আহসান হাবীব
আহসান হাবীব ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের ২ জানুয়ারি পিরোজপুর জেলার শঙ্করপাশা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা হামিজুদ্দীন হাওলাদার ও মা জমিলা খাতুন। পারিবারিকভাবে আহসান হাবীব সাহিত্য-সংস্কৃতির আবহের মধ্যে বড় হয়েছেন। সেই সূত্রে ছাত্রজীবন থেকেই তিনি লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত হন।
পিরোজপুর সরকারি স্কুল থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে বরিশাল বিএম কলেজে ভর্তি হন কিন্তু অর্থাভাবে পড়াশুনা অসমাপ্ত রেখে ১৯৩৬ সনে তিনি জীবিকার সন্ধানে কলকাতা চলে যান। এ-সময় থেকেই তাঁর কঠিন জীবন সংগ্রামের এবং প্রকৃত কাব্যসাধনার শুরু।
কলকাতার জীবনে আহসান হাবীব সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং মৃত্যু অবধি এ পেশাতেই নিয়োজিত ছিলেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি ছিলেন বাংলাদেশের দৈনিক বাংলা পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক।
গভীর জীবনবোধ ও আশাবাদ তাঁর কবিতাকে বিশিষ্ট ব্যঞ্জনা দান করেছে। তিনি সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং আর্ত মানবতার সপক্ষে বক্তব্য রেখেছেন। অন্যদিকে স্বদেশ ও মাতৃভাষার স্বরূপ-সন্ধান তাঁর কাব্যসাধনার প্রেরণা।
সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ইউনেস্কো সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও একুশে পদকসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন।
আহসান হাবীব ১৯৮৫ সালের ১০ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা :
কাব্যগ্রন্থ : রাত্রিশেষ, ছায়া হরিণ, সারা দুপুর, আশায় বসতি, দু'হাতে দুই আদিম পাথর;
উপন্যাস : আরণ্য নীলিমা, রাণী খালের সাঁকো;
শিশু-সাহিত্য : জোছনা রাতের গল্প, ছুটির দিন দুপুরে, রেলগাড়ি ঝমাঝম, বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions