ইনসুলিন আবিষ্কারের ইতিহাস
ইনসুলিন (১৮৮৯)
-ভন মেরিং ও মিনকোস্কি
মানবদেহের পরিপাক ক্রিয়ার অগ্ন্যাশয়ের ভূমিকা কি এই নিয়ে গবেষণা করছিলেন স্ট্রাসবুর্গ শহরের দুই অধ্যাপক ভন মেরিং ও মিনকোস্কি। গবেষণার জন্য তাঁরা একটি কুকুরের দেহের অগ্ন্যাশয়টি অস্ত্রোপচার করে বাদ দিয়ে কুকুরটিকে পরীক্ষা করতে থাকেন। একদিন তাঁরা লক্ষ্য করেন কুকুরের মূত্রের ওপর এক ঝাক মাছি বসেছে। তখনই ঐ মূত্র পরীক্ষা করে মিনকোস্কি দেখলেন মূত্রের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ শর্করা। তারা তখন অগ্ন্যাশয়টিকে পরীক্ষা করে দেখলেন অগ্ন্যাশয়ে এক ধরণের হরমোন বা উত্তেজক রস পরিপাকের সময় উৎপন্ন হয়। সেটির নাম ইনসুলিন। এটি রক্তের মধ্যে শর্করার পরিমাণ বাড়তে দেয় না। কিন্তু কোনো কারণে এই ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ কমে গেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে 'গিয়ে বহুমূত্র রোগ হয়। | বিজ্ঞানীরা ১৯২১ সালে কৃত্রিম উপায়ে ইনসুলিন আবিষ্কার করে রোগীকে ইনজেকশন দিয়ে বহুমূত্র রোগের হাত থেকে রক্ষা করার উপায় বের করেছেন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions