টেলিগ্রাফ কিভাবে কাজ করে
যে যন্ত্রের সাহায্যে বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে দূরবর্তী স্থানে সাংকেতিক ভাষায় সংবাদ প্রেরণ করা হয় তাকে টেলিগ্রাফ বলে। ১৮৩৭ খ্রিষ্টাব্দে স্যামুয়েল মোর্স (১৭৯১-১৮৭২) সর্বপ্রথম টেলিগ্রাফ আবিষ্কার করেন। সাধারণত টেলিগ্রাফ যন্ত্রে থাকে তিনটি প্রধান অংশ, যথা: প্রেরকযন্ত্র, গ্রাহক যন্ত্র ও রীলে। এই তিনটি অংশের মাধ্যমে টেলিগ্রাফ কাজ করে। নিম্নে এ তিনটি অংশের কাজের বর্ণনা দেয়া হলো:
প্রেরক যন্ত্র : প্রেরক যন্ত্রের চাবি টিপলে বৈদ্যুতিক বর্তনী সম্পন্ন হয় এবং চাবি ছেড়ে দিলে বর্তনী অসম্পূর্ণ হয়। এভাবে বর্তনীতে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করা এবং বন্ধ করা হয়। চাবি চেপে ধরা ও ছেড়ে দেওয়ার সময়ের পার্থক্যের উপর ভিত্তি করে দু'প্রকারের শব্দ সৃষ্টি হয়- হ্রস্ব শব্দ বা ‘টরে' ও দীর্ঘ শব্দ বা ‘টক্কা'।
গ্রাহক যন্ত্র (সাউন্ডার) : গ্রাহকযন্ত্রে একটি চুম্বক এবং একটি আর্মেচার থাকে। প্রেরক যন্ত্রের চাবি টিপলে তড়িৎ প্রবাহ গ্রাহক যন্ত্রের মধ্য দিয়ে চলে যায়। ফলে, তা আর্মেচারকে আকর্ষণ করে এবং আর্মেচারটি ধাতুনির্মিত একটি পাতে আঘাত করে। চাবি ছেড়ে দিলে তড়িৎ প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। আর্মেচারটি স্প্রিং-এর টানে আবার স্বস্থানে ফিরে আসে এবং অন্য একটি ধাতু নির্মিত পাতে আঘাত করে।
প্রেরক যন্ত্রের চাবি দ্বারা প্রথম স্টেশন থেকে দ্বিতীয় স্টেশনে বিন্দু ও রেখা সংকেত দ্বারা বিভিন্ন শব্দ গ্রহণ করা হয়। দ্বিতীয় স্টেশনের টেলিগ্রাফ অপারেটর তা লিখে নেন। এভাবে প্রথম থেকে দ্বিতীয় এবং দ্বিতীয় থেকে প্রথম স্টেশনে শব্দ আদান প্রদান করা হয়।
রীলে : টেলিগ্রাফ লাইন বহুদূর পর্যমত্ম প্রসারিত হলে গ্রাহক যন্ত্রে অতি মৃদু সাড়া পৌঁছায় এবং স্পষ্টভাবে সংবাদ গ্রহণ করা যায় না।এ ক্ষেত্রে রীলে ব্যবহার করা হয়। রীলে দ্বারা প্রেরক যন্ত্রের মৃদু সংকেত সমূহকে বিবর্ধিত করা হয়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions