সুষম খাদ্য কাকে বলে
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা এমনভাবে বিন্যস্ত করতে হবে যাতে আমাদের দেহের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ হয় এবং অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ পরিহার করা যায়। ব্যক্তি বিশেষের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে পরিকল্পিত এ ধরনের খাদ্য সমাহারই সুষম খাদ্য।
ব্যক্তির বয়স, লিঙ্গ, শ্রম ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে, খাদ্যের ছয়টি উপাদানের প ্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ মিটিয়ে এবং ক্যালরি চাহিদা পূরণ করে যে খাদ্য পরিকল্পনা করা হয় তাকে সুষম খাদ্য বলে। অর্থাৎ, যেসব খাদ্য গ্রহণ করলে ব্যক্তি বিশেষের বয়স, লিঙ্গ, শ্রম অনুযায়ী তার প ্রয়োজনীয় ক্যালরি ও খাদ্য উপাদানের চাহিদা পূরণ হয়ে সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে তাকেই সুষম খাদ্য বা ব্যালেন্সেড ডায়েট (balanced diet) বলে।
এককভাবে কোনো খাদ্যই সুষম খাদ্য নয়। সুষম খাদ্যের তালিকা প্রস্তুত করে নিতে হয়। উদাহরণস্বরূপ একজন পূর্ণবয়ষ্ক পুরুষের দৈনিক ২৫০০-৩০০০ কিলোক্যালরি শক্তি পূরণ করতে হবে যাতে তার শক্তি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি খাদ্যের ছয়টি উপাদানের চাহিদাও পূরণ হয়। তবেই ঐ খাদ্য সামগ্রীকে ঐ ব্যক্তির জন্য সুষম খাদ্য বলা যাবে।
উপরের আলোচনা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, সবার জন্য সুষম খাদ্যের ধরন বা প্রকৃতি এবং পরিমাণ এক হবে না। একেক জনের চাহিদা অনুসারে সুষম খাদ্য একেক ধরনের হবে। যেমন-শিশু ও বৃদ্ধদের খাদ্য সহজপাচ্য হবে। প্রাপ্ত বয়স্কদের খাদ্য তালিকায় চর্বিবর্জিত খাদ্য সন্নিবেশ করতে হবে। শিশু ও কিশোরদের খাদ্যে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং শক্তির জন্য তুলনামূলকভাবে অধিক চর্বিযুক্ত খাদ্য থাকতে হবে। গর্ভবর্তী ও প্রসূতি বা দুগ্ধদানকারী মায়েদের খাদ্যে বাড়তি প্রোটিন, লৌহ, ক্যালসিয়াম, শর্করা প্রভৃতি থাকতে হবে। বৃদ্ধ বয়সের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ লবণসমৃদ্ধ খাদ্য থাকতে হবে ইত্যাদি। সেজন্য আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকা প্রস্তুতের সময় সবার বিশেষ চাহিদার কথা বিবেচনা করেই খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions