বিচার বিভাগের গঠন
বিচার বিভাগ সরকারের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিচার বিভাগ রাষ্ট্রীয় আইন গুলো ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ করে। এছাড়াও বিবাদ মীমাংসা করা হচ্ছে বিচার বিভাগের অন্যতম কাজ। আইন সভার কোন সিদ্ধান্ত সংবিধান সম্মত হয়েছে কিনা, সে ব্যাপারেও বিচার বিভাগ বক্তব্য রাখতে পারে। সরকারের নির্বাহী বিভাগের সিদ্ধান্তের ব্যাপারেও বিচার বিভাগ বক্তব্য রাখতে পারে। নিম্নে বিচার বিভাগের সাংগঠনিক কাঠামো উল্লেখ করা হল:
১। নিম্নস্তর আদালত: যে আদালতে নাগরিকদের অধিকার, অপরাধ, বিরোধ সংক্রান্ত মামলা সম্পন্ন হয় তাকে নিম্নস্তর আদালত বা অধ:স্তন আদালত বলে। নিম্নস্তরের আদালতকে অপরাধের প্রকৃতি অনুসারে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা: ফৌজদারি আদালত ও দেওয়ানি আদালত। জনগণের বিভিন্ন প্রকার অপরাধ সংক্রান্ত মামলার বিচার করা হয় ফৌজদারি। আদালতে এবং নাগরিকদের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলার বিচার করা হয় দেওয়ানি আদালতে।
২। মধ্যস্তরের আদালত: মধ্যস্তরের আদালতে মূলত নিম্ন আদালতে প্রদত্ত রায়ের পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করা হয়। এসব আদালতে কখনো কখনো গুরুত্বপূর্ণ মামলার প্রথম শুনানী ও বিচার করা হয়। এ স্তরে ফৌজদারি ও দেওয়ানি আদালত কার্যকর থাকে। মধ্যস্তরের দেওয়ানি মামলার জন্য বাংলাদেশে “জেলা জজ আদালত” এবং ফৌজদারি মামলা নিস্পত্তির জন্য দায়রা জজ আদালত রয়েছে। এছাড়া রয়েছে অতিরিক্ত জেলা জজ বা অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত বর্তমানে বাংলাদেশে দায়রা জজ আদালতের সমপর্যায়ের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত” নামে একটি বিশেষ আদালত গঠন করা হয়েছে।
৩। উচ্চ আদালত: উচ্চ আদালত হল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। উচ্চ আদালতের প্রধান বা মূল কাজ হল মধ্যস্তরের আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি গ্রহণ ও বিচার করা। এছাড়া উচ্চ আদালত রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রশ্ন জড়িত বিভিন্ন মামলার শুনানি গ্রহণ ও বিচারকার্য সম্পাদন করে। উচ্চ আদালতের দুটি বিভাগ থাকে। যথা: হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগ।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions