তারাবির নামাজের নিয়ম
রমযান মাসে ইশার নামাযের পর ইশার ওয়াক্তের মধ্যে যে বিশ রাকআত সুন্নাতে মুআক্কাদা পড়তে হয়, তাকে তারাবীহ-র নামায বলে।।
* তারাবীহ্-র নামায সুন্নাতে মুআক্কাদা। * বিশ রাকআত তারাবীহ্ পড়া সুন্নাতে মুআক্কাদা-আট রাকআত নয়।
* তারাবীহ-র নামায জামাআতের সাথে পড়া সুন্নাতে মুআক্কাদায়ে কেফায়া। মহিলাদের তারাবীহ-র জামা'আত করা মাকরূহ তাহরীমী।
* প্রতি চার রাকআত তারাবীহ্-র পর এবং বিশ রাকআতের পর বিতরের পূর্বে চার রাকআত পরিমাণ বিশ্রাম করা মোস্তাহাব। জামা'আতের লোকদের কষ্ট হওয়ার বা জামা'আতের লোক সংখ্যা কম হওয়ার আশংকা হলে এত সময় বিশ্রাম করবে না বরং কম করবে।
* এই বিশ্রামের সময় চুপ করে বসে থাকা, তাসবীহ তাহলীল, তিলাওয়াত, দুরূদ পড়া বা নফল নামায পড়া সবই জায়েয । আমাদের দেশে যে সোবহানা যিল মুলকি ওয়াল মালাকূতি ... তিনবার পড়ার প্রচলন আছে। তাও জায়েয, তবে তা-ই পড়া জরূরী নয় বরং এই দুআ কোন হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত নয়। এসব দুআ চিৎকার করে নয় বরং নীরবে (কিংবা স্বল্প শব্দে) পড়া মোনাসেব!
* প্রত্যেক চতুর্থ রাকআতে মোনাজাত করা জায়েয আছে, কিন্তু বিশ রাকআতের পর বিতরের পূর্বে দু'আ করাই আফযল। (শামসুল হক ফরীদপূরী, দ্রঃ বাংলা বেহেশতী জেওরঃ ১ম) তবে কোথাও প্রতি চার রাকআতের পর মুনাজাত করলে কঠোর ভাবে তাতে বাধা দেয়া কিংবা না করা হলে মুসল্লীগণের পক্ষ থেকে ইমামকে করার জন্য হুকুম দেয়া সংগত নয় ।
* যদি কেউ মসজিদে এসে দেখেন ঈশার জামাআত হয়ে গিয়েছে এবং তারাবীহ শুরু হয়ে গিয়েছে তখন তিনি একা একা ইশা পড়ে নিয়ে তারপর তারাবীহ-র জামা'আত শরীক হবেন। ইত্যবসরে যে কয় রাক'আত তারাবীহ ছুটে গিয়েছে তা তিনি তারাবীহ ও বেতর জামা'আতের সাথে আদায় করার পর পড়বেন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions