Home » » প্রবাদ বাক্য

প্রবাদ বাক্য

প্রবাদ বাক্য

আমরা আমাদের দৈনন্দিন ভাষার ব্যবহারে এমন কিছু উক্তি বা কথা বলে থাকি যা বহুদিন ধরে আমাদের সমাজে প্রচলিত এক-একটি বিশেষ ঘটনার সংক্ষিপ্তসার বা তাৎপর্যময় উক্তি। মানুষের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানপ্রসূত কালের আবর্তে গ্রহণযোগ্য সংক্ষিপ্ত অথচ ভাব প্রকাশক এসব উক্তিই প্রবাদ-প্রবচন বা প্রবাদ বাক্য। মানুষ প্রাত্যহিক জীবনের নানা ঘটনা থেকে যে অভিজ্ঞতা বা শিক্ষা অর্জন করে তা ছোট আকারে কথার মাধ্যমে সূতীক্ষ্ম ব্যঞ্জনায় জনসাধারণের মুখে মুখে প্রচলিত হয়ে গণউক্তিমূলক প্রবাদ-প্রবচনে রূপ নেয়। আবার জ্ঞানী ব্যক্তিদের নীতি-উপদেশমূলক কথাও প্রবাদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন- ধর্মের কল বাতাসে পড়ে। অথবা- যেমন কর্ম, তেমন ফল। প্রথম প্রবাদটি নীতিকথামূলক এবং দ্বিতীয়টি মানব চরিত্রের সমালোচনামূলক। উভয় প্রবাদ-প্রবচনই মানুষের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, শিক্ষা ও চিন্তার ধারাবাহিক ফসল।

মানুষের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানপ্রসূত কালের আবর্তে গ্রহণযোগ্য সংক্ষিপ্ত অথচ ভাব প্রকাশক উক্তিই প্রবাদ-প্রবচন। প্রবাদ-প্রবচন দীর্ঘ অভিজ্ঞতার একটি সংক্ষিপ্ত অভিব্যক্তি। তবে সব ক্ষিত্রেই যে এর অর্থ চিরসত্য বা সুনির্দিষ্ট হবে তা বলা যায় না। যেমন- ‘নেই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো’ -এর সঙ্গে ‘দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল শ্রেয়’ এর অর্থ-পার্থক্য দেখা যায়।

কালের প্রবর্তনে বিভিন্ন উৎস থেকে প্রবাদ-প্রবচনের উদ্ভব হয়েছে। বিভিন্ন অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে মানুষের মুখ থেকে যেমন এসব বাক্য উৎসারিত হয়েছে, তেমনি বিভিন্ন কবি-লেখক-বুদ্ধিজীবীদের লেখা থেকেও এগুলো একটা সর্বজনীন রূপ লাভ করেছে। বিভিন্ন গ্রাম্য লেখক বা কবিয়ালদের উক্তি থেকেও এগুলো এসেছে। এছাড়া ডাক ও খনার বচন, বিভিন্ন জনশ্রুতি, মেয়েলি ছড়া, লোকসাহিত্য এবং সর্বোপরি আমাদের দৈনন্দিন আচার-আচরণ, রীতিনীতি, চালচলন ও বহুদিনের অভিজ্ঞতা থেকে এগুলোর উদ্ভব হয়েছে।

পৃথিবীর প্রায় সব ভাষাতেই প্রবাদ-প্রবচনের প্রচলন রয়েছে। ভাব প্রকাশের সহায়ক হিসেবে এসবের গুরুত্ব অনেক। প্রবাদ-প্রবচনের অর্থব্যঞ্জনা অর্থাৎ কম কথায় গভীর ভাব প্রকাশের প্রক্রিয়া রয়েছে, যা মানব চরিত্রের বৈশিষ্ট্য প্রকাশের সহায়ক। এগুলো ব্যবহারযোগ্য ভাষায় সরল ও সুচারু আকারে প্রয়োগ করা যায়। শুধু তাই নয়, ভাষার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্যও প্রবাদ-প্রবচনের ব্যবহার বহুকাল ধরে চলে আসছে। মানুষের মুখে মুখে চলে আসা অজ্ঞাত মানুষের তৈরি এসবপ্রবাদ-প্রবচনের মাধ্যমে মানুষের অভিজ্ঞতা, নীতিকথা, ইতিহাস, সমালোচনা ও সমাজের রীতিনীতি ইত্যাদির প্রকাশ রসযোগ্য করে তুলে ধরা হয়।

নিচে প্রবাদ-প্রবচন বা প্রবাদ বাক্য ও তার অর্থের সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা দেয়া হলো-
১. অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী : অল্প শিক্ষিত ব্যক্তির গর্ব বেশি।
২. অভাবে স্বভাব নষ্ট : অভাবে পড়লে স্বভাব নষ্ট হয়ে যায়।
৩. অতি লোভে তাঁতি নষ্ট : বেশি লোভ করলে সর্বস্ব হারাতে হয়।
৪. অতি দর্পে হত লঙ্কা : অহংকার পতনের মুল।
৫. অতি চালাকের গলায় দড়ি- বেশি চালাকি করতে গেলে নিজেরই বিপদ হয়।
৬. অধিক সন্ন্যাসীতে গাঁজন নষ্ট : বেশি লোকের উপস্থিতি বিশৃঙ্খলা আনে।
৭. অল্পশোকে কাতর অধিক শোকে পাথর : সামান্য শোকে মানুষ কাতর হয়ে কান্নাকাটি করে, কিন্তু অধিক শোকে হতবাক ও স্তব্ধ হয়ে যায়।
৮. অভাগা যেদিকে চায়, সাগর শুকায়ে যায় : হতভাগা লোক যে কাজই করে সেই কাজেই বিফল হয়।
৯. অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ : বেশি বাড়াবাড়ি কুমতলবের পরিচয়।
১০. অর্থই অনর্থের মূল - অর্থের লোভ খারাপ কাজকে টেনে আনে।
১১. অসারের তর্জন-গর্জন সার : ক্ষমতাহীনের নিরর্থক আস্ফালন।
১২. আলালের ঘরের দুলাল : অতি আদুরে ছেলে।
১৩. আটে-পিঠে দড়, তবে ঘোড়ায় চড় : যোগ্যতা অর্জন করে কাজে হাত দেওয়া উচিত।
১৪. আঠার মাছে বছর : দীর্ঘসূত্রিতা।
১৫. আদার ব্যাপারির জাহাজের খবর : সাধারণ লোকের বিরাট বিষয়ের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ।
১৬. আপনি বাঁচলে বাপের নাম : আত্মরক্ষাই প্রথম কর্তব্য।
১৭. আপনি শুতে ঠাঁই নেই, শঙ্করকে ডাকে : নিজের বাঁচতে হয় অন্যের অনুগ্রহে, আবার আর একজনকে সাথি করা বা সাহায্য দিতে যাওয়া।
১৮. আগুন পোহাতে গেলে ধোঁয়া সইতে হয় : কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না।
১৯. ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয় : দৃঢ় মনোবল সফলতা লাভের সহায়ক।
২০. ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয় : অপরকে মারতে গেলে নিজেকেও মার খেতে হয়।
২১. উঠন্তি মুলো পত্তনেই চেনা যায় : শুরুতেই বোঝা যায় ফলটা কী দাঁড়াবে। ছোটবেলাতেই টের পাওয়া যায় বড়ো হলে কী হবে।
২২. উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে : একজনের দোষ আরেকজনের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া।
২৩. উলুবনে মুক্তা ছড়ানো : অপাত্রে দান বিফলে যায়।
২৪. এক মাঘে শীত যায় না : বিপদ একবারেই শেষ হয়ে যায় না।
২৫. উনা ভাতে দুনা বল : কম খেলেই শরীর ভাল থাকে।
২৬. এক হাতে তালি বাজে না : বিবাদে দু’পক্ষির ভূমিকা থাকে।
২৭. এক ঢিলে দুই পাখি মারা : এক উপায় অবলম্বন করে দুই কাজ সমাধা করা।
২৮. ওল বলে মান কচু, তুমি বড়ো লাগো : একজন বেশি দোষী, কম-দোষীকে দোষের জন্যে গালি দেয়।
২৯. কনের ঘরে পিসি, বরের ঘরের মাসি : পক্ষির আপন লোক হিসেবে কাজ করে, উভয়কেই লেলিয়ে দিয়ে নিজে ভালো থাকার মানসিকতার কুটবুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তি।
৩০. কয়লা যায় না ধুলে স্বভাব যায় না মরলে : খল তার স্বভাব পরিবর্তন করতে পারে না।
৩১. কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না : পরিশ্রম বা সাধনা না করলে জীবনে সাফল্য আসে না।
৩২. কাঁচা বাঁশে ঘুণ ধরা : অল্প বয়সে পেকে যাওয়া বা নষ্ট হওয়া।
৩৩. কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ, পাকলে করে ঠাস ঠাস : ছেলেবেলায় সুশিক্ষা না দিয়ে বড়ো হয়ে দিতে চাইলে আর সে গ্রহণ করতে চায় না।
৩৪. কাকের বাসায় কোকিলের ছা, জাত স্বভাবে ছাড়ে রা : সহজে স্বভাব ছাড়া যায় না।
৩৫. কানা গরু বামুনকে দান : দুষ্ট ব্যক্তির এমন দান, যা কারো প্রয়োজনে লাগে না।
৩৬. কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন : যার যেই গুণ নেই, তার প্রতি সেই গুণ আরোপ করা।
৩৭. কাজের বেলায় কাজি কাজ ফুরালেই পাজি : স্বার্থসিদ্ধির পর অকৃতজ্ঞতাপূর্ণ আচরণ করা।
৩৮. কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ : কারো সুসময়, কারো আবার দুঃসময়।
৩৯. খিদে পেলে বাঘে ধান খায় : প্রয়োজনের গুরুত ব বোঝানো।
৪০. গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না : আপন লোকেরা গুণীর কদর করে না।
৪১. গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল : কাজ শুরুর আগেই ফল ভোগের জন্য তৈরি।
৪২. গরু মেরে জুতো দান : কারও অনিষ্ট করে আবার তার সাহায্যে এগিয়ে আসা।
৪৩. গাছে তুলে দিয়ে মই কেড়ে নেয়া : কোনো বিপজ্জনক কাজে এগিয়ে দিয়ে তাকে অসহায় অবস্থায় ফেলে চলে যাওয়া।
৪৪. গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল : নিজেকে নেতা বলে জাহির করা।
৪৫. ঘোড়া দেখে খোঁড়া : সুযোগ বুঝে অক্ষম সাজা।
৪৬. ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায় : একবার যে বিপদে পড়েছে, পরে অল্পেই সে আতংকিত হয়।
৪৭. ঘর থাকতে বাবুই ভেজা : নিজের সম্পদ থাকতেও কষ্ট করা।
৪৮. ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো : বিনা লাভে কোনো কর্ম করা।
৪৯. চকমক করলেই সোনা হয় না : চেহারা দেখেই কারো বা কোনো কিছুর ভালোমন্দ বিচার করা যায় না।
৫০. চাঁদেরও কলঙ্ক আছে : নিজের দোষ লাঘবের চেষ্টা।
৫১. চেনা বামুনের পৈতা লাগে না : পরিচিত ব্যক্তির পরিচয় পত্র দরকার হয় না বা তাকে পরিচয় করিয়ে দিতে হয় না।
৫২. চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে : প্রয়োজনের সময় সমস্যা সমাধানের উপায় না হয়ে পরে তা সমাধানের উপায় বের হয়।
৫৩. চোরে চোরে মাসতুতো ভাই : মন্দ লোকের সাথে মন্দ লোকের বন্ধুত ব বা সম্পর্ক।
৫৪. চোরের ওপর বাটপাড়ি : প্রতারকের ওপর দিয়ে প্রতারণা করা।
৫৫. চোরের মার বড়ো গলা : দোষী ব্যক্তির দোষ ঢেকে সাধু সাজতে সাহায্য করা ও বাগাড়ম্বর করা।
৫৬. চোরের সাক্ষী গাঁট-কাটা : খারাপ লোকেই খারাপ লোককে সাহায্য করে।
৫৭. ছুঁচো মেরে হাত গন্ধ করা : সামান্য লাভের জন্যে মন্দ কাজে হাত না দেয়া।
৫৮. জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ : দুদিকে বিপদ।
৫৯. ঝড়ে বগ মরে ফকিরের কেরামতি বাড়ে : অপরের দ্বারা সাধিত কর্মের কৃতিত ব নিজের বলে জাহির করা।
৬০. ঝি-কে মেরে বউকে শেখানো : একজনকে মেরে অন্যকে শেখানো।
৬১. ঝোপ বুঝে কোপ মারা : সুযোগের সদ্ব্যবহার করা।
৬২. ডুবে ডুবে জল খাওয়া : গোপনে গোপনে কোনো কাজ সম্পন্ন করা
৬৩. ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সরদার : ক্ষমতা নেই, অথচ আস্ফালন আছে।
৬৪. ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে : যার যা স্বভাব সে তাই-ই করে যায়।
৬৫. দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ : একতাবদ্ধভাবে কাজে নেমে ব্যর্থ হলেও তাতে লজ্জা বা গ্লানির কোনো কারণ নেই।
৬৬. দশের লাঠি একের বোঝা : একজনের জন্য যে কাজ কষ্টসাধ্য অনেকে মিলে করলে সে কাজ সহজ হয়ে যায়।
৬৭. দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বোঝে না : সুখের অভাব না ঘটলে সুখের বিষয়টাকে অনুভব করা যায় না।
৬৮. দিনে-দুপুরে ডাকাতি : প্রকাশ্যে অন্যায় করা।
৬৯. দুধ-কলা দিয়ে কালসাপ পোষা- আদর দিয়ে শত্রুকে লালন করা।
৭০. ধর্মের কল বাতাসে নড়ে : পরিণামে সত্যের জয় হয়।
৭১. ধর্মের ঢাক আপনি বাজে : সত্য কখনো চাপা থাকে না, আপনিই প্রকাশিত হয়।
৭২. ধান ভানতে শিবের গীত : মূল কথা ছেড়ে বাজে প্রসঙ্গ আলোচনা করা।
৭৩. ধরি মাছ না ছুঁই পানি : কষ্ট এড়িয়ে কার্যোদ্ধার।
৭৪. ধরাকে সরা জ্ঞান করা : অতি অহংকারে বা ক্ষমতার দম্ভে বড়োকে ছোট মনে করা।
৭৫. নামে তালপুকুর ঘটি ডোবে না : কেবল নামেই আছে ভেতরে নেই।
৭৬. নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা : নিজের ব্যর্থতা অন্যের ঘাড়ে চাপানো।
৭৭. নিজের পায়ে কুড়াল মারা : নিজের ক্ষতি করা।
৭৮. নুন খায় যার গুণ গায় তার : উপকারীর উপকার স্বীকার করা ও তার পক্ষি কাজ করা।
৭৯. নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা : নিজের ক্ষতি করেও অপরের অনিষ্ট সাধন করা।
৮০. পাপের দান প্রায়শ্চিত্যে যায় : অসৎ উপার্জন অসৎ পথেই যায়।
৮১. পায় না, তাই খায় না : অভাবে কোনো জিনিষের প্রতি কপট অনীহা প্রকাশ।
৮২. পেটে খেলে পিঠে সয় : লাভের সম্ভাবনা থাকলে অনেক কষ্ট সহ্য করা যায়।
৮৩. বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা : দুষ্ট লোকের পাল্লায় পড়লে কিছু-না কিছু ক্ষতি হবেই।
৮৪. বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড় : কর্তার চেয়ে কর্মচারির তেজ বেশি।
৮৫. বিনা মেঘে বজ্রপাত : হঠাৎ বিপদ উপস্থিত হওয়া।
৮৬. বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো : বাইরে কাড়কাড়ি ভিতরে ঢিলেমি।
৮৭. বরের ঘরের মাসি, কনের ঘরের পিসি : যে সংশিøষ্ট ব্যক্তি দু’পক্ষিই কথা বলে।
৮৮. বিড়ালের ভাগ্যে শিকা ছেঁড়া : যা পাওয়ার আশা নেই তা লাভ করা।
৮৯. বিষ নেই তার কুলোপনা চক্কর : সামর্থ্য নেই অথচ লাফ-ঝাঁপ বেশি।
৯০. ভিক্ষার চাল কাঁড়া আর আকাঁড়া : যা এমনিতেই পাওয়া যায় তাতে দোষ-ত্রুটি থাকলেও কিছু যায় আসে না।
৯১. ভাগের মা গঙ্গা পায় না : দায়িত্ব ভাগ না করে যদি একই কাজে সবার দায়িত্ব থাকে তো সে কাজ সুসিদ্ধ হয় না।
৯২. মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পতন : যেভাবে হোক কাজে সফল হওয়ার প্রতিজ্ঞা।
৯৩. মরা হাতি লাখ টাকা : যোগ্য ব্যক্তি দুর্যোগে পড়লেও অন্তঃসারশূন্য হয় না।
৯৪. মশা মারতে কামান দাগা : সামান্য কাজের জন্য বিরাট আয়োজন।
৯৫. মুখে চুন কালি পড়া : অপমানিত হওয়া।
৯৬. মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত : সীমার অতিরিক্ত কাজ কেউ করতে পারে না।
৯৭. যার লাঠি তার মাটি : জোর যার মুল্লুক তার।
৯৮. যতোক্ষণ শ্বাস ততোক্ষণ আশ : যতোক্ষণ পর্যন্ত মানুষ বাঁচে, ততোক্ষণই সে আশা রাখে।
৯৯. যার ধন তার নয়, নেপোয় মারে দুই : একজন খাটে, ফল ভোগ করে অন্য জন।
১০০. যার শিল যার নোড়া তারই ভাঙ্গি দাঁতের গোড়া : জিনিসের মালিককে সেই জিনিস নিয়ে জব্দ করা।
১০১. যেমন বুনো ওল তেমনি বাঘা তেঁতুল : দুর্বৃত্তের উপযুক্ত শাস্তি।
১০২. যেমন কর্ম তেমন ফল : যে যেমন কাজ করে, সে তেমন ফল পায়।
১০৩. যে সয় সে রয় : কষ্ট সহ্য করার যার ক্ষমতা আছে, জীবন-যুদ্ধে সে-ই জয়ী হয়।
১০৪. যাকে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা : শত্রুর সব কাজেই দোষ হয়।
১০৫. যত গর্জে তত বর্ষে না : আড়ম্বর অনুযায়ী কাজ হয় না।
১০৬. যেখানে বাঘের ভয় যেখানে রাত হয় : বিপদের উপর বিপদ আসে।
১০৭. রথ দেখা ও কলা বেচা : একটা কাজ করতে গিয়ে সেই সঙ্গের আর একটা কাজ সমাধা করা।
১০৮. রাখে আল্লা মারে কে : স্রষ্টা রক্ষা করলে কেউ তার ক্ষতি করতে পারে না।
১০৯. সস্তার তিন অবস্থা : সস্তা জিনিস প্রায়ই খারাপ হয়।
১১০. সবুরে মেওয়া ফলে : ধৈর্য ধরে থাকলে সুফল পাওয়া যায়।
১১১. সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ : সৎ সঙ্গে পরিণাম ভালো কিন্তু অসৎ সঙ্গের পরিণাম খারাপ।
১১২. লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন : প্রয়োজনে অর্থ জোগানোর ব্যক্তি থাকলে তার ভরসায় বেশি খরচ করার জন্য ক্ষিাভ প্রকাশ।
১১৩. সাপের হাঁচি বেদেয় চেনে : যে যেই প্রকৃতির লোকের সাথে চলাফেরা করে সে সেই প্রকৃতির লোকের মেজাজ ভালোভাবে বুঝতে পারে ।
১১৪. সুখে থাকতে ভূতে কিলায় : দুঃখের অভিজ্ঞতা নেই, এমন ব্যক্তির দুঃখ ডেকে আনার মতো ব্যবহার বা আচরণ।
১১৫. সোনা ফেলে আঁচলে গিরো : মূল্যবান বস্তু বা ব্যক্তিকে অনাদর করে মূল্যহীন বস্তুর আদর।
১১৬. স্বভাব যায় না মলে ইজ্জত যায় না ধুলে : যাদের স্বভাবের পরিবর্তন হয় না তাদের সম্পর্কে ক্ষিাভ প্রকাশ।
১১৭. হবুচন্দ্র রাজার গবুচন্দ্র মন্ত্রী : অপদার্থ ব্যক্তির অপদার্থ সহকারী বা সমর্থক।
১১৮. হাতি ঘোড়া গেলো তল ভেড়া বলে কতো জল : বড়ো বড়ো লোক যে কাজ করতে পারেনি, সামান্য ব্যক্তির সে- ই কাজ করতে যাওয়ার স্পর্ধা।
১১৯. হাতির পাঁচ পা দেখা : অহংকারী ব্যক্তির স্পর্ধিত আচরণ।
১২০. হাত ঝাড়া দিয়ে পর্বত : বড়ো লোকের মুখের কথাতেই অনেক কিছু হয়।
১২১. হিসেবের গরু বাঘে খায় না : বিবেচনা থাকলে ঠকতে হয় না।

 বাংলা প্রবাদ বাক্য pdf

 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
tags:

প্রবাদ বাক্য
প্রবাদ বাক্য তালিকা
বাংলা প্রবাদ বাক্য
প্রবাদ বাক্য বাংলা
প্রবাদ প্রবচন
বাংলা প্রবাদ বাক্য pdf
প্রবাদ প্রবচন দিয়ে বাক্য রচনা
প্রবাদ প্রবচন pdf

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comment below if you have any questions

অফিস/বেসিক কম্পিউটার কোর্স

এম.এস. ওয়ার্ড
এম.এস. এক্সেল
এম.এস. পাওয়ার পয়েন্ট
বাংলা টাইপিং, ইংরেজি টাইপিং
ই-মেইল ও ইন্টারনেট

মেয়াদ: ২ মাস (সপ্তাহে ৪দিন)
রবি+সোম+মঙ্গল+বুধবার

কোর্স ফি: ৪,০০০/-

গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স

এডোব ফটোশপ
এডোব ইলাস্ট্রেটর

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৮,৫০০/-

ওয়েব ডিজাইন কোর্স

এইচটিএমএল ৫
সিএসএস ৩

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৮,৫০০/-

ভিডিও এডিটিং কোর্স

এডোব প্রিমিয়ার প্রো

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৯,৫০০/-

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স

ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, এসইও, গুগল এডস, ইমেইল মার্কেটিং

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ১২,৫০০/-

অ্যাডভান্সড এক্সেল

ভি-লুকআপ, এইচ-লুকআপ, অ্যাডভান্সড ফাংশনসহ অনেক কিছু...

মেয়াদ: ২ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৬,৫০০/-

ক্লাস টাইম

সকাল থেকে দুপুর

১ম ব্যাচ: সকাল ০৮:০০-০৯:৩০

২য় ব্যাচ: সকাল ০৯:৩০-১১:০০

৩য় ব্যাচ: সকাল ১১:০০-১২:৩০

৪র্থ ব্যাচ: দুপুর ১২:৩০-০২:০০

বিকাল থেকে রাত

৫ম ব্যাচ: বিকাল ০৪:০০-০৫:৩০

৬ষ্ঠ ব্যাচ: বিকাল ০৫:৩০-০৭:০০

৭ম ব্যাচ: সন্ধ্যা ০৭:০০-০৮:৩০

৮ম ব্যাচ: রাত ০৮:৩০-১০:০০

যোগাযোগ:

আলআমিন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

৭৯৬, পশ্চিম কাজীপাড়া বাসস্ট্যান্ড,

[মেট্রোরেলের ২৮৮ নং পিলারের পশ্চিম পাশে]

কাজীপাড়া, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬

মোবাইল: 01785 474 006

ইমেইল: alamincomputer1216@gmail.com

ফেসবুক: facebook.com/ac01785474006

ব্লগ: alamincomputertc.blogspot.com

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *