পার্সোনাল কম্পিউটার কাকে বলে
পার্সোনাল কম্পিউটারের অপর নাম মাইক্রোকম্পিউটার। ১৯৫৮ সালে অনেক ট্রানজিস্ট্রর, রেজিস্ট্যান্স ও ক্যাপাসিটরের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছিল ইান্টগ্রেটেড সার্কিট (আইসি)। ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে ইনটেল কোম্পানি অনেক আইসির সমন্বয়ে ইনটেল-৪০০৪ (Intel-4004) নামে একটি মাইক্রোপ্রসেসর তৈরি করে। এই মাইক্রোপ্রসসর আবিষ্কারের ফলে কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটকে মাত্র একটি চিপে ধারণ করা সম্ভব হয় এবং কম্পিউটার জগতে একটি নতুন প্রজন্মের আবির্ভাব হয়। মাইক্রো (Micro) শব্দের অর্থ ক্ষুদ্র। ক্ষুদ্রাকৃতি মাইক্রোপ্রসেসর দিয়ে তৈরি ক্ষুদ্রাকৃতি কম্পিউটারকে তাই মাইক্রোকম্পিউটার (Microcomputer) বলা হয়। এটিকে সাধারণ টেবিলের উপর রেখে কাজ করা যায় এবং একজন ব্যবহারকারী একাই একটি কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য মাইক্রোকম্পিউটারকে পার্সোনাল কম্পিউটার (Personal Computer) বা সংক্ষেপে পিসি (PC)- ও বলা হয়। মাইক্রোকম্পিউটার হচ্ছে কারিগরি নাম এবং পিসি হচ্ছে চলতি নাম।
১৯৭১ সালে মাইক্রোপ্রসেসর আবিষ্কৃত হওয়ার পর পরবর্তী পাঁচ বৎসর মাইক্রোপ্রসেসর ভিত্তিক মাইক্রোকম্পিউটার তৈরি নিয়ে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা চলে। প্রথম সফল মাইক্রোকম্পিউটার বাজারে ছেড়েছিল ১৯৭৬ সালে এপল নামে একটি আমেরিকান কোম্পানি। এই কম্পিউটারকে বলা হয় এপল গোত্রের ডেস্কটপ বা এপল পিসি। এপল কোম্পানি আমেরিকানদের কাছে তাদের এই মইক্রোকম্পিউটারের পরিচিতি তুলে ধরে। এরপর ১৯৮১ সালে আইবিএম নামক আমেরিকান আর একটি কোম্পানি ভিন্ন ধরনের আর একটি মাইক্রোকম্পিউটার তৈরি করে। তারা তাদের এই কম্পিউটারের নাম দেন পিসি। এই পিসি থেকে উদ্ভব হয় আইবিএম কম্পাটেবল কম্পিউটার। এরপর ১৯৮৪ সালে এপল কোম্পনি তাদের তৈরি মেকিনটোশ নামে মাইক্রোকম্পিউটার বাজারে ছাড়ে। এখনও পর্যন্ত পিসির জগতে এই দুইটি গোত্রই দেখা যায়। এই দুইটি গোত্রের মধ্যে আইবিএম কম্পাটেবল পিসি-ই সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। দামের দিক থেকে তুলনা করলে এপল পিসি বেশ মূল্যবান কিন্তু কাজের দিক থেকে উভয় পিসিই সমমানের। তাছাড়া আইবিএম পিসি আপগ্রেড করা ও মেরামত করা অনেক বেশি সুবিধাজনক।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions