ram কি
র্যাম (RAM) :
বর্তমানে মাইক্রোকম্পিউটার বা পার্সোনাল কম্পিউটারে অর্ধপরিবাহী স্মৃতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। চুম্বকীয় কোরের তুলনায় অর্ধপরিবাহী স্মৃতি অনেক ছোট ও সস্তা। অর্ধপরিবাহী পদার্থ দিয়ে তৈরি বলেই একে অর্ধপরিবাহী স্মৃতি বলে। বহুল ব্যবহৃত দুই ধরনের অর্ধপরিবাহী স্মৃতির একটি হল অস্থায়ী স্মৃতি বা র্যাম (RAM = Random Access Memory) এবং অপরটি হল স্থায়ী স্মৃতি বা রম (ROM = Read Only Memory)।
কম্পিউটারের মাদারবোর্ডের সাথে যুক্ত একাধিক চিপ সমন্বয়ে র্যাম এলাকা গঠিত। র্যাম হচ্ছে কম্পিউটারের কর্ম এলাকা। র্যামে সব ধরনের তথ্য লেখা ও পড়া যায়। র্যামে তথ্য জমা থাকে ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে, ফলে র্যামের সব তথ্য অস্থায়ীভবে থাকে। এজন্য র্যামকে কম্পিউটারের অস্থায়ী স্মৃতি বলা হয়। কোন কারণে বিদ্যুৎ চলে গেলে বা কম্পিউটারের সুইচ বন্ধ করলে র্যাম থেকে সব তথ্যই মুছে য়ায়। তাই র্যামকে ভোলাটাইল বলা হয়। এজন্য কাজ করার সময় কিছুক্ষণ পর পর তথ্য সংরক্ষণ (Save) করতে হয়। সংরক্ষণ করা তথ্য জমা হয় সহায়ক স্মৃতিতে। র্যাম দুই ধরনের। উজঅগ (Dynamic RAM) ও SRAM (Static RAM)। প্রথম দিকে পিসিতে DRAM ব্যবহৃত হতো, বর্তমানে উভয় প্রকার RAM-ই ব্যবহৃত হচ্ছে।
সিপিইউ অতি সহজে দ্রুত সরাসরি র্যাম থেকে তথ্য নিতে পারে। প্রোগ্রাম ,ডাটা ও তথ্য র্যাম থেকে নিয়ে সিপিইউ ফলাফল তৈরি করে সংরক্ষণের জন্য আবার র্যামে পাঠায়। অপারেটরের নির্দেশ পেলে র্যাম সেগুলো আউটপুট ডিভাইসে প্রেরণ করে এবং নতুন তথ্য ধারণের জন্য তৈরি হয়। এজন্য র্যামের সাইজের উপরে কম্পিউটারের কাজ করার ক্ষমতা প্রকাশ পায়। র্যামের ধারণ ক্ষমতা বেশি হলে কম্পিউটারের কাজ করার ক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। কাজের গতি বাড়ানোর জন্য র্যাম ক্যাশ (RAM Cash) ব্যবহার করা হয়। র্যাম ক্যাশ র্যামের অংশ বিশেষ।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions