Home » » ডিজিটাল মার্কেটিং বনাম ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং বনাম ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং বনাম ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং হলো দুটি প্রধান মার্কেটিং কৌশল যা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের পণ্য ও সেবা প্রচারের জন্য ব্যবহার করে। বাংলাদেশে এই দুই ধরনের মার্কেটিং কৌশলের গুরুত্ব ও ব্যবহারের প্রভাব ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। এই আর্টিকেলে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এর মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলি বিশদভাবে আলোচনা করব।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি?

ডিজিটাল মার্কেটিং হলো একটি মার্কেটিং কৌশল যেখানে ডিজিটাল মিডিয়া ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে পণ্য ও সেবা প্রচার করা হয়। এর মধ্যে প্রধান উপাদানগুলি হল:

  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, লিঙ্কডইন ইত্যাদি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা।
  • ইমেইল মার্কেটিং: ইমেইলের মাধ্যমে প্রমোশনাল কনটেন্ট পাঠিয়ে গ্রাহকদের আকর্ষণ করা।
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও): গুগল ও অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে ভালো র‌্যাঙ্কিং পেতে ওয়েবসাইট অপটিমাইজ করা।
  • পে-পার-ক্লিক (পিপিসি): গুগল অ্যাডওয়ার্ডস ও অন্যান্য পে-পার-ক্লিক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রমোশন।
  • কনটেন্ট মার্কেটিং: ব্লগ, আর্টিকেল, ভিডিও ইত্যাদি কনটেন্টের মাধ্যমে ব্র্যান্ডের প্রচার।

ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং কি?

ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং হলো প্রচলিত মার্কেটিং কৌশল যা ডিজিটাল মাধ্যমের পরিবর্তে ফিজিক্যাল বা অফলাইন চ্যানেলগুলির উপর নির্ভর করে। এর মধ্যে প্রধান উপাদানগুলি হল:

  • টেলিভিশন ও রেডিও বিজ্ঞাপন: টিভি ও রেডিও চ্যানেলে বিজ্ঞাপন সম্প্রচার।
  • প্রিন্ট মিডিয়া: পত্রিকা, ম্যাগাজিন, পোস্টার ও ব্যানারের মাধ্যমে প্রমোশন।
  • বিলবোর্ড ও হোর্ডিং: প্রধান সড়কে বড় বিলবোর্ড স্থাপন।
  • ডাইরেক্ট মেইল: গ্রাহকদের ঠিকানায় প্রমোশনাল মেইল পাঠানো।
  • ইভেন্ট ও স্পন্সরশিপ: ইভেন্ট, মেলা, কনফারেন্স ইত্যাদিতে অংশগ্রহণ ও স্পন্সরশিপ।

ডিজিটাল মার্কেটিং বনাম ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং: প্রধান পার্থক্য

১. খরচ

  • ডিজিটাল মার্কেটিং: তুলনামূলকভাবে কম খরচে বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়।
  • ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং: প্রচারণার খরচ অনেক বেশি এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের কাছেই পৌঁছানো সম্ভব।

২. লক্ষ্যযুক্ত গ্রাহক

  • ডিজিটাল মার্কেটিং: নির্দিষ্ট লক্ষ্যযুক্ত গ্রাহকদের সহজেই টার্গেট করা যায়।
  • ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং: নির্দিষ্ট লক্ষ্যযুক্ত গ্রাহকদের টার্গেট করা কঠিন।

৩. ফলাফল নিরূপণ

  • ডিজিটাল মার্কেটিং: বিজ্ঞাপনের ফলাফল সহজেই পরিমাপ করা যায় এবং রিয়েল-টাইমে বিশ্লেষণ করা যায়।
  • ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং: ফলাফল নিরূপণ করা কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ।

৪. ইন্টারঅ্যাকশন ও এনগেজমেন্ট

  • ডিজিটাল মার্কেটিং: গ্রাহকদের সাথে সরাসরি ইন্টারঅ্যাকশন ও এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি করা যায়।
  • ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং: ইন্টারঅ্যাকশন ও এনগেজমেন্ট সীমিত।

৫. বিশ্বব্যাপী পৌঁছানো

  • ডিজিটাল মার্কেটিং: বিশ্বব্যাপী মার্কেটের কাছে সহজে পৌঁছানো যায়।
  • ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং: সাধারণত স্থানীয় ও আঞ্চলিক মার্কেটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।

কেন ডিজিটাল মার্কেটিং গুরুত্বপূর্ণ?

বাংলাদেশে ইন্টারনেট ও স্মার্টফোন ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এর মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলি দ্রুত ও কার্যকরভাবে তাদের লক্ষ্যযুক্ত গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে পারে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হল:

  • বৃদ্ধি লাভের সুযোগ: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করে ব্যবসা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • কম খরচে প্রচারণা: কম খরচে বেশি মানুষের কাছে প্রচারণা করা যায়।
  • ব্র্যান্ড বিশ্বস্ততা: নিয়মিত ও মানসম্মত কনটেন্টের মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে বিশ্বস্ত সম্পর্ক গড়ে তোলা যায়।
  • বিশ্লেষণ ও পরিমাপ: বিজ্ঞাপনের ফলাফল সহজেই বিশ্লেষণ ও পরিমাপ করা যায়, যা ভবিষ্যতে কৌশল নির্ধারণে সাহায্য করে।

কেন ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এখনও প্রাসঙ্গিক?

যদিও ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়, ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এর গুরুত্বও কম নয়। এর কিছু প্রাসঙ্গিক দিক হল:

  • ব্যাপক সম্প্রসারণ: এখনও অনেক মানুষ টিভি, রেডিও ও প্রিন্ট মিডিয়া ব্যবহার করেন, যা বৃহত্তর জনসংখ্যার কাছে পৌঁছাতে সহায়ক।
  • লোকাল কমিউনিটির সাথে সংযোগ: স্থানীয় কমিউনিটির সাথে সরাসরি সংযোগ স্থাপনের জন্য ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং খুবই কার্যকর।
  • ব্র্যান্ড বিশ্বাসযোগ্যতা: অনেক মানুষ ট্র্যাডিশনাল মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন দেখলে ব্র্যান্ডের উপর বেশি বিশ্বাস স্থাপন করেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এর মধ্যে উভয়েরই বিশেষ সুবিধা ও গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। বাংলাদেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলিকে তাদের লক্ষ্য ও বাজেট অনুযায়ী এই দুই ধরনের মার্কেটিং কৌশল ব্যবহার করতে হবে। সমন্বিত মার্কেটিং কৌশল গ্রহণ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের সফলতা অর্জন করতে পারে।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comment below if you have any questions

অফিস/বেসিক কম্পিউটার কোর্স

এম.এস. ওয়ার্ড
এম.এস. এক্সেল
এম.এস. পাওয়ার পয়েন্ট
বাংলা টাইপিং, ইংরেজি টাইপিং
ই-মেইল ও ইন্টারনেট

মেয়াদ: ২ মাস (সপ্তাহে ৪দিন)
রবি+সোম+মঙ্গল+বুধবার

কোর্স ফি: ৪,০০০/-

গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স

এডোব ফটোশপ
এডোব ইলাস্ট্রেটর

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৮,৫০০/-

ওয়েব ডিজাইন কোর্স

এইচটিএমএল ৫
সিএসএস ৩

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৮,৫০০/-

ভিডিও এডিটিং কোর্স

এডোব প্রিমিয়ার প্রো

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৯,৫০০/-

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স

ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, এসইও, গুগল এডস, ইমেইল মার্কেটিং

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ১২,৫০০/-

অ্যাডভান্সড এক্সেল

ভি-লুকআপ, এইচ-লুকআপ, অ্যাডভান্সড ফাংশনসহ অনেক কিছু...

মেয়াদ: ২ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৬,৫০০/-

ক্লাস টাইম

সকাল থেকে দুপুর

১ম ব্যাচ: সকাল ০৮:০০-০৯:৩০

২য় ব্যাচ: সকাল ০৯:৩০-১১:০০

৩য় ব্যাচ: সকাল ১১:০০-১২:৩০

৪র্থ ব্যাচ: দুপুর ১২:৩০-০২:০০

বিকাল থেকে রাত

৫ম ব্যাচ: বিকাল ০৪:০০-০৫:৩০

৬ষ্ঠ ব্যাচ: বিকাল ০৫:৩০-০৭:০০

৭ম ব্যাচ: সন্ধ্যা ০৭:০০-০৮:৩০

৮ম ব্যাচ: রাত ০৮:৩০-১০:০০

যোগাযোগ:

আলআমিন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

৭৯৬, পশ্চিম কাজীপাড়া বাসস্ট্যান্ড,

[মেট্রোরেলের ২৮৮ নং পিলারের পশ্চিম পাশে]

কাজীপাড়া, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬

মোবাইল: 01785 474 006

ইমেইল: alamincomputer1216@gmail.com

ফেসবুক: facebook.com/ac01785474006

ব্লগ: alamincomputertc.blogspot.com

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *