শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ এখন বেশ এগিয়ে চলছে। এই পথে এগিয়ে চলার একটি বড় নিয়ামক হলো ইন্টারনেট। ইন্টারনেট আসলে বিশ্বের কম্পিউটারসমূহের মধ্যস্থিত একটি নেটওয়ার্ক মাত্র। ইন্টারনেটের বদৌলতে আজকে সমগ্র বিশ্বের সকল কম্পিউটার ব্যবহারকারীগণ একই বলয়ে আবদ্ধ হতে পারছেন। ফলে তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার আশাতীত উন্নয়ন ঘটছে। এর মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই একস্থান থেকে অন্যস্থানের তথ্য গ্রহণ ও প্রদান করতে পারছি। শুধু তাই নয়, ইন্টারনেটের কল্যাণে খুব অল্প সময়ে, অল্প খরচে মানুষ বিশ্বের সমগ্র খবরা-খবর খুব সহজেই জেনে নিতে পারছে।
প্রতিনিয়তই ইন্টারনেটের আওতায় কম্পিউটারের সংখ্যা বেড়ে চলছে, বেড়ে চলছে ইন্টারনেটের গুরুত্ব এবং ব্যবহার। শিক্ষা, গবেষণা, যোগাযোগ, ব্যবসায়-বাণিজ্য ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রেই ইন্টারনেটের গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সারা বিশ্বকে ‘গ্লোবাল ভিলেজ’-এর ধারণায় ধাবিত করছে ইন্টারনেট।
শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে। যদিও এর প্রভাব বর্ণনা খুব সহজ বিষয় নয়। শিক্ষার উপকরণ হিসেবেও কখনও কখনও ইন্টারনেটকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যেমন জ্ঞান আহরণ করতে পারছে তেমনি একে অন্যের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে জ্ঞান আদান-প্রদান, ধারণা আদান-প্রদান ও শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারছে। শুধু শিক্ষার আদান-প্রদানই নয়, এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ও আর্থ-সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারছে।
ইন্টারনেট এখন ই-লার্নিং এর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। ই-লার্নিং হলো অনলাইনের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা, পরীক্ষা দেওয়া কিংবা শিক্ষামূলক বিভিন্ন ওয়েবসাইট হতে শিক্ষা গ্রহণ ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার পদ্ধতি। দূরশিক্ষণের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের বিকল্প পথ অনেক বন্ধুর। দূরশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থী এক দেশে থেকে আরেক দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করতে পারছে, ডিগ্রীও অর্জন করতে পারছে। এসবই সম্ভব হচ্ছে ইন্টারনেটের কল্যাণে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions