নতুন নিয়ম: জাতীয় পরিচয়পত্রে ১০টির বেশি সিম থাকলে বন্ধ হয়ে যাবে!
ঢাকা, ৩০ জুলাই ২০২৫ – সম্প্রতি দেশব্যাপী মোবাইল সিম ব্যবহারে নতুন সীমা নির্ধারণ করেছে সরকার। এবার একটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এর বিপরীতে সর্বোচ্চ ১০টি সিম নিবন্ধন করার অনুমতি রয়েছে। যাঁদের এর চেয়ে বেশি নিবন্ধিত সিম রয়েছে, তাঁদের অতিরিক্ত সিম ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেয়া হবে।
প্রক্রিয়াটি শুরু হবে এইভাবে:
-
প্রথমে ব্যাবহারকারীদের নিজস্ব অপ্রয়োজনীয় সিম বাতিল করার সুযোগ দেওয়া হবে।
-
আগামী নভেম্বরের মধ্যে এই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কথা রক্ষণ করা হয়েছে।
সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ:
-
এটি নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), যা গত মে মাসে ২৯৬তম কমিশন সভায় চূড়ান্ত করেছে। নিয়ম চালু হওয়ার উদ্দেশ্য: জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা, অপারেটরদের মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা কমানো এবং আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা।
-
এরপর ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এই সিদ্ধান্তকে অনুমোদন করে কার্যকরী বিবৃতি দেয়।
ডেটা বিশ্লেষণে যা জানা যায়:
-
বাংলাদেশে এখন প্রায় ৬ কোটি ৭৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৫টি সিম নিবন্ধিত রয়েছে।
-
এর মধ্যে ৮০.৩২ শতাংশ ব্যবহারকারী ৫ বা কম সিম ব্যবহার করছেন।
-
১৬.২৩ শতাংশ–এর কাছে ৬–১০টি সিম, আর ৩.৪৫ শতাংশ–এর কাছে ১১–১৫টি সিম রয়েছে।
ধাপ–ধাপ কার্যকর পদ্ধতি:
-
ব্যবহৃত সিমের সংখ্যা নির্ধারণ করে, যাদের নামে ১০টির বেশি সিম রয়েছে—তাদের নাম ও তথ্য পরিচয় করা হবে।
-
ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান এর মাধ্যমে এই কাজ হবে, যারা সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম-এর মাধ্যমে তালিকা করে দেবে।
-
নির্ধারিত তালিকা মোবাইল অপারেটরদের কাছে পাঠানো হবে, এরপর তারা নিজ নিজ গ্রাহকের কাছে সপ্তাহে অন্তত একবার এসএমএস জানিয়ে দেবে—সিম সংখ্যা ১০–এর মধ্যে আনতে এবং অপ্রয়োজনীয় সিম বাতিলের জন্য অনুরোধ করে।
আগ্রহী গ্রাহকদের জন্য নির্দেশনা:
-
গ্রাহকরা *১৬০০১# নম্বরে ডায়াল করে জানতে পারবেন—তাঁর এনআইডির অধীনে মোট কতটি সিম নিবন্ধিত আছে এবং এর তথ্য।
-
অতিরিক্ত সিম থাকলে, “ট্রান্সফার অব ওনারশিপ” মেথড ব্যবহার করে সেগুলোর মালীকানার অধিকার পরিবর্তন করা যাবে।
সময়সীমা ও কার্যপ্রকরণ:
-
১ আগস্ট থেকে গ্রাহকদের নিজ উদ্যোগে অতিরিক্ত সিম বাতিল করার জন্য ৩ মাস সময় দেওয়া হবে।
-
যদি কেউ সময়মতো নিজ উদ্যোগে ব্যবস্থা না নেন, তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই অতিরিক্ত সিম বন্ধ করা হবে—এই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ৫–৬ মাস সময় লাগতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সিম বন্ধের বিশেষ বিবেচনা:
-
ব্যবহারকারীর সব অপারেটরের অন্তত একটি সিম থাকা নিশ্চিত করা হবে এবং যে সিম নিয়ে বেশি রাজস্ব আসছে, সেটাকেই সংরক্ষণ করা হবে।
-
রাজস্বের পাশাপাশি যদি কোনও গুরুত্বপূর্ণ সেবা (যেমন এমএফএস বা অন্যান্য ভ্যালু-অ্যাড সেবা) থাকে, তা বিবেচনায় নিতে বলা হয়েছে—এর বাইরে অপ্রয়োজনীয় সিম বাতিল করা হবে।
সংক্ষিপ্তসার:
-
একটি জাতীয় পরিচয়পত্রে সর্বোচ্চ ১০টি সিম ব্যবহার
-
১৫ লাখের বেশি লোকের নাম করে ৬৭ লাখ সিম বন্ধ হতে পারে
-
এগাস্ট থেকে শুরু, নভেম্বরের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করার লক্ষ্য
-
গ্রাহকরা নিজেদের সিম বাতিল বা মালিকানা হস্তান্তর করতে পারবেন *১৬০০১# ডায়াল করে
-
অপারেটর ও বিটিআরসি–র মাধ্যমে নিয়মিত এসএমএস ও ওয়েব বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের অবহিত করা হবে
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions