Home » » এডোবি ফটোশপের টুল পরিচিতি

এডোবি ফটোশপের টুল পরিচিতি

এডোবি ফটোশপের টুল পরিচিতি

ফটোশপ খোলার সাথে সাথে যে স্ক্রীন দেখাবে সেই স্ক্রীনের মধ্যে মেনুবার, টুলবক্স, কনেট্রাল প্যানেল, কালার প্যানেল, এ্যাপ্লিকেশন বার ইত্যাদি দেখা যাবে।

মেনুবার: Application বারের নিচে File, Edit, Image, Layer, Select Filter, View, Windows, help এই ৯টির প্রত্যেকটিকে মেনু বলে। সকল মেনু বিশিষ্ট বারকে মেনু বার বলে। প্রত্যেকটি মেনুর অধীনে আবার অনেকগুলো সাবমেনু আছে যেগুলোকে ব্যবহার করে ব্যবহারকারী কাজকে প্রাণবন্ত করতে পারবে।

টুলবক্স: এডোবি ফটোশপ স্ক্রীনের বাম পাশে উলম্বভাবে যে বক্সটি দেখা যায় তাকে টুলস্ বক্স বলে। মূলত টুলবক্সের বিভিন্ন টুলের সাহায্যেই ডিজাইন করা হয়। ফটোশপে ছবির কাজ করার সময় টুলবক্স অত্যন্ত জরুরী। এতে সাবটুলসহ মোট ৬০টি টুল রয়েছে। টুলের উপর ডান বাটন ক্লিক করলেই সাব টুলগুলো দেখা যাবে।

(1)    Marquee Tool : Marquee Tool আবার চার ধরনের যথা:
(ক) Rectangular Marquee Tool : এটি দিয়ে আপনি চারকোনা বিশিষ্ট ছবি নির্বাচন করতে পারবেন।
(খ) Elliptical Marquee Tool : এটি দিয়ে আপনি ছবিতে বৃত্তাকার নির্বাচন করতে পারবেন।
(গ) Single Row Marquee Tool : এটি দিয়ে আপনি ছবিতে Row আকারে দাগ করে নির্দিষ্ট স্থান নির্বাচন করতে পারবেন।
(ঘ) Single Column Marquee Tool : এটি দিয়ে আপনি ছবিতে Column আকারে দাগ করে নির্বাচন করতে পারবেন।

(২) Move Tool : এই টুল দিয়ে আপনি আপনার ছবির কোন লেয়ারকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় স্থানান্তরিত করতে পারবেন। চিত্রকে স্থানান্তরিত করার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।

(৩) Lasso Tool : ছবির বিভিন্ন স্থান নির্বাচন করতে এটি ব্যবহৃত হয়। Lasso Tool তিন ধরনের যথা:
(ক) Lasso Tool : এটি পেন্সিলের মত কাজ করে। পেন্সিলের মত চাপ দিয়ে যতটুকু আঁকবেন তারপর ছেড়ে দিলেই ঐ অংশটুকু নির্বাচন হবে।
(খ) Polygonal Lasso Tool : প্রথমে এক জায়গায় ক্লিক করে নিয়ে বিভিন্ন পয়েন্ট তৈরির মাধ্যমে ছবিতে বিভিন্ন জায়গা নির্বাচন করার জন্য এই টুল ব্যবহৃত হয়।
(গ) Magnetic Lasso Tool : শুধুমাত্র যেখানে যাবেন সেখানে এটি রং এর পার্থক্য দেখে নির্বাচন করবে।

(৪) Magic wand Tool : এটি দিয়ে আপনি যে কোন এক রং এর উপর ক্লিক করেই সেই অংশটুকু নির্বাচন করতে পারবেন। এর অধীনে Quick Selection Toolও রয়েছে।

(৫) Crop Tool : এটি ব্যবহার করে ছবিকে যে কোন সাইজে কাটতে বা Crop বা রিসাইজ করতে পারবেন। এটি বহুল ব্যবহৃত একটি টুল। এর অধীনে রয়েছে Slice tool ও slice select tool ।

(৬) Eyedropper Tool : এই টুলের সাহায্যে ছবির বিভিন্ন স্থানের রং Collect বা সংগ্রহ করা হয়। এই টুলের অধীনের আরো তিনটি টুল রয়েছে যেমন: Color sampler tool, Ruler tool, Note tool.

(৭) Healing Brush Tool: এর অধীনে যে Tool গুলি দেখা যায় তা হলো:
(ক) Healing Brush Tool : কোন ইমেজ একস্থান থেকে Copy করে আরেক স্থানে আনার জন্য ব্যবহৃত হয়।
(খ) Patch tool : এটি Lasso tool এর মত তবে একটু ব্যতিক্রম।

(৮) Brush tool : প্রয়োজনীয় স্থানকে পছন্দ অনুযায়ী রং করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এর অধীনে আরো রয়েছে Pencil tool, Color Replacement tool, Mixer Brush tool.

(৯) Stamp Tool : এটি একটি গুরেুত্বপূর্ণ tool. এখানে ২টি tool রয়েছে যথা:
(ক) Clone stamp tool : এর ব্যবহার healing Brush tool এর মতই। এর মাধ্যমে ছবির কোন এক জায়গার texture নিয়ে অন্য জায়গায় Paste করা হয়।
(খ) Pattern stamp tool : বিভিন্ন প্যাটার্ণ দেওয়ার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্যাটার্ণ পছন্দ করে ছবিতে প্রয়োগ করা যায়।

(১০)History Brush Tool : ছবিকে প্রাথমিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এটি ব্যবহার করা হয়।

(১১) Eraser Tool : এটি দিয়ে মুছা বা ডিলিট করা হয়। এতে তিনটি tool রয়েছে-
(ক) Eraser Tool : এটি সিলেক্ট করে, ড্র্যাগ করে আপনি ছবির অপ্রয়োজনীয় অংশ মুছতে পারবেন।
(খ) Background Eraser Tool : এর মাধ্যমে আপনি আপনার ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড অর্থাৎ পিছনের লেয়ারকে মুছে ফেলতে পারবেন।
(গ) Magic Eraser Tool : ব্যাকগ্রাউন্ড ইরেজার টুল আর এই টুলটির কাজ একই কিন্তু একটু পার্থক্য হলো, ব্যাকগ্রাউন্ড ইরেজার টুল দিয়ে ইরেজ করলে টুলটির আকারের স্থানের অংশটুকু ইরেজ হবে। আর এই টুল দিয়ে ইরেজ করলে যতটুকু এক কালার আছে তার সবটুকুই ইরেজ হবে বা মুছে যাবে।

(১২) Gradient Tool : বিভিন্ন রংয়ের সমন্বয়ে যে রং তৈরি হয় তাকে Gradient রং বলে। অর্থাৎ গ্র্যাডিয়েন্ট হলো বিভিন্ন রংয়ের সমন্বয়, এর অধীনে ২টি tool রয়েছে যথা:
(ক) Gradient Tool : এই টুলের সাহায্য বিভিন্ন রং মিশ্রণ করে একটি রং তেরি হয়। বিভিন্ন ধরনের গ্র্যাডিয়েন্ট নির্বাচন, সাইজ ও বিভিন্ন পরিবর্তনের জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।
(খ) Paint bucket Tool : এই টুল দিয়ে বিভিন্ন প্যাটার্ণ দিতে পারবেন। এর জন্য অবশ্যই Fill থেকে প্যাটার্ণ নির্বাচন করতে হবে।

(১৩)Blur Tool : ছবি মসৃণ করার জন্য এই টুল ব্যবহৃত হয়। এর অধীনে রয়েছে ২টি টুল যথা: sharpen tool এবং Smudge tool
(ক) Sharpen tool : ছবিকে সার্প বা নিখুঁত করার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।
(খ) Smudge tool : এটা দিয়ে সহজেই ছবিতে কোন দাগ থাকলে তা মুছে দিতে পারবেন।

(১৪)Dodge tool : এটি অত্যন্ত কার্যকরী একটি টুল। এখানে তিনটি সাব টুল আছে যথা:
(ক) Dodge tool : এই টুল দিয়ে ছবির ব্রাইটনেস বা উজ্জবলতা বাড়ানো হয় বা ছবিতে আলো দেওয়া হয়।
(খ) Burn tool : এই টুল দিয়ে ছবির ব্রাইটনেস কমানো বা কালো করা হয়। যেমন: চুল কালি করা, চোখের মনি কালো করা, ভ্রু কালো করা ইত্যাদি।
(গ) Sponge tool : ছবিতে Sponge দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।

(১৫)Path selection Tool : এখানে ২টি সাব টুল আছে যথা:
(ক) Path selection tool : ছবিতে কোন প্যাথ বা লেয়ার নির্বাচন করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
(খ) Direct selection : পুরো লেয়ার নির্বাচন করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

(১৬) Pen tool : এটি একটি কার্যকরী টুল। এতে ৫টি সাব টুল আছে-
(ক) Pen Tool : পেন টুলের সাহায্যে ছবিকে নির্বাচন করা যায়। তাছাড়া বিভিন্ন পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট পাথ তৈরি করতেও এটি ব্যবহৃত হয়।
(খ) Free Form Pen Tool : স্বাধীনভাবে ছবি নির্বাচন করার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।
(গ) Add Anchor Point Tool : পাথ যোগ বা Add করার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।
(ঘ) Delete Anchor Point Tool : পাথ মুছে ফেলার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।
(ঙ) Convert Point Tool : অংকিত সব পাথকে একটি পাথে রূপামত্মর করার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।

(১৭)Type tool : চিত্রে লেখালেখির জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। এর অধীনে চার ধরনের টুল রয়েছে যথা: ক) Horizontal Type Tool (খ) Vertical Type Tool (গ) Horizontal Type Mask Tool (ঘ) Vertical Type Mask Tool.

(১৮)Rectangle Tool : এটি একটি গুরম্নত্বপূর্ণ টুল। এর অধীনে ৬টি টুল রয়েছে যথা:
(ক) Rectangle Tool : চতুর্ভুজ তৈরি করার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।
(খ) Rounded Rectangle Tool : চারকোণা গোলাকৃতি চর্তুভূজ তৈরি করার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।
(গ) Ellipse Tool : উপবৃত্ত, বৃত্ত তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
(ঘ) Polygon Tool : বহুভুজ তৈরি করার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।
(ঙ) Line Tool : লাইন তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
(চ) Custom Shape Tool: বিভিন্ন ধরনের অ্যারো (Arrow) তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

(১৯) Hand tool : এটি দিয়ে ছবি সরানো হয়। ছবি zoom করার পর সরিয়ে সরিয়ে দেখার জন্য ব্যবহৃত হয়।

(২০) জুম টুল (Zoom tool) : ছবিকে বড় করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comment below if you have any questions

অফিস/বেসিক কম্পিউটার কোর্স

এম.এস. ওয়ার্ড
এম.এস. এক্সেল
এম.এস. পাওয়ার পয়েন্ট
বাংলা টাইপিং, ইংরেজি টাইপিং
ই-মেইল ও ইন্টারনেট

মেয়াদ: ২ মাস (সপ্তাহে ৪দিন)
রবি+সোম+মঙ্গল+বুধবার

কোর্স ফি: ৪,০০০/-

গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স

এডোব ফটোশপ
এডোব ইলাস্ট্রেটর

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৮,৫০০/-

ওয়েব ডিজাইন কোর্স

এইচটিএমএল ৫
সিএসএস ৩

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৮,৫০০/-

ভিডিও এডিটিং কোর্স

এডোব প্রিমিয়ার প্রো

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৯,৫০০/-

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স

ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, এসইও, গুগল এডস, ইমেইল মার্কেটিং

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ১২,৫০০/-

অ্যাডভান্সড এক্সেল

ভি-লুকআপ, এইচ-লুকআপ, অ্যাডভান্সড ফাংশনসহ অনেক কিছু...

মেয়াদ: ২ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৬,৫০০/-

ক্লাস টাইম

সকাল থেকে দুপুর

১ম ব্যাচ: সকাল ০৮:০০-০৯:৩০

২য় ব্যাচ: সকাল ০৯:৩০-১১:০০

৩য় ব্যাচ: সকাল ১১:০০-১২:৩০

৪র্থ ব্যাচ: দুপুর ১২:৩০-০২:০০

বিকাল থেকে রাত

৫ম ব্যাচ: বিকাল ০৪:০০-০৫:৩০

৬ষ্ঠ ব্যাচ: বিকাল ০৫:৩০-০৭:০০

৭ম ব্যাচ: সন্ধ্যা ০৭:০০-০৮:৩০

৮ম ব্যাচ: রাত ০৮:৩০-১০:০০

যোগাযোগ:

আলআমিন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

৭৯৬, পশ্চিম কাজীপাড়া বাসস্ট্যান্ড,

[মেট্রোরেলের ২৮৮ নং পিলারের পশ্চিম পাশে]

কাজীপাড়া, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬

মোবাইল: 01785 474 006

ইমেইল: alamincomputer1216@gmail.com

ফেসবুক: facebook.com/ac01785474006

ব্লগ: alamincomputertc.blogspot.com

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *