ডিজিটাল কনটেন্ট কি
ডিজিটাল ডাটা আকারে বিদ্যমান যে কোন কনটেন্টকে ডিজিটাল কন্টেন্ট বলা হয়। এটা ডিজিটাল মিডিয়া নামেও পরিচিত। টেক্সট যেমন ডিজিটাল কন্টেন্ট এর আওতায় পড়ে তেমনি অডিও-ভিডিও ফাইল, গ্রাফিক্স, এমনকি ইমেজও এর আওতায় পড়ে। কন্টেন্ট শিল্পে নিয়োজিত অনেক বিশেষজ্ঞ এই সংজ্ঞার সাথে কিছুটা দ্বিমত পোষণ করেন। তাঁরা মনে করেন, যে কোন তথ্যই ডিজিটাল কন্টেন্ট যদি সেটা ডিজিটাল আকারে পাবলিশ করার পর ডাউনলোড ও বিতরণযোগ্য হয়।
উপরের আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট বোঝা যায় ডিজিটাল কন্টেন্ট বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। বহুল ব্যবহৃত কনটেন্টগুলো নিম্নরূপঃ
ভিডিও: ভিডিও কন্টেনেটর মধ্যে ব্যক্তিগত ভিডিও, মিউজিক ভিডিও, টিভি শো এবং চলচ্চিত্র উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিডিও কন্টেন্ট সেবা দিয়ে যাচ্ছে, যেমন- ইউটিউব (YouTube), ভিমিও (Vimeo), ডেইলি মোশন (Daily Motion) ইত্যাদি। এই ওয়েবসাইটগুলোতে ব্যবহারকারী তার নিজস্ব কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক ভিডিও কন্টেন্ট পোস্ট করতে পারে এবং অন্যরা সেই ভিডিওগুলো বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে দেখতে পারে। আবার প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ডাউনলোড সফ্টওয়্যারের সাহায্যে ডাউনলোডও করতে পারেন।
সফ্টওয়্যার: সফ্টওয়্যার/এ্যাপ্লিকেশন হচ্ছে কম্পিউটার সিস্টেমের একটি অংশ যা ডাটা বা কম্পিউটার-নির্দেশাবলী নিয়ে গঠিত। ইন্টারনেটে বিনামূল্যে কন্টেন্ট পোস্ট ও শেয়ার করার জন্য অনেক এ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যার বিদ্যমান রয়েছে। যেমন- ফেইসবুক, ইউটিউব, টুইটার ইত্যাদি।
অডিও: অডিও কনটেনেটর ক্ষেত্রে মিউজিক ফাইল সবচেয়ে বেশী প্রচলিত ও ব্যবহৃত একটি কনটেন্ট। ইন্টারনেট কিংবা ডেস্কটপ কম্পিউটার থেকে মিউজিক শোনার জন্য স্পটিফাই (Spotify) একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। এছাড়া Pandora এবং last.fm অনলাইনে শ্রোতাদের বিনামূল্যে মিউজিক কন্টেন্ট ব্যবহার করার সুযোগ দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও অনেক ওয়েবসাইট বিভিন্ন ধরণের অডিও ফাইল অন্যদের সাথে শেয়ার করার সুযোগ দিচ্ছে।
ইমেজ: ইমেজ আদান-প্রদান ডিজিটাল কন্টেনেটর আরেকটি উদাহরণ। বহু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ইমেজ কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করছে। যেমন- Imagur, এখানে ব্যবহারকারী তার নিজের তৈরিকৃত ইমেজ অন্যদের সাথে শেয়ার করে, Flickr- এ ব্যবহারকারী তার ছবির এ্যালবাম অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পারে।
সংবাদ: বর্তমানে বেশীরভাগ পত্রিকাগুলোই তাদের পাঠকসংখ্যা বাড়ানোর জন্য পত্রিকাগুলোর ডিজিটাল রূপদান করেছে।
বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যায়, বেশিরভাগ পাঠক অনলাইনে সংবাদ পড়তে ভালবাসেন।
বিজ্ঞাপন: ডিজিটাল ফরম্যাটে টিভি দেখা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানা, ইন্টারনেটে বিভিন্ন কন্টেন্ট খোঁজা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। এইদিক বিবেচনায় রেখে বিজ্ঞাপনগুলোও ডিজিটাল ফরম্যাটে রূপান্তর করা হচ্ছে এবং তা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পরিবেশন করা হচ্ছে।
এছাড়াও আরও অনেক ওয়েবসাইট বিভিন্ন ধরণের ডিজিটাল কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করছে যা কিছুটা ভিন্নধর্মী। যেমন- অনেক ইন্টারনেট ফোরাম রয়েছে যেখানে পাঠকরা প্রশ্ন করেন উত্তর পাওয়ার জন্য। ডিজিটাল ম্যাপের মাধ্যমে মানুষ খুব দ্রুত কোন স্থানের খোঁজ এমনকি কিভাবে যেতে হবে তাও জানতে পারে। এ সেবাদানে জনপ্রিয় ওয়েব সাইটগুলো হলো Map Quest এবং Google Maps.
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions