সাবমেরিন ক্যাবল বাংলাদেশ
সাবমেরিন ক্যাবল হলো সাগরের তলদেশে নির্মিত অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল সংযোগ ব্যবস্থা, যা টেলিকমিউনিকেশনে তথ্য আদান প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশ ২০০৬ সালে SEA-ME-WE-4 কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে সাবমেরিন ক্যাবলে যোগদান করে। বাংলাদেশে সাবমেরিন ক্যাবলের ল্যান্ডিং ষ্টেশন কক্সবাজারের ঝিলংজায় অবস্থিত। এ প্রকল্পে ১৪টি দেশের ১৬টি আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ কোম্পানি যুক্ত রয়েছে। সদস্য দেশগুলো হলো সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, ভারত শ্রীলংকা, ইউএই, পাকিস্তান, সৌদি আরব, মিশর, ইতালি, তিউনিশিয়া, আলজেরিয়া ও ফ্যান্স।
সাবমেরিন কেবলের মোট দৈর্ঘ্য ২০,০০০ কিলোমিটার। বাংলাদেশে ব্রাঞ্চের দৈর্ঘ্য: ১২৬০ কিলোমিটার (গভীর সমুদ্রের মূল কেবল হতে কক্সবাজার পর্যন্ত)।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল SEA-ME-WE-5 সাবমেরিন ক্যাবল লাইননের দৈর্ঘ্য ২০,০০০ কিলোমিটার। এই ২য় সাবমেরিন ক্যাবলের ল্যান্ডিংস্টেশন পটুয়াখালি জেলার কুয়াকাটার রাবনাবাদ চ্যানেলে অবস্থিত। ১৬ জানুয়ারী, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে SEA-ME-WE-5 সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে যুক্ত হয়।
সাবমেরিন কেবলে বাংলাদেশের প্রাপ্ত বর্তমান ব্যান্ডউইথ/ক্ষমতা ১০ গিগাবিটস/সেকেন্ড। বাংলাদেশের সাবমেরিন ক্যাবল প্রকল্পটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions