স্যাকারিন আবিষ্কার এর ইতিহাস
স্যাকারিন (১৮৮৬)
-ফালবার্গ
১৮৮৬ সালে চিনির থেকেও তিনশো গুণ বেশী মিষ্টি এক ধরনের খাদ্য পাওয়া গেল আলকাতরা থেকে। মিষ্টি স্বাদ হলেও এই খাদ্যটিতে শর্করা থাকে না, তাই বহুমূত্র রোগীদের চিনির বদলে এই খাদ্যটি খেতে বলা হয়। খাদ্যটি হল স্যাকারিন। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ আমেরিকান রসায়নবিদ ছিলেন ফালবার্গ। সে সময় আলকাতরা পাতিত করে পাওয়া গেছিল টলুইন নামক এক প্রকার নতুন যৌগিক পদার্থ। বিজ্ঞানী ফালবার্গ গবেষণা করছিলেন এই টলুইন নিয়েই। দিনের বেশিরভাগ সময়ই তার কেটে যেত এই গবেষণা করতে। একদিন গবেষণা করতে করতে খিদের কথা ভুলে গেছেন। বাড়ী ফিরে তাঁর কাজের মেয়েটিকে বললেন আমার ভীষণ খিদে পেয়েছে। মেয়েটি খাবার এনে দিতেই হাত মুখ না ধুয়েই তিনি গোগ্রাসে খেতে শুরু করলেন।
কিন্তু যাই মুখে দেন, তাই অতিরিক্ত মিষ্টি বলে মনে হয়। শেষমেষ রাগ করে খাবার ফেলে উঠে এলেন। রাগ কমলে ভাবতে বসলেন এরকম মিষ্টি লাগার কারণ কি? কেউ কখনই রান্নায় এত বেশী মিষ্টি দেয় না, অথচ এই অতিরিক্ত মিষ্টত্ব এল কোথা থেকে। হঠাৎ কি মনে হল নিজের হাতের আঙুলে জিভ ঠেকালেন। তখনই বুঝলেন, গবেষণাগারে কাজ করতে করতে তিনি টলুইন থেকে এমন একটা কিছু আবিষ্কার করে ফেলেছেন যা চিনির চেয়েও বহুগুণ মিষ্টি। গবেষণাগারে এসে অল্প চেষ্টাতেই বের করে ফেললেন পদার্থটি। রঙটি সাদা, নাম দেওয়া হল স্যাকারিন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions