Home » » স্পেসএক্স এবং নাসার মধ্যে পার্থক্য

স্পেসএক্স এবং নাসার মধ্যে পার্থক্য

Nasa

স্পেসএক্স (SpaceX) এবং নাসা (NASA) উভয়ই মহাকাশ গবেষণা ও অভিযানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে এই দুটি সংস্থার লক্ষ্য, মালিকানা, অর্থায়ন, এবং কাজের ধরন ভিন্ন। নিচে স্পেসএক্স এবং নাসার মধ্যে মূল পার্থক্যগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো—


১. মালিকানা ও পরিচালনা

🔹 নাসা (NASA):

  • নাসা (National Aeronautics and Space Administration) একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা, যা ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • এটি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় এবং করদাতাদের অর্থায়নে চলে।

🔹 স্পেসএক্স (SpaceX):

  • স্পেসএক্স একটি বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা, যা ২০০২ সালে এলন মাস্ক (Elon Musk) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • এটি একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং বিনিয়োগকারীদের তহবিলে পরিচালিত হয়।

২. লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

🔹 নাসা:

  • মহাকাশ গবেষণা, বিজ্ঞান উন্নয়ন, এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ মিশনের নেতৃত্ব প্রদান।
  • বিভিন্ন গ্রহ, চাঁদ, ও মহাবিশ্বের রহস্য উন্মোচনের জন্য মহাকাশ অভিযান পরিচালনা।
  • মহাকাশে মানবজাতির ভবিষ্যৎ টিকে থাকার উপায় ও নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারের ওপর গবেষণা করা।

🔹 স্পেসএক্স:

  • মহাকাশ ভ্রমণকে সস্তা এবং সহজলভ্য করা।
  • পুনঃব্যবহারযোগ্য রকেট তৈরি করে মহাকাশযান উৎক্ষেপণের খরচ কমানো।
  • ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহে (Mars) মানব বসতি স্থাপন করা।

৩. অর্থায়ন ও বাজেট

🔹 নাসা:

  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত হয়।
  • এর বার্ষিক বাজেট কংগ্রেস দ্বারা নির্ধারিত হয় (প্রায় ২৫-৩০ বিলিয়ন ডলার)।

🔹 স্পেসএক্স:

  • এটি একটি বাণিজ্যিক সংস্থা, যা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে চুক্তির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে।
  • স্পেসএক্সের অর্থায়ন ব্যক্তিগত বিনিয়োগ, স্পেস লঞ্চ সার্ভিস, এবং স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে আসে।

৪. প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও সাফল্য

🔹 নাসা:
✅ চাঁদে প্রথম মানব পাঠানো (Apollo 11, 1969)।
✅ স্পেস শাটল প্রোগ্রাম পরিচালনা (1981-2011)।
✅ হাবল টেলিস্কোপ, কিউরিওসিটি রোভার, এবং জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের মতো উন্নত মহাকাশ গবেষণা প্রযুক্তি তৈরি।

🔹 স্পেসএক্স:
✅ প্রথম বেসরকারি সংস্থা হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) যান পাঠানো।
✅ পুনঃব্যবহারযোগ্য রকেট (Falcon 9) তৈরি করা, যা উৎক্ষেপণের খরচ কমিয়েছে।
✅ স্টারশিপ (Starship) নামক বৃহৎ মহাকাশযান তৈরি করছে, যা মঙ্গল অভিযানের জন্য পরিকল্পিত।


৫. চাঁদ ও মঙ্গল অভিযানে ভূমিকা

🔹 নাসা:

  • আর্টেমিস (Artemis) প্রোগ্রামের মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে আবারও মানুষকে চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে।
  • দীর্ঘমেয়াদী মঙ্গল মিশনের জন্য গবেষণা ও উন্নয়ন চালাচ্ছে।

🔹 স্পেসএক্স:

  • স্টারশিপ রকেটের মাধ্যমে মানুষকে মঙ্গল গ্রহে পাঠানোর জন্য কাজ করছে।
  • নাসার সাথে একাধিক চুক্তির মাধ্যমে চাঁদ ও মঙ্গল অভিযানে সহযোগিতা করছে।

৬. পুনঃব্যবহারযোগ্য রকেটের ক্ষেত্রে অগ্রগতি

🔹 নাসা:

  • নাসার স্পেস শাটল পুনঃব্যবহারযোগ্য হলেও ২০১১ সালে এটি অবসর নেওয়া হয়।
  • নতুনভাবে পুনঃব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান তৈরিতে তারা বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলোর সাহায্য নিচ্ছে।

🔹 স্পেসএক্স:

  • ফ্যালকন ৯ (Falcon 9) এবং ফ্যালকন হেভি (Falcon Heavy) পুনঃব্যবহারযোগ্য রকেট, যা উৎক্ষেপণের খরচ ব্যাপকভাবে কমিয়েছে।
  • স্টারশিপ সম্পূর্ণ পুনঃব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান হিসেবে উন্নয়নের পথে রয়েছে।

৭. অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা

🔹 নাসা:

  • আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS)-এ রাশিয়া, ইউরোপ, জাপান, ও কানাডার মতো বিভিন্ন দেশের মহাকাশ সংস্থার সঙ্গে কাজ করে।
  • স্পেসএক্সসহ অন্যান্য বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে মহাকাশযান নির্মাণ ও উৎক্ষেপণ সংক্রান্ত চুক্তি করে।

🔹 স্পেসএক্স:

  • নাসার জন্য মহাকাশযান তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে (যেমন: Crew Dragon)।
  • স্টারলিংক (Starlink) প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

সারসংক্ষেপ

বিষয়নাসা (NASA)স্পেসএক্স (SpaceX)
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৫৮২০০২
মালিকানামার্কিন সরকারবেসরকারি সংস্থা (এলন মাস্ক)
মূল লক্ষ্যমহাকাশ গবেষণা ও প্রযুক্তি উন্নয়নমহাকাশ ভ্রমণকে সাশ্রয়ী করা এবং মঙ্গল অভিযান
অর্থায়নমার্কিন সরকারের বাজেটবাণিজ্যিক বিনিয়োগ ও চুক্তি
উল্লেখযোগ্য প্রকল্পঅ্যাপোলো, আর্টেমিস, হাবল টেলিস্কোপফ্যালকন ৯, স্টারশিপ, স্টারলিংক
পুনঃব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তিসীমিতউন্নত পুনঃব্যবহারযোগ্য রকেট


নাসা ও স্পেসএক্স উভয় সংস্থা মহাকাশ গবেষণা ও অভিযানে বিশাল অবদান রাখছে। নাসা মূলত গবেষণা ও বৈজ্ঞানিক অভিযানের জন্য কাজ করে, যেখানে স্পেসএক্স বাণিজ্যিকভাবে মহাকাশ প্রযুক্তিকে আরও সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য করার চেষ্টা করছে। ভবিষ্যতে নাসা ও স্পেসএক্স একসঙ্গে কাজ করে চাঁদ ও মঙ্গল অভিযানে নতুন ইতিহাস রচনা করবে।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comment below if you have any questions

অফিস/বেসিক কম্পিউটার কোর্স

এম.এস. ওয়ার্ড
এম.এস. এক্সেল
এম.এস. পাওয়ার পয়েন্ট
বাংলা টাইপিং, ইংরেজি টাইপিং
ই-মেইল ও ইন্টারনেট

মেয়াদ: ২ মাস (সপ্তাহে ৪দিন)
রবি+সোম+মঙ্গল+বুধবার

কোর্স ফি: ৪,০০০/-

গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স

এডোব ফটোশপ
এডোব ইলাস্ট্রেটর

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৮,৫০০/-

ওয়েব ডিজাইন কোর্স

এইচটিএমএল ৫
সিএসএস ৩

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৮,৫০০/-

ভিডিও এডিটিং কোর্স

এডোব প্রিমিয়ার প্রো

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৯,৫০০/-

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স

ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, এসইও, গুগল এডস, ইমেইল মার্কেটিং

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ১২,৫০০/-

অ্যাডভান্সড এক্সেল

ভি-লুকআপ, এইচ-লুকআপ, অ্যাডভান্সড ফাংশনসহ অনেক কিছু...

মেয়াদ: ২ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৬,৫০০/-

ক্লাস টাইম

সকাল থেকে দুপুর

১ম ব্যাচ: সকাল ০৮:০০-০৯:৩০

২য় ব্যাচ: সকাল ০৯:৩০-১১:০০

৩য় ব্যাচ: সকাল ১১:০০-১২:৩০

৪র্থ ব্যাচ: দুপুর ১২:৩০-০২:০০

বিকাল থেকে রাত

৫ম ব্যাচ: বিকাল ০৪:০০-০৫:৩০

৬ষ্ঠ ব্যাচ: বিকাল ০৫:৩০-০৭:০০

৭ম ব্যাচ: সন্ধ্যা ০৭:০০-০৮:৩০

৮ম ব্যাচ: রাত ০৮:৩০-১০:০০

যোগাযোগ:

আলআমিন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

৭৯৬, পশ্চিম কাজীপাড়া বাসস্ট্যান্ড,

[মেট্রোরেলের ২৮৮ নং পিলারের পশ্চিম পাশে]

কাজীপাড়া, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬

মোবাইল: 01785 474 006

ইমেইল: alamincomputer1216@gmail.com

ফেসবুক: facebook.com/ac01785474006

ব্লগ: alamincomputertc.blogspot.com

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *