Home » » লর্ড কর্ণওয়ালিসের পররাষ্ট্রনীতি

লর্ড কর্ণওয়ালিসের পররাষ্ট্রনীতি

লর্ড কর্ণওয়ালিসের পররাষ্ট্রনীতি

পিট এর ইন্ডিয়া এ্যাক্ট এর শর্তানুযায়ী কর্ণওয়ালিসকে উপমহাদেশে রাজ্য বিস্তার ও যুদ্ধ বিগ্রহ থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি ক্ষেত্র বিশেষে তা পালন করেন নি। মারাঠারা অযোধ্যায় গােলযোগ সৃষ্টি করলে কর্ণওয়ালিস সিন্ধিয়াকে সাহায্য করেছিলেন। দাক্ষিণাত্যে ইংরেজদের প্রবল শত্রু মহীশূরের টিপু সুলতানকে দমন করার জন্য লর্ড কর্ণওয়ালিস নিজামের সাথে মিত্ৰতা করেন। ফলে টিপু ব্যাঙ্গালোরের সন্ধির (১৭৮৪ খ্রি:) শর্তাবাল ভঙ্গ করে ইংরেজদের মিত্র রাজ্য ত্রিবাঙ্কুর আক্রমণ করেন। এভাবে তৃতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধের সূচনা হয় (১৭৮৯ খ্রি:)। লর্ড কর্নওয়ালিস মারাঠা এবং নিজামের সাথে এক হয়ে টিপুর রাজধানী শ্রীরঙ্গপত্তম অবরুদ্ধ করলে, টিপু ইংরেজদের সাথে সন্ধি করতে বাধ্য হন। শ্রীরঙ্গপত্তমের সন্ধির শর্তানুসারে টিপু মহীশূর রাজ্যের একাংশ এবং যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ স্বরূপ অর্থ ইংরেজদের প্রদান করতে বাধ্য হলেন। ভবিষ্যত আচরণের জামিন হিসেবে টিপু তার দুই পুত্রকে ইংরেজদের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হলেন। এভাবে কর্ণওয়ালিস উপমহাদেশের দক্ষিণ ভাগে ইংরেজ আধিপত্য বিস্তারের সক্ষম হন। ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে রেগুলেটিং এ্যাক্ট অনুসারে কোম্পানির উপমহাদেশে বিশ বৎসর বাণিজ্য করার একচেটিয়া অধিকার লাভ করেছিল। ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে পুনরায় কোম্পানিকে এদেশে বাণিজ্যের অধিকার দেয়ার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডে এক তীব্র আন্দোলন হয়। এ আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল এদেশের বাণিজ্য সকল ইংরেজ বণিক এবং বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের নিকট সমভাবে উন্মুক্ত করে দেয়া। কিন্তু সে দাবী অনুযায়ী কোম্পানির একচেটিয়া অধিকার উঠিয়ে দিলে অন্যান্য ইংরেজ বণিকদের পরস্পর প্রতিযোগিতায় ইংল্যান্ডের এদেশীয় বাণিজ্যের সর্বনাশ ঘটবে, এ যুক্তি দেখিয়ে ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দের চার্টার এ্যাক্ট দ্বারা আরও বিশ বৎসরের জন্য কোম্পানিকে এদেশে বাণিজ্য করার একচেটিয়া অধিকার দেয়া হলো।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comment below if you have any questions

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *