লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংক এর বৈদেশিক নীতি
বৈদেশিক নীতি মেনে চলার ক্ষেত্রে বেন্টিঙ্ক নিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ করে চলার পক্ষপাতি ছিলেন। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম দেখা যায়। তাঁর নিরপেক্ষ নীতির সুযোগ নিয়ে বরোদার গাইকোয়াড় ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিরোধিতা শুরু করে। ভূপাল, গোয়ালিয়র ও জয়পুরে গোলযোগ শুরু হলে বেন্টিঙ্ক এ সকল রাজ্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হন। কাছাড়ের রাজা উত্তরাধিকারী না রেখে মারা গেলে সে রাজ্যের জনসাধারণের ইচ্ছা অনুযায়ী বেন্টিঙ্ক তা কোম্পানির শাসনে নিয়ে আসেন। কুর্গের (মহাশূরের কাছে) রাজার অত্যাচারে প্রজারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠলে তিনি কুর্গও অধিকার করেন। আসামের জৈন্তিয়া পরগনার জনগণ কয়েকজন ইংরেজকে নরবলি দিতে ধরে নিয়ে যায়। কোম্পানির অনুরোধ সত্ত্বেও তাদের ছেড়ে না দেয়ায় বেন্টিঙ্ক বাধ্য হয়ে জৈন্তিয়া পরগণা নিজ শাসনাধীনে নিয়ে আসেন। কুশাসন ও অরাজকতার অভিযোগে মহীশূর রাজ্যেও তিনি অস্থায়ীভাবে ইংরেজ শাসন প্রবর্তন করেন।
উপমহাদেশের উত্তর পশ্চিম সীমান্তে রাশিয়ার অশুভ প্রভাব বন্ধ করার জন্য তিনি পাঞ্জাবের রণজিত সিংহের সাথে চিরস্থায়ী মিত্রতা এবং সিন্ধু প্রদেশের আমীরগণের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করে ইংরেজ স্বার্থ রক্ষা করেন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions