বিশ্বায়ন কি

বিশ্বায়ন কি

‘গ্লোবালাইজেশন' বা বিশ্বায়ন কোনো অবাস্তব ধারণা নয়। বিশ্বায়ন আজ বাস্তবতা। পুঁজিসহ উৎপাদনের সকল উপকরণ এর আন্তর্জাতিকীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক মিল-বন্ধনের দ্বারা একটি বিশ্বগ্রাম (Global Village) প্রতিষ্ঠা করাকে বিশ্বায়ন বলা যায়। এর ফলে, নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনের দ্বারা রাষ্ট্রীয় সীমানার বিলুপ্তি ঘটে, বিশ্বব্যাপী সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়, বাণিজ্য উদারীকরণের ফলে অর্থ ও সম্পদের অবাধ প্রবাহ ঘটে। ১৯৪৭ সনের অক্টোবরে জেনেভায় শুল্ক ও বাণিজ্য সংক্রান্ত বহুজাতিক সাধারণ চুক্তি (The General Agreement on Tariffs and Trade or GATT) সম্পাদনের সাথে সাথে বিশ্বায়ন ধারণার সূত্রপাত হলেও নব্বই দশকের শেষদিকে এর সাথে আমাদের পরিচয় ঘটে।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বিশেষ সম্মেলন-২০০২ এ, অধ্যাপক Abul Barkat (ঢা. বি.) ও HDRC (Human Development Research Centre)-এর সহযোগী গবেষক A. K. M. Maksud কর্তৃক উপস্থাপিত প্রবন্ধে এ সম্পর্কে বলেন, Globalization has historically been linked to the concentration and centralisation of capital, wealth and power. অর্থাৎ বিশ্বায়ন মূলধন, সম্পদ ও ক্ষমতার কেন্দ্রীভূতকরণের সাথে ঐতিহাসিকভাবে সংযুক্ত। তাঁরা আরও বলেন, The process of globalization affects global labour markets and labour relations, migration, the use and control of resources, human rights, democracy, cultures and traditions and gender relations. Globalization is manifested in changes in production, technology, trade partners, international investment and finance, and the transmission of cultural values. অর্থাৎ বিশ্বায়ন প্রক্রিয়াটি বিশ্ব শ্রমবাজার এবং শ্রম সম্পর্ক, স্থানান্তর, সম্পদের ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ, মানবাধিকার, গণতন্ত্র, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং লিঙ্গ সম্পর্কের উপর প্রভাব বিস্তার করে। বিশ্বায়ন উৎপাদন, প্রযুক্তি, বাণিজ্য অংশীদার, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ, অর্থায়ন এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের হস্তান্তরের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ‘বিশ্বায়ন' সম্পর্কে বলেন, "Globalization is the process by which interaction between more people and therefore between more business, more markets and more economics around the world—is being enabled through technology." অর্থাৎ বিশ্বায়ন হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া, যা অধিক জনগণের মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াকে বোঝায়। এর ফলে, পৃথিবীব্যাপী অধিক ব্যবসায়, অধিক বাজার এবং অধিক অর্থনীতির মধ্যে প্রযুক্তির মাধ্যমে যোগাযোগ ঘটে। যদিও বিশ্বায়নের ফলে বলা হয়েছিল, নিম্নলিখিত সুযোগগুলো সৃষ্টি করবে—

-More employment (f)-Increased per capita income (f)-Improved living standard (জীবনের মানোন্নয়ন)—Improved social conditions (সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন)—Increased investment (fast)-Technology (2)-Manpower (f)-Industrialization & Sustainable development (শিল্পায়ন ও নির্ভরযোগ্য উন্নয়ন) – Environmental protection (পরিবেশ সুরক্ষা)।

Tweet

Read More..