ব্যান্ডউইডথ কি
একক সময়ে পরিবাহিত ডেটার পরিমাণ হলো ব্যান্ডউইডথ। অর্থাৎ একটি মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে উৎস পয়েন্ট থেকে গন্তব্যের দিকে যে পরিমাণ ডেটা একক সময়ে পরিবাহিত হতে পারে তাকে বলা হয় ব্যান্ডউইডথ। একে মাপা হয় প্রতি সেকেন্ডে কতটি বিট পরিবাহিত হচ্ছে তা দিয়ে অর্থাৎ বিপিএস (bps)। কোনো কোনো মাধ্যমের ক্ষেত্রে এই উইডথকে বাইট/সে (Bps), দিয়ে প্রকাশ করা হয়। যদি কমিউনিকেশন মাধ্যম হিসেবে কোনো ক্যাবলের মধ্যে দিয়ে সেকেন্ডে ১০ মেগাবিট ডেটা পরিবাহিত হতে পারে তাহলে তার ব্যান্ডউইডথ হলো ১০ মেগাবিট/সে, বা ১০ এমবিবিএস। মিডিয়ার ব্যান্ডউইডথ যত বেশি হবে, ডেটা তত দ্রুত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারবে। যদি কোনো কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেমে নির্দিষ্ট কোনো ব্যান্ডউইডথ প্রয়োজন হয় তাহলে সে অনুযায়ী মিডিয়া নির্বাচন করতে হবে।
ব্যান্ডউইডথকে ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিডও বলা হয়। ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিডকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়। যথা:
১। ন্যারো ব্যান্ড
২। ভয়েস ব্যান্ড
৩। ব্রড ব্যান্ড
ন্যারো ব্যান্ড কি?
ন্যারো ব্যান্ড সাধারণত ৪৫ থেকে ৩০০ বিপিএস পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই ব্যান্ড ধীরগতিসম্পন্ন ডেটা ট্রান্সমিশন এর ক্ষেত্রে উপযোগী। টেলিগ্রাফিক ক্ষেত্রে এই ব্যান্ডকে ব্যবহার করা হয়।
ভয়েস ব্যান্ড কি?
ভয়েস ব্যান্ডের ডেটার গতি ৯৬০০ বিপিএস বা ৯.৬ কেবিপিএস পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটি সাধারণ ল্যান্ড টেলিফোনো বেশি ব্যবহার করা হয়। তবে কম্পিউটার ডেটা কমিউনিকেশনে কম্পিউটার থেকে প্রিন্টারে ডেটা স্থানান্তর কিংবা কার্ড রিডার থেকে কম্পিউটারে ডেটার স্থানান্তরের ক্ষেত্রে এই ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার করা হয়।
ব্রড ব্যান্ড কি?
উচ্চগতিসম্পন্ন ডেটা স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় ব্রড ব্যান্ড ব্যবহার করা হয়। ব্রড ব্যান্ডে বিস্তৃত ব্যান্ডউইডথ এবং অধিক ডেটা বহনের ক্ষমতা থাকে এবং যার গতি ১এমবিপিএস থেকে অনেক উচ্চগতি পর্যন্ত হয়। ব্রড ব্যান্ড সাধারণত কো-এক্সিয়াল ক্যাবল ও অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলে ডেটা স্থানান্তরে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া ওয়াইম্যাক্স, স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন এবং মাইক্রোওয়েব কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে এই ব্যান্ড ব্যবহার করা হয়।