খতম তারাবীহ পড়ার নিয়ম
খতম তারাবীহ্-র মাসায়েলঃ
* রমযান মাসে তারাবীহ্-র মধ্যে তারতীব অনুযায়ী একবার কুরআন শরীফ খতম করা (পড়া/শুনা) সুন্নাত।
* তারাবীহ-র খতমের মধ্যে যে কোন একটি সূরার শুরুতে বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম জোরে পড়া চাই, নতুবা শ্রোতাদের খতম পূর্ণ হবে না।
* নাবালেগের পিছনে এক্তেদা করা দুরস্ত নয়, চাই ফরয নামাযে হোক বা তারাবীহ-র নামায হোক।
* ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল লোকমা দিয়ে হাফেজকে পেরেশান করা নিষিদ্ধ ।
* তারাবীহতে এত দ্রুত তিলাওয়াত করা যে বুঝে আসে না- এরূপ তিলাওয়াত ছওয়াবের পরিবর্তে গোনাহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
* হাফেজ সাহেব যদি ভুলে গিয়ে চুপ-চাপ দাঁড়িয়ে অথবা বৈঠকের সময় তাশাহহুদের আগে বা পরে চিন্তা করতে থাকেন এবং এর মধ্যে এক রুকন পরিমাণ (তিনবার সোবহানাল্লাহ বলার পরিমাণ) সময় অতিবাহিত হয়ে যায়, তাহলে সাজদায়ে সাহো দিতে হবে ।
* কোন আয়াত ভুলে থেকে গেলে বা ভুল পড়া হয়ে থাকলে পরবর্তী দুগানায় (দুই রাকআতে) বা পরবর্তী যে কোন দিন সেটা পড়ে নিতে হবে, নতুবা খতম পূর্ণ হবে না।
* খতমের দিন তারাবীহ-র মধ্যেই খতম করার পর শেষ রাকআতে সূরা বাকারার শুরু থেকে মুখলেহুন পর্যন্ত পড়া মোস্তাহাব।
* তারাবীহ-র মধ্যে খতমের সময় সূরা এখলাস তিনবার পড়া মাকরূহ। (অর্থাৎ, শরী'আতের বিশেষ নিয়ম মনে করে এরূপ আমল করা মাকরূহ।)।
* তারাবীহ-র মধ্যে সূরা ওদ্দোহা থেকে শেষ পর্যন্ত সূরাগুলোর পর আল্লাহ আকবার বলা মাকরূহ। নামাযের বাইরে এরূপ আমল করা যায় ।
* তারাবীহ-র বিনিময়ে পারিশ্রমিক দেয়া নেয়া জায়েয নয়, তবে হাফেজ সাহেবের যাতায়াত ভাড়া ও খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা বিধেয়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions