রতাকে জয় করতে হলে, পরিশ্রম কর।
৭। শুধুমাত্র তুমি গেলেই হবে।
বাংলা ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগ:
১। সভ্যগণ/সকল সভ্য এখানে উপস্থিত ছিলেন।
২। এক মাঘে শীত যায় না।
৩। তারা গমন করল।
৪। পরবর্তী সময়ে আপনি এলে ভালো হবে।
৫। আপনি সপরিবারে আমন্ত্রিত।
৬। দরিদ্রতাকে/দারিদ্রকে জয় করতে হলে পরিশ্রম করো।
৭। শুধু তুমি গেলেই হবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions