Home » » মাটি কাকে বলে

মাটি কাকে বলে

মাটি কাকে বলে

পৃথিবীর উপরিভাগে অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠের যে অংশে গাছপালা জন্মে তাই মাটি হিসেবে পরিচিত। মাটি একটি প্রাকৃতিক উপায়ে সৃষ্ট বস্ত্ত, যা বহু বছরের নানা প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে কঠিন শিলা চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে এবং জীবজন্তু ও গাছপালার ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে মিশে সৃষ্টি হয়েছে। শুষ্ক অবস্থায় মাটি কঠিন হলেও সহজেই তা গুঁড়া করা যায়। ভেজা অবস্থায় মাটি নরম হয়ে যায় এবং কাদায় পরিণত হয়। মাটির কণাগুলো অতি সূক্ষ্ম হয়। মাটি একটি মিশ্র পদার্থ যাতে নানা প্রকার জৈব ও অজৈব পদার্থ মিশ্রিত অবস্থায় থাকে। প্রাকৃতিকভাবে মাটিতে গাছপালা ও নানা প্রকার উদি ভদ জন্মে বনভূমি সৃষ্টি করে। এই প্রাকৃতিক বনভূমিতে জীবজন্তু বসবাস করে। আবার আমরা এই মাটিতেই চাষ করে খাদ্যশস্য ফলাই। আবার আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য যে অক্সিজেন প্রয়োজন হয় তা এই গাছপালা থেকে পাই। গাছপালা না থাকলে গাছপালা জনমাতে পারতো না ফলে আমরা খাদ্যশস্য ও অক্সিজেন পেতাম না। তাছাড়া মাটিতেই আমরা বসবাস করি। আমাদের শহর, বন্দর রাস্তাঘাট সবই এই মাটির উপর নির্মিত। আমাদের বেচে থাকার জন্য যে মিঠা পানির প্রয়োজন তারও একটি বড় অংশ মাটির নিচ থেকে পেয়ে থাকি। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অতি প্রয়োজনীয় জ বালানিও আমরা মাটি থেকে পেয়ে থাকি। পূর্বে জ বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহৃত হত। বর্তমানে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করা হয়। উভয় জ বালানিই মাটি থেকে পেয়ে থাকি। তাছাড়া বিভিন্ন প্রকার মূল্যবান খনিজ পদার্থ যেমন- সোনা, রূপা, লোহা, জিংক ইত্যাদিও আমরা মাটি থেকেই পেয়ে থাকি। সুতরাং মাটি আমাদের অতি গুরুত বপূর্ণ সম্পদ।

মাটির প্রকারভেদ

সব জায়গার মাটি এক রকম নয়। একেক জায়গার মাটির গঠন একেক রকমের হয়ে থাকে। মাটির গঠন, বর্ণ, পানি ধারণক্ষমতা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে মাটিকে প্রধানত চার ভাগে ভাগ করা যায়; যথা- (ক) বালু মাটি, (খ) পলি মাটি, (গ) কাদামাটি এবং (ঘ) দো-আঁশ মাটি।

(ক) বালু মাটি: বালু মাটিতে বিদ্যমান মাটির কণাগুলো আকারে বড় হয়। এদের মধ্যে কোন আঠালো ভাব নেই। ফলে শুষ্ক অবস্থায় এরা ঝরঝরে হয়। এদের কণাগুলো বড় হওয়ায় এদের মধ্যে ফাঁকা জায়গা বেশি থাকে এবং এই ফাঁকা স্থানে বেশি পরিমাণে বাতাস থাকে। বালু মাটি সহজেই পানি শোষণ করতে পারে তবে পানি ধরে রাখতে পারে না। এজন্য বালুমাটি সহজেই শুষ্ক হয়ে যায়। বালুমাটিতে জৈব উপাদান সামান্য পরিমাণ থাকে। ফলে এতে ফসল উৎপাদন ভাল হয় না। বালুমাটি দানাযুক্ত ও হাতে নিলে এদের অমসৃণ ভাব অনুভূত হয়।

(খ) পলি মাটি: পলি মাটির কণাগুলো খুব ছোট হয়। এদের কণাগুলো মসৃণ এবং পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকার বৈশিষ্ট্য আছে। এদের মধ্যে ফাঁকা স্থান খুব কম। পলি মাটিতে জৈব উপাদান পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকে। তাছাড়া পানি ধরে রাখার ক্ষমতা বেশি। ফলে এটি সহজে শুষ্ক হয় না এবং ফসল উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত থাকে। পলি মাটির কণাগুলো সূক্ষ্ম হওয়ায় এরা পানিতে অনেক সময় ধরে ভাসমান থাকে এবং থিতিয়ে পড়তে সময় বেশি লাগে। পলি মাটিতে জৈব ও খনিজ উপাদান পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে এবং উদি ভদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান বেশি থাকে।

(গ) কাদা মাটি: এদের কণাগুলো সূক্ষ্ম এবং আঠালো ধরনের হয়। এদের মঝে ফাঁকা স্থান খুব কম ও পানি ধরে রাখার ক্ষমতা বেশি। কাদা মাটি থেকে সহজে পানি নিষ্কাশিত হয় না। এই মাটিতে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় যা ফসলের বা উদি ভদের মূলে পঁচন সৃষ্টি করতে পারে। কাদা মাটিতে ফসল উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় জৈব উপাদান কম থাকে ফলে চাষের জন্য জৈব সার প্রয়োগ অত্যাবশ্যকীয় হয়ে থাকে।

(ঘ) দো-আঁশ মাটি: এটি বালু, পলি ও কাদা মাটির সমন্বয়ে তৈরি হয়। এ মাটির ধরন কেমন হবে তা নির্ভর করে এতে উপস্থিত বালু, পলি ও কাদা মাটির পরিমাণের উপর। দো-আঁশ মাটির পানি ধরে রাখার ক্ষমতা ভাল। আবার তুলনামূলক স্বল্প সময়ে পানি নিষ্কাশিতও হতে পারে। তাই চাষাবাদের জন্য দো-আঁশ মাটি খুবই উপযুক্ত। 

উপরে উল্লেখিত চার প্রকার মাটি ছাড়াও আরো দুই প্রকারের মাটি পাওয়া যায়।
এরা হলো-
(ক) পিটি মাটি (Peaty soil) এবং (খ) খড়ি মাটি।

• (ক) পিটি মাটি ডোবা বা আর্দ্র এলাকায় পাওয়া যায়। এটি মূলত জৈব পদার্থ দিয়ে তৈরি। এই মাটিতে ফসল উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল উপাদান থাকে না। ফলে ফসল উৎপাদনের জন্য এটি তেমন উপযুক্ত নয়।

• (খ) খড়ি মাটি সাধারণত ক্ষারীয় এবং পাথর মিশ্রিত হয়ে থাকে। এটি পানি ধরে রাখতে পারে না এবং দ্রুত শুকিয়ে যায়। এজন্য খড়ি মাটি চাষের জন্য উপযুক্ত নয়। তাছাড়া উদি ভদের জন্য প্রয়োজনীয় লৌহ ও ম্যাগনেশিয়ামের অভাব থাকে।

 

মাটির গঠন

এলাকাভেদে মাটির রাসায়নিক গঠনে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। আবার একটি নির্দিষ্ট এলাকায় ভূপৃষ্টের উপরের মাটির সাথে নিচের দিকে মাটির ভৌতগঠনে পার্থক্য দেখা যায়। রাসায়নিক গঠনের উপর ভিত্তি করে মাটিতে উপস্থিত পদার্থসমূহকে চারভাগে ভাগ করা যায় যথা: অজৈব খনিজ পদার্থ, জৈব পদার্থ, বায়বীয় পদার্থ ও পানি। এ সকল উপাদান একে অপরের সাথে মিশে এক ধরনের জটিল মিশ্রণ তৈরি করে এবং এই উপাদানগুলোকে সহজে পৃথক করা যায় না। আবার মাটির ভৌত অবস্থার উপর ভিত্তি করেও মাটির প্রকৃতি ভিন ভিন্ন হয়ে থাকে। এজন্য ভূপৃষ্ঠের উপরিতল থেকে ভিতর দিকে মাটিকে চারটি স্তরে ভাগ করা হয়।

(ক) অজৈব খনিজ পদার্থ: মাটিতে উপস্থিত বিভিন্নধাতব ও অধাতব পদার্থসমহের প্রায় সবই অজৈব যৌগ হিসেবে থাকে। সাধারণত ক্যালসিয়াম (Ca), অ্যালুমিনিয়াম (Al), ম্যাগনেসিয়াম (Mg), লোহা (Fe), সিলিক (Si), পটাশিয়াম (K), সোডিয়াম (Na), ম্যাংগানিজ (Mn), কপার (Cu), জিংক (Zn), কোবাল্ট (Co), বোরণ (B), আয়োডিন (I) এবং ফ্লোরিন (F) ইত্যাদি মৌলের বিভিন্ন অজৈব যৌগ মাটিতে থাকে। তাছাড়া মাটিতে কার্বনেট, সালফেট, ক্লোরাইড, নাইট্রেট এবং ক্যালসিয়াম (Ca), ম্যাগনেসিয়াম (Mg), পটাশিয়াম (K) ও সোডিয়াম (Na) ইত্যাদির জৈব লবণও পাওয়া যায়।

(খ) জৈব পদার্থ: মৃত বৃক্ষলতা ও জীবজন্তু পঁচে মাটিতে মিশে যায় ফলে মাটিতে জৈব পদার্থ যুক্ত হয়। মাটিতে বিদ্যমান জৈব পদার্থ হিউমাস (Humas) নামে পরিচিত। উদ্ভিদ ও জীবজন্তুর পচনের ফলে মাটিতে প্রোটিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, সুক্রোজ, অ্যালকোহল, চর্বি, তেল, লিগনিন, ট্যানিন ও অন্যান্য অ্যারোমেটিক আধিক্য দেখা যায়। এটি সাধারণত কালচে বর্ণের হয়ে থাকে।

(গ) পানি : মাটির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে পানি। মাটির কঠিন কণাগুলো পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে এবং এ কণাগুলোর মাঝে কিছুটা ফাঁকা স্থান বা রন্ধ্র থাকে। এই ফাঁকা স্থান বা রন্ধ্রে পানির কণা অবস্থান করে। মাটির কণাগুলো যত সূক্ষ্ম হয় তার পানি ধরে রাখার ক্ষমতাও তত বৃদ্ধি পায়। আবার মাটির কণাগুলো যত বড় হয় তার পানি ধরে রাখার ক্ষমতাও তত কম হয়। যেমন- বালি সহজে পানি শোষণ করলেও তা ধরে রাখতে পারে না। ফলে বালি সহজেই শুকিয়ে যায়। যেমন- বালি পানি ধরে রাখতে না পারার জন্য মরুভূমির বালি শুষ্ক হয়। মাটিতে থাকা হিউমাস পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে। উদ্ভিদ তার প্রয়োজনীয় পানি মাটি থেকে শোষণ করে। তাছাড়া উদ্ভিদ শুষ্ক মাটি থেকে তার প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ গ্রহণ করতে পারে না। উদ্ভিদ ভেজা মাটি থেকে তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি যেমন- খনিজ পদার্থ, নাইট্রোজেন, ফসফরাস ইত্যাদি পানির সাহায্যে গ্রহণ করে থাকে। এজন্য পানি না থাকলে উদ্ভিদ মাটি থেকে পুষ্টি গ্রহণ করে বেড়ে উঠতে পারে না।

(ঘ) বায়বীয় পদার্থ : মাটির কণার মধ্যকার ফাঁকা স্থান বা রন্ধ্রে কিছু পরিমাণ বায়বীয় পদার্থ বা বাতাস ধরে রাখে। সাধারণত মাটিতে নাইট্রোজেন, অক্সিজেন ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড ইত্যাদি বায়বীয় পদার্থ উপস্থিত থাকে। মাটিতে থাকা গ্যাসের সাথে বায়ুমন্ডলে থাকা গ্যাসের বিনিময় হয়। অর্থাৎ বায়ুমন্ডল থেকে গ্যাস মাটিতে এবং মাটি থেকে গ্যাস বায়ুমন্ডলে স্থানান্তরিত হয়। এই প্রক্রিয়াকে বলে মাটির বায়বায়ন (Soil Aeration)। মাটিতে বিভিন্ন প্রকার অনুজীব থাকে। তাদের মধ্যে কিছু অনুজীবের জীবন ধারনের জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। এই অনুজীবগুলো মাটিতে থাকা অক্সিজেন গ্রহণ করে বেঁচে থাকে ও বংশ বৃদ্ধি করে। আবার অনেক ক্ষেত্রে এই অক্সিজেন অদ্রবণীয় খনিজ পদার্থকে ভেঙ্গে দ্রবণীয় পদার্থে পরিণত করে, যা মাটিতে থাকা পানির সাহায্যে উদ্ভিদে স্থানান্তরিত হয়।

মাটির স্তর ভিত্তিক গঠন : ভূপৃষ্ঠের উপর থেকে নিচের দিকে মাটির উপাদান একই রকম বৈশিষ্ট্যের হয় না। মাটির উপাদানের বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে মাটিকে চারটি অনুভূমিক স্তরে ভাগ করা যায়। প্রতিটি স্তরকে দিকবলয় বা হরাইজোন (Horizon) বলা হয়।

১ম স্তরঃ এই স্তরকে Horizon A বা টপ সয়েল (Top Soil) বলে। এই স্তরেই উদ্ভিদ জন্মে। এই স্তরে মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণির দেহ পচনের ফলে উৎপাদিত বিভিন্ন জৈব পদার্থ এবং হিউমাস উপস্থিত থাকে। সাধারণত এই স্তর থেকে খনিজ পদার্থ পানির সাথে নিচের স্তরে চলে যায়।

২য় স্তরঃ এই স্তরকে সাব সয়েল (Sub soil) বা Horizon B বলে। এখানে জৈব পদার্থ এবং হিউমাস সামান্য পরিমাণে থাকে। উপরের স্তর থেকে আসা খনিজ এ স্তরে জমা হয়।

৩য় স্তরঃ মাটির ৩য় স্তর বা Horizon C। এখানে তুলনামূলক নরম শিলা থাকে এবং এই শিলা আস্তে আস্তে নরম হয়ে মাটিতে পরিণত হয়।

৪র্থ স্তরঃ এটি Horizon D নামে পরিচিত। এটি কঠিন শিলা নিয়ে গঠিত।


মাটির pH বা মাটির অম্লত্ব ও ক্ষরকত্ব

ফসল উৎপাদনের জন্য মাটির অম্লত্ব বা ক্ষারকত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মাটির অম্লত্ব বা ক্ষারকত্বের পরিমাপক হচ্ছে pH। মাটির pH নির্ণয় করে তার অম্লত্ব বা ক্ষারকত্ব জানা যায়। বিশুদ্ধ পানি নিরপেক্ষ এবং এর pH হচ্ছে ৭। কোন কিছুর pH ৭-এর চেয়ে বেশি হলে তা ক্ষারধর্মী হয় এবং ৭-এর চেয়ে কম হলে তা অ্যাসিডধর্মী হয়। তাই কোন একটি জমির মাটির pH নির্ণয় করে এর ক্ষারকত্ব বা অম্লত্ব নির্ণয় করা যায় এবং pH এর প্রাপ্ত মান অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে এর মান ৭ করা যায়। অর্থাৎ জমিটিকে নিরপেক্ষ করা যায়। তবে কিছু কিছু ফসল যেমন- আলু এবং গম উৎপাদনের জন্য pH ৫-৬ হলে ভাল হয়। আবার কিছু ফসল যেমন- যব উৎপাদনের জন্য pH ৮ হলে ভাল হয়। অতএব আমরা দেখতে পাচ্ছি ভালো ফসলের জন্য মাটির pH জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মাটিতে অবস্থিত সাধারণ খনিজ পদার্থঃ আমরা প্রাত্যহিক জীবনে বিভিন্ন প্রকার বস্ত্ত যেমন- পেন্সিলের সিস, খনিজ লবণ, ট্যালকম পাউডার, চীনা মাটির থালাবাসন ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকি। এ সকল জিনিসের অধিকাংশই মাটি বা শিলা স্তরের বিভিন্ন অংশে অবস্থিত খনি থেকে পেয়ে থাকি। এভাবে খনি থেকে প্রাপ্ত বস্ত্তকে সাধারণভাবে খনিজ পদার্থ বলে থাকি। বেশিরভাগ খনিজ পদার্থই যৌগিক পদার্থ এবং কঠিন অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রতিটি খনিজ পদার্থের সুনির্দিষ্ট রাসায়নিক সংযুক্তি থাকে। এ পর্যন্ত খনিতে প্রাপ্ত খনিজ পদার্থের সংখ্যা প্রায় ২৫০০। খনিজ পদার্থসমূহকে সাধারণভাবে ধাতব ও অধাতব এই দু’প্রকারে ভাগ করা যায়। ধাতব খনিজ পদার্থের মধ্যে অন্যতম হলো লোহা (Fe), তামা (Cu), সোনা (Au) ও রূপা (Ag), জিংক (Zn) ইত্যাদি। আবার ধাতব খনিজ পদার্থের মধ্যে অন্যতম হলো কয়লা, পেট্রোলিয়াম, গ্রাফাইট, কোয়াটর্জ, মাইক ও বিভিন্ন প্রকার লবণ ইত্যাদি। অধাতব খনিজ পদার্থের মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, গ্রাফাইট, পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি জৈব পদার্থ।

মাটির উপাদানের ভৌত ধর্ম : খনিজ পদার্থসমূহ কঠিন, তরল ও বায়বীয় এই তিন প্রকারের হয়ে থাকে। বিভিন্ন প্রকার ধাতব খনিজ, কয়লা, গ্রাফাইট ইত্যাদি কঠিন অবস্থায় পাওয়া যায়। প্যাট্রোলিয়াম তরল অবস্থায় এবং প্রাকৃতিক গ্যাস বায়বীয় অবস্থায় পাওয়া যায়। কঠিন খনিজ পদার্থসমূহ সাধারণত দানাদার বা কেলাসাকার হয়। আবার অনেক কঠিন খনিজ পদার্থ কঠিন শিলা হিসেবে পাওয়া যায় এবং তাদের কোন সুনির্দিষ্ট আকার থাকে না। এসকল কঠিন খনিজের কাঠিন্যের পরিমাণও একরকম হয় না। কোনো কোনোটি কম কাঠিন্যের হয় যেমন- কয়লা, সালফার, ট্যালক (Talc) ইত্যাদি। সবচেয়ে বেশি কঠিন খনিজ হলো হীরা বা ডায়মন্ড। কোনো কোনো খনিজ পদার্থ দ্যুতিসম্পন্ন হয়। যেমন- ধাতব খনিজ পাইরাইটসমূহ ধাতুর মত চকচক করে। আবার অধাতু খনিজ হীরা খুবই দ্যুতিসম্পন্ন হয়। তাছাড়া বিভিন্ন রত্ম যেমন- পান্না, নীলা, চুনি ইত্যাদিও চকচকে হয়। কিছু কিছু খনিজ পদার্থ খুব স্বচ্ছ হয় এবং এদের ভিতর দিয়ে আলো  যেতে পারে যেমন- কোয়ার্টজ। আবার কিছু খনিজ আছে যাদের মধ্য দিয়ে আলো যেতে পারে না যেমন- চুনাপাথর (CaCO3)। প্রতিটি খনিজ পদার্থেরই নির্দিষ্ট বর্ণ থাকে।

রাসায়নিক ধর্ম : প্রতিটি খনিজ পদার্থের রাসায়নিক ধর্ম নির্ভর করে এর রাসায়নিক গঠনের উপর। এজন্য প্রতিটি খনিজ পদার্থের রাসায়নিক ধর্মও ভিন্ন প্রকৃতির হয়।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comment below if you have any questions

অফিস/বেসিক কম্পিউটার কোর্স

এম.এস. ওয়ার্ড
এম.এস. এক্সেল
এম.এস. পাওয়ার পয়েন্ট
বাংলা টাইপিং, ইংরেজি টাইপিং
ই-মেইল ও ইন্টারনেট

মেয়াদ: ২ মাস (সপ্তাহে ৪দিন)
রবি+সোম+মঙ্গল+বুধবার

কোর্স ফি: ৪,০০০/-

গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স

এডোব ফটোশপ
এডোব ইলাস্ট্রেটর

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৮,৫০০/-

ওয়েব ডিজাইন কোর্স

এইচটিএমএল ৫
সিএসএস ৩

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৮,৫০০/-

ভিডিও এডিটিং কোর্স

এডোব প্রিমিয়ার প্রো

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৯,৫০০/-

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স

ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, এসইও, গুগল এডস, ইমেইল মার্কেটিং

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ১২,৫০০/-

অ্যাডভান্সড এক্সেল

ভি-লুকআপ, এইচ-লুকআপ, অ্যাডভান্সড ফাংশনসহ অনেক কিছু...

মেয়াদ: ২ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৬,৫০০/-

ক্লাস টাইম

সকাল থেকে দুপুর

১ম ব্যাচ: সকাল ০৮:০০-০৯:৩০

২য় ব্যাচ: সকাল ০৯:৩০-১১:০০

৩য় ব্যাচ: সকাল ১১:০০-১২:৩০

৪র্থ ব্যাচ: দুপুর ১২:৩০-০২:০০

বিকাল থেকে রাত

৫ম ব্যাচ: বিকাল ০৪:০০-০৫:৩০

৬ষ্ঠ ব্যাচ: বিকাল ০৫:৩০-০৭:০০

৭ম ব্যাচ: সন্ধ্যা ০৭:০০-০৮:৩০

৮ম ব্যাচ: রাত ০৮:৩০-১০:০০

যোগাযোগ:

আলআমিন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

৭৯৬, পশ্চিম কাজীপাড়া বাসস্ট্যান্ড,

[মেট্রোরেলের ২৮৮ নং পিলারের পশ্চিম পাশে]

কাজীপাড়া, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬

মোবাইল: 01785 474 006

ইমেইল: alamincomputer1216@gmail.com

ফেসবুক: facebook.com/ac01785474006

ব্লগ: alamincomputertc.blogspot.com

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *