বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি কি?
কম্পিউটার কাজ করে তার নিজস্ব পদ্ধতিতে বা মেশিনের ভাষায়। কম্পিউটারের এ ভাষাকে বলা হয় মেশিন ল্যাংগুয়েজ। এই মেশিন ল্যাংগুয়েজ গঠিত হয় তড়িৎ প্রবাহের দুটি মাত্র সংকেতের সমন্বয়ে, তড়িৎ আছে অথবা নেই। শুধু এ দুটি অবস্থান কম্পিউটার বুঝতে পারে অর্থাৎ অন এবং অফ ধারণা থেকেই ২ ভিত্তিক বা বাইনারী সংখ্যা পদ্ধতি গড়ে উঠেছে। বাইনারী সংখ্যা পদ্ধতিতে মাত্র দুটি চিহ্ন বা প্রতীক নিয়ে সব রকমের সংখ্যা গঠন করা যায়। দুটি প্রতীক ব্যবহৃত হয় বলে একে ২ ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি বা বাইনারী পদ্ধতি বলা হয়। এর ভিত্তি হচ্ছে ২। এ পদ্ধতির মূল উপাদান ০ এবং ১। বাইনারী পদ্ধতিতে ১-এর পরের সংখ্যা লেখার জন্য ০ এবং ১ এ দুটি প্রতীক ব্যবহার করতে হয় এবং দ্বিতীয় স্থানের প্রয়োজন হয়। যেমন- দশমিক পদ্ধতিতে ২ লেখার জন্য বাইনারী লিখতে হবে ১০। বাইনারীতে এর পরের সংখ্যা ১১ লেখার পর তৃতীয় স্থানের প্রয়োজন হয় অর্থাৎ ১১ এর পরের সংখ্যা হবে ১০০।
ইংরেজী Binary শব্দের প্রথম দুটি অক্ষর এবং Digit শব্দের শেষ অক্ষরটি নিয়ে Bit শব্দটি গঠিত হয়েছে। ০ এবং ১ বাইনারী পদ্ধতির এই অংক দুটির প্রত্যেকটিকে এক একটি Bit বলা হয়। এই Bit দুটি সহজে ইলেকট্রনিক উপায়ে নির্দেশ করা যায়। এ কারণে ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রে (কম্পিউটার) এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় বৈদ্যুতিক Wave কে বাইনারী পদ্ধতির সাথে সংযুক্ত করা হয়।
বাইনারি পদ্ধতিতে ০ এবং ১ এই দুটি মাত্র অংক ব্যবহৃত হয়। এ জন্য এই পদ্ধতিকে দ্বিমিতিক সংখ্যা পদ্ধতিও বলা হয়। এটি একটি পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি। এ সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি বা বেজ ২। এই পদ্ধতিতে ব্যবহৃত ০ অথবা ১ অংককে সংক্ষেপে বিট (Bit বা Binary Digit) বলা হয়। বিট হলো ডেটা ও তথ্য সংরক্ষণ, ডেটা কমিউনিকেশন ও ডিজিটাল কম্পিউটারের মৌলিক একক। ডেটা ও তথ্য পরিমাপের জন্যও বিট ব্যবহৃত হয়। সাধারণতঃ ৮টি বিট সমন্বয়ে ১ বাইট গঠিত হয়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions