Home » » টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়ি সম্পর্কে তথ্য

টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়ি সম্পর্কে তথ্য

টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়ি সম্পর্কে তথ্য

টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়ি বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বৈদ্যুতিক যানবাহনের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য নাম। প্রতিষ্ঠানটি বৈদ্যুতিক গাড়ির উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দিচ্ছে, এবং এর প্রযুক্তি ও ডিজাইন অনেককে মুগ্ধ করেছে। টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়ির বিশদ বিবরণ, বৈশিষ্ট্যাবলী এবং সুবিধা সম্পর্কে এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।

টেসলার প্রতিষ্ঠা ও ইতিহাস

টেসলার সূচনা

২০০৩ সালে টেসলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর লক্ষ্য ছিল এমন একটি গাড়ি তৈরি করা যা ফসিল জ্বালানির পরিবর্তে বিদ্যুৎ চালিত হবে। ইলন মাস্ক ২০০৪ সালে টেসলার সঙ্গে যুক্ত হন এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন। তার নেতৃত্বে, টেসলা তার প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি রোডস্টার প্রকাশ করে ২০০৮ সালে, যা প্রতিষ্ঠানটির জন্য একটি বড় মাইলফলক।

টেসলার প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন

টেসলা তাদের গাড়িতে উন্নত প্রযুক্তি এবং নতুন উদ্ভাবন নিয়ে আসে। উদাহরণস্বরূপ, টেসলার অটোপাইলট ফিচার, যা ড্রাইভারকে অর্ধেক স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ি চালানোর সুবিধা দেয়। এছাড়াও টেসলার গাড়িগুলি প্রতি চার্জে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম, যা বাজারের অন্যান্য বৈদ্যুতিক গাড়ির তুলনায় অনেক বেশি।

প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি

টেসলার দৃষ্টি হচ্ছে একটি টেকসই শক্তি ভিত্তিক ভবিষ্যৎ গঠন করা। প্রতিষ্ঠানটি কেবল বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করার উপর নির্ভর করে না, বরং পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি উৎপাদন এবং ব্যবহারের উপায় নিয়ে গবেষণা করে থাকে।

টেসলার বিভিন্ন মডেল

টেসলা মডেল S

  • মডেল S টেসলার একটি জনপ্রিয় সেডান মডেল, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১২ সালে।
  • এটি এক চার্জে ৬৫০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম।
  • এর মডেলটি ০-১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় গতি তুলতে পারে মাত্র ২.৩ সেকেন্ডে, যা একটি বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য।
  • প্রযুক্তি: এতে রয়েছে উন্নত অটোপাইলট সিস্টেম, ১৭ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে এবং পুরোপুরি অদ্বিতীয় ইন্টারফেস।

টেসলা মডেল 3

  • মডেল 3 হলো টেসলার আরও সাশ্রয়ী মূল্যের সেডান, যা ২০১৭ সালে মুক্তি পায়।
  • এই গাড়িটি প্রতি চার্জে ৪০০-৫০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে।
  • এটি অটোপাইলট সুবিধা সহ আসে, যা ড্রাইভিংকে সহজ এবং নিরাপদ করে তোলে।
  • নকশা: মডেল 3 এর আভ্যন্তরীন নকশা খুবই সাধারণ এবং ব্যবহারকারীবান্ধব, যেখানে কম্প্যাক্ট এবং প্রয়োজনীয় ফিচারগুলির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

টেসলা মডেল X

  • মডেল X হল টেসলার একটি উচ্চমানের এসইউভি মডেল, যা প্রথম ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয়।
  • এটি "ফ্যালকন উইং" দরজা সহ আসে, যা তার বিশেষত্বের অন্যতম।
  • মডেল X এক চার্জে ৫৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম।
  • নিরাপত্তা: এটি বাজারের সবচেয়ে নিরাপদ এসইউভি হিসেবে পরিচিত, এবং এতে উন্নত সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে।

টেসলা মডেল Y

  • মডেল Y টেসলার সাম্প্রতিকতম এসইউভি, যা ২০২০ সালে মুক্তি পায়।
  • এটি মডেল 3 এর উপর ভিত্তি করে তৈরি, তবে এতে আরও বেশি স্টোরেজ স্পেস এবং স্থান রয়েছে।
  • মডেল Y এক চার্জে ৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম।
  • ব্যবহারকারীবান্ধব: মডেল Y তে ফাইভ সিট কনফিগারেশন, বড় প্যানোরামিক গ্লাস রুফ এবং উচ্চমানের ইন্টেরিয়র ফিচার রয়েছে।

টেসলার অটোপাইলট প্রযুক্তি

অটোপাইলটের সুবিধা

  • স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং: টেসলার অটোপাইলট প্রযুক্তি গাড়িকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালাতে সক্ষম, যা চালকের অভিজ্ঞতা উন্নত করে।
  • সুরক্ষা: অটোপাইলট ড্রাইভারদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সেন্সর এবং ক্যামেরা ব্যবহার করে।
  • স্মার্ট নেভিগেশন: এটি গাড়িটিকে রাস্তায় নেভিগেট করতে সাহায্য করে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে লেন পরিবর্তন করতে পারে।

পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং (FSD)

  • FSD এর বৈশিষ্ট্য: টেসলার পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং (FSD) প্রযুক্তি গাড়িকে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালানোর ক্ষমতা দেয়।
  • উন্নত ক্ষমতা: এতে রয়েছে ট্রাফিক লাইট এবং স্টপ সাইন শনাক্ত করার ক্ষমতা, পার্কিং সুবিধা, এবং গাড়ি ডেকে আনার সুবিধা।

অটোপাইলট ও FSD এর ভবিষ্যত

  • উন্নত প্রযুক্তি: টেসলা অটোমেটিক ড্রাইভিং প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত উন্নত করছে, এবং ভবিষ্যতে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং আরো সুরক্ষিত ও ব্যবহারযোগ্য হবে।
  • নিয়ন্ত্রন: বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা টেসলার অটোপাইলট এবং FSD প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছে, যা ভবিষ্যতের রাস্তায় নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

টেসলার ব্যাটারি প্রযুক্তি

উন্নত ব্যাটারি প্রযুক্তি

  • উচ্চ ক্ষমতার ব্যাটারি: টেসলা তাদের গাড়িতে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করে, যা দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম।
  • ব্যাটারি লাইফ: টেসলার ব্যাটারিগুলি এক হাজার চার্জিং সাইকেলেরও বেশি স্থায়িত্ব বজায় রাখতে সক্ষম, যা একটি বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (BMS): BMS এর মাধ্যমে টেসলার গাড়ির ব্যাটারি তাপমাত্রা, ভোল্টেজ এবং চার্জিং অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে, যা ব্যাটারির আয়ু এবং কার্যকারিতা বাড়ায়।

ব্যাটারি ডেভেলপমেন্টে টেসলার উদ্ভাবনা

  • ২০৭০ ব্যাটারি সেল: টেসলা নতুন ২০৭০ ব্যাটারি সেল প্রযুক্তি তৈরি করেছে, যা পূর্ববর্তী মডেলগুলোর তুলনায় বেশি শক্তি এবং স্থায়িত্ব প্রদান করে।
  • ব্যাটারি পুনর্ব্যবহার: টেসলা তাদের ব্যবহৃত ব্যাটারিগুলি পুনর্ব্যবহার করে পরিবেশের জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।

ব্যাটারি চার্জিং সিস্টেম

  • সুপারচার্জার নেটওয়ার্ক: টেসলার সুপারচার্জার স্টেশনগুলি গাড়ির ব্যাটারি দ্রুত চার্জ করতে সক্ষম, যা দীর্ঘ ভ্রমণের সময় সুবিধাজনক।
  • হোম চার্জিং: টেসলা গাড়িগুলি ঘরে চার্জ করার জন্য উপযুক্ত, এবং এর জন্য বিশেষ চার্জিং ইকুইপমেন্ট সরবরাহ করে।

টেসলার সফটওয়্যার ও আপডেট

সফটওয়্যার আপডেট

  • ওভার-দ্য-এয়ার (OTA) আপডেট: টেসলা তার গাড়িগুলিতে নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট প্রদান করে, যা গাড়ির কার্যকারিতা উন্নত করে এবং নতুন বৈশিষ্ট্য যুক্ত করে।
  • নতুন ফিচার: প্রতি আপডেটের সাথে সাথে নতুন ফিচার যোগ করা হয়, যেমন নতুন গেমস, বিনোদন এবং ড্রাইভিং মোড।

সুরক্ষা আপডেট

  • নিরাপত্তা ব্যবস্থা: সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে টেসলা তাদের গাড়িগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়মিত উন্নত করে।
  • সাইবার সুরক্ষা: টেসলা সাইবার আক্রমণ থেকে গাড়িগুলিকে সুরক্ষিত রাখতে নিয়মিত সুরক্ষা আপডেট প্রদান করে।

টেসলার গাড়ির ফিচার ও সুবিধা

ইকো-ফ্রেন্ডলি গাড়ি

  • কার্বন নিঃসরণ হ্রাস: টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়িগুলি ফসিল জ্বালানির পরিবর্তে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, যা কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করে এবং পরিবেশ রক্ষা করে।
  • উদ্ভাবনী প্রযুক্তি: টেসলার গাড়িগুলিতে বিদ্যুৎ অপচয় কমানোর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, যা ইকো-ফ্রেন্ডলি।

উচ্চমানের পারফরমেন্স

  • দ্রুতগতির গাড়ি: টেসলার গাড়িগুলি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মোটর ব্যবহার করে, যা দ্রুতগতি এবং দ্রুত এক্সেলারেশন প্রদান করে।
  • সাইলেন্ট ড্রাইভিং: বৈদ্যুতিক গাড়ির কারণে টেসলার গাড়িগুলি প্রায় সম্পূর্ণ নিঃশব্দে চলতে পারে, যা ড্রাইভিং অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করে।

স্মার্ট ফিচার

  • ইন্টারফেস: টেসলার গাড়িগুলির ডিজিটাল ইন্টারফেস ব্যবহারকারী-বান্ধব এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য।
  • কাস্টমাইজেশন: টেসলা ব্যবহারকারীদের গাড়ির ফিচার এবং সিস্টেম কাস্টমাইজ করার সুবিধা প্রদান করে, যা গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতাকে আরও ব্যক্তিগত করে তোলে।

বাংলাদেশে টেসলার সম্ভাবনা

টেসলার গাড়ির জন্য বাংলাদেশে চাহিদা

  • বাংলাদেশের বাজার: বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বাড়ছে, এবং টেসলার গাড়ি এই চাহিদা পূরণে সক্ষম।
  • টেকসই পরিবহন: বাংলাদেশের পরিবহন খাতে টেকসই শক্তির ব্যবহার বাড়াতে টেসলার গাড়ি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।

চার্জিং অবকাঠামো

  • চার্জিং স্টেশন: টেসলার গাড়ি ব্যবহার করতে বাংলাদেশে উন্নত চার্জিং স্টেশন দরকার, যা ভবিষ্যতে পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
  • সরকারের উদ্যোগ: বাংলাদেশ সরকার বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান করছে, যা টেসলার জন্য একটি সম্ভাবনাময় বাজার সৃষ্টি করছে।

টেসলার বৈশিষ্ট্যাবলী ও সুবিধা বাংলাদেশের জন্য

  • সাশ্রয়ী মূল্যের গাড়ি: টেসলা মডেল 3 এর মতো সাশ্রয়ী মূল্যের গাড়ি বাংলাদেশের বাজারের জন্য আদর্শ হতে পারে।
  • উন্নত প্রযুক্তি: টেসলার উন্নত প্রযুক্তি এবং বৈশিষ্ট্যগুলি বাংলাদেশের ড্রাইভারদের জন্য বিশেষ আকর্ষণীয় হতে পারে।

টেসলার গাড়ির দাম

বিভিন্ন মডেলের দাম

  • মডেল S: $৮০,০০০ - $১২০,০০০
  • মডেল 3: $৩৫,০০০ - $৫৫,০০০
  • মডেল X: $৯০,০০০ - $১৩০,০০০
  • মডেল Y: $৫০,০০০ - $৭০,০০০

বাংলাদেশে টেসলার গাড়ির দাম

  • আমদানী শুল্ক: টেসলার গাড়ি আমদানির সময় বাংলাদেশের শুল্কনীতি অনুসারে কিছু অতিরিক্ত শুল্ক ও কর প্রযোজ্য হতে পারে।
  • বাজারের মূল্য: বাংলাদেশে টেসলার গাড়ির মূল্য বাজার ও শুল্কের উপর নির্ভর করবে, তবে এটি সাধারণত আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় বেশি হতে পারে।

টেসলার চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা

ভবিষ্যত পরিকল্পনা

  • নতুন মডেল: টেসলা ভবিষ্যতে নতুন মডেল এবং উন্নত প্রযুক্তি প্রকাশ করতে পারে।
  • রোবোটাক্সি: টেসলার পরিকল্পনা রয়েছে রোবোটাক্সি সেবা চালু করার, যা সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত হবে।

চ্যালেঞ্জসমূহ

  • ব্যাটারি সরবরাহ: টেসলা বৈশ্বিকভাবে ব্যাটারি সরবরাহে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে, যা উৎপাদনে প্রভাব ফেলতে পারে।
  • নিয়ন্ত্রণ ও অনুমোদন: বিভিন্ন দেশে নতুন প্রযুক্তির অনুমোদন ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা টেসলার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

বাংলাদেশে টেসলা কেনার আগে যা জানা উচিত

বৈদ্যুতিক গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ

  • নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ: টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন, যেমন ব্যাটারি চেক, ব্রেক পরীক্ষা, ইত্যাদি।
  • চার্জিং অভ্যাস: ব্যাটারি আয়ু বাড়ানোর জন্য সঠিক চার্জিং অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন।

চার্জিং অবকাঠামোর উন্নয়ন

  • বাড়িতে চার্জিং: টেসলা ব্যবহারকারীদের জন্য বাড়িতে চার্জিং সুবিধা থাকা দরকার।
  • পাবলিক চার্জিং স্টেশন: দেশে পর্যাপ্ত পাবলিক চার্জিং স্টেশন থাকা উচিত যাতে যাত্রাপথে চার্জের অভাব না হয়।

ব্যাটারি আয়ু ও রিপ্লেসমেন্ট

  • ব্যাটারি আয়ু: টেসলার ব্যাটারি সাধারণত ৮-১০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
  • ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট খরচ: ব্যাটারি পরিবর্তনের খরচ যথেষ্ট বেশি হতে পারে, যা ক্রেতাদের বিবেচনায় রাখা উচিত।

টেসলার ভবিষ্যত ও বাংলাদেশে সম্ভাবনা

টেসলার পরিকল্পনা ও উদ্যোগ

  • বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন: টেসলা ভবিষ্যতে বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন করতে পারে, যা দেশে গাড়ির উৎপাদন খরচ কমাতে সহায়ক হবে।
  • বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদন: বাংলাদেশের বাজারের জন্য উপযুক্ত বৈদ্যুতিক গাড়ি মডেল তৈরি করতে টেসলা বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারে।

বাংলাদেশের বাজারে টেসলার সম্ভাবনা

  • উন্নয়ন: বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং টেসলা এই বাজারে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
  • সাশ্রয়ী গাড়ি: টেসলা বাংলাদেশে সাশ্রয়ী বৈদ্যুতিক গাড়ি সরবরাহ করতে পারে, যা দেশের জন্য একটি বড় সুবিধা।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জিং সময় কত?

টেসলার সুপারচার্জার দিয়ে গাড়ি মাত্র ৩০ মিনিটে ৮০% পর্যন্ত চার্জ হতে পারে। ঘরে চার্জ করতে প্রায় ৬-৮ ঘণ্টা সময় লাগে।

বাংলাদেশে টেসলা কেনা সম্ভব?

হ্যাঁ, বাংলাদেশে টেসলা গাড়ি আমদানি করা যায়। তবে শুল্ক ও করের কারণে এর দাম বেশি হতে পারে।

টেসলার গাড়ির ব্যাটারি কত বছর স্থায়ী হয়?

টেসলার গাড়ির ব্যাটারি সাধারণত ৮-১০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তবে এটি ব্যবহারের উপর নির্ভর করে কমবেশি হতে পারে।

টেসলার অটোপাইলট কতটা নিরাপদ?

টেসলার অটোপাইলট একটি উন্নত প্রযুক্তি যা ড্রাইভিং নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে। তবে এটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং নয়, তাই ড্রাইভারকে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।

টেসলার গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ কেমন?

টেসলার গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ অন্যান্য গাড়ির তুলনায় কম, তবে নিয়মিত ব্যাটারি চেক ও সফটওয়্যার আপডেট প্রয়োজন।

টেসলার গাড়ির দাম বাংলাদেশে কত?

বাংলাদেশে টেসলার গাড়ির দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় বেশি হতে পারে, বিশেষ করে শুল্ক এবং করের কারণে।


টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়ি বিশ্বব্যাপী পরিবহন ক্ষেত্রে একটি বিপ্লব এনেছে, এবং এটি বাংলাদেশে একটি সম্ভাবনাময় বাজার হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। টেসলার উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, উচ্চমানের পারফরমেন্স, এবং পরিবেশ-বান্ধব নীতি বাংলাদেশের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। যদিও এর দাম ও রক্ষণাবেক্ষণ কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, তবে বাংলাদেশের বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় টেসলার ভবিষ্যত উজ্জ্বল বলে আশা করা যায়।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comment below if you have any questions

অফিস/বেসিক কম্পিউটার কোর্স

এম.এস. ওয়ার্ড
এম.এস. এক্সেল
এম.এস. পাওয়ার পয়েন্ট
বাংলা টাইপিং, ইংরেজি টাইপিং
ই-মেইল ও ইন্টারনেট

মেয়াদ: ২ মাস (সপ্তাহে ৪দিন)
রবি+সোম+মঙ্গল+বুধবার

কোর্স ফি: ৪,০০০/-

গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স

এডোব ফটোশপ
এডোব ইলাস্ট্রেটর

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৮,৫০০/-

ওয়েব ডিজাইন কোর্স

এইচটিএমএল ৫
সিএসএস ৩

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৮,৫০০/-

ভিডিও এডিটিং কোর্স

এডোব প্রিমিয়ার প্রো

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৯,৫০০/-

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স

ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, এসইও, গুগল এডস, ইমেইল মার্কেটিং

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ১২,৫০০/-

অ্যাডভান্সড এক্সেল

ভি-লুকআপ, এইচ-লুকআপ, অ্যাডভান্সড ফাংশনসহ অনেক কিছু...

মেয়াদ: ২ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৬,৫০০/-

ক্লাস টাইম

সকাল থেকে দুপুর

১ম ব্যাচ: সকাল ০৮:০০-০৯:৩০

২য় ব্যাচ: সকাল ০৯:৩০-১১:০০

৩য় ব্যাচ: সকাল ১১:০০-১২:৩০

৪র্থ ব্যাচ: দুপুর ১২:৩০-০২:০০

বিকাল থেকে রাত

৫ম ব্যাচ: বিকাল ০৪:০০-০৫:৩০

৬ষ্ঠ ব্যাচ: বিকাল ০৫:৩০-০৭:০০

৭ম ব্যাচ: সন্ধ্যা ০৭:০০-০৮:৩০

৮ম ব্যাচ: রাত ০৮:৩০-১০:০০

যোগাযোগ:

আলআমিন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

৭৯৬, পশ্চিম কাজীপাড়া বাসস্ট্যান্ড,

[মেট্রোরেলের ২৮৮ নং পিলারের পশ্চিম পাশে]

কাজীপাড়া, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬

মোবাইল: 01785 474 006

ইমেইল: alamincomputer1216@gmail.com

ফেসবুক: facebook.com/ac01785474006

ব্লগ: alamincomputertc.blogspot.com

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *