হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে বোমা বিস্ফোরণ
হিরোশিমা ও নাগাসাকির ট্র্যাজেডি: বিভিন্ন ধরনের কূটকৌশল থেকে শুরু করে বিবিধ আক্রমণ চালিয়ে জাপানের সাথে কিছুতেই পেরে ওঠেনি মিত্রবাহিনী। পশ্চিমে জার্মানদের সাথে তাল মিলিয়ে এশিয়ার রণাঙ্গণে একাই লড়ে যাচ্ছিল জাপানি রাজকীয় বাহিনীর দুর্ধর্ষ সৈন্যরা। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পার্ল হারবারে হামলার জন্য মিত্রবাহিনীর অন্যতম অংশীদার যুক্তরাষ্ট্রের চরম ক্ষোভ ছিল জাপানের ওপর। কিন্তু যে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ যে এতটা নির্মম ও জঘন্য হবে তা কেউ চিন্তা করতে পারেনি। মানুষের ইতিহাসে সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনার নজির স্থাপন করে ৬ ও ৯ আগস্ট যথাক্রমে হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে নিক্ষেপ করা হয় লিটল বয় ও ফ্যাট ম্যান নামের দুটি ধ্বংসাত্মক আনবিক বোমা।
৬ আগস্ট সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে হিরোশিমায় প্রথম বোমাটি নিক্ষেপ করা হলে তাৎক্ষণিক প্রাণ যায় ১ লাখ বিশ হাজার মানুষের। আর তার দ্বিগুণ মানুষ মারা যায় এর একটু পরে। স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট হেনরি এস ট্রুম্যান আনবিক বোমা নিক্ষেপের এ পাশবিক সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। এনোলা গে নামের বিমানটি থেকে যখন হিরোশিমায় প্রথম পারমাণবিক বোমাটি নিক্ষেপ করা হয় তখন থমকে গিয়েছে বিশ্ব মানবতা এর ধ্বংসযজ্ঞ দেখে। অন্তত পরপর দুটি আঘাত সইতে না পেরেই জাপানিরা ১৫ আগস্ট এসে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়। ১৯৪৫ সালের ৮ মে জার্মানি যুদ্ধে আত্মসমর্পণ করলেও জাপানে সম্রাট হিরোহিতোর বাহিনী ছিল নাছোড়বান্দা। তারা সমান তালে লড়ে যাচ্ছিল মিত্রবাহিনীর বিরুদ্ধে, কিন্তু তাদের দুটি সমৃদ্ধ শহরের এমন করুণ পরিণতি তাদের থমকে দেয় সেখানেই; জাপানিরাও বাধ্য হয় আত্মসমর্পণে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions